পবিত্র কোরআনে মেরাজের কোন ঘটনার উল্লেখ নেই। ইসরার বর্ণনায় আল্লাহপাক তার রাসুলকে উর্ধ্বাকাশ ভ্রমন করানোর কথা বলেছেন।
কিন্তু এ নিয়ে তৎকালীন লোকজনের নানা শুনা কাহিনী বুখারি-মুসলিম তাদের হাদিছে বর্ণনা করেছেন। শুনুন সেই ঘটনা।
রাসুল (সা.) এক রাতে হজরত উম্মে হানি (রা.)-এর ঘরে বিশ্রামে ছিলেন। তার অর্ধনিদ্রা অবস্থায় জিবরাইল (আ.) অন্যান্য ফেরেশতাসহ ওই ঘরে অবতরণ করেন এবং তাকে মসজিদে হারামে নিয়ে যান। রাসুলের কলিজা বের করে তা ধুয়ে ফেলেন। তারপর বুরাক নাম বাহনে তাকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত নিয়ে যান। (বুখারি, হাদিস নং: ৩৮৮৭, মুসলিম, হাদিস নং: ২৬৭)
[বিঃদ্রঃ ইসলাম বিদ্বেষীরা এই ঘটনাকে বর্ণনা করেছে এই ভাবে, মুহাম্মদ তার চাচাতো কোন উম্মেহানিকে ভালবাসতেন। তার ঘরে রাত কাটিয়ে তা ধামাচাপা দিতে মেরাজের ঘটনার অবতারনা করেছেন। (নাউজুবিল্লাহ)]
জিবরাইল (আ.) তার সামনে এক পাত্র শরাব ও এক পাত্র দুধ নিয়ে আসেন। রাসুল (সা.) দুধের পাত্রটি গ্রহণ করেন। তখন জিবরাইল (আ.) বললেন, আপনি ফিতরাত (স্বভাবজাত ও প্রকৃত জিনিস) গ্রহণ করেছেন। (মুসলিম, হাদিস নং : ২৫৯)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, বায়তুল মামুরেও রাসুল (সা.)-এর সামনে ওই দুটি পাত্রসহ একটি মধুর পাত্রও আনা হয়েছিল। সেখানেও তিনি দুধের পাত্রটি গ্রহণ করেন। (বুখারি, হাদিস নং: ৩৮৮৭, মুসলিম, হাদিস নং: ২৬৪)
[বিঃ দ্রঃ রাসুলকে এইভাবে পরীক্ষা করা কেন হলো? আল্লাহ কি রাসুলকে চিনতেন না? তার কলবের কথা জানতেন না?]
অতঃপর জিবরাইল (আ.) নবীজি (সা.)-কে প্রথম আসমানের কাছে গিয়ে দরজা খোলার আবেদন জানান।
[বিঃ দ্রঃ আসমানের দরজা থাকে, আবার দারোয়ানও থাকে?]
এভাবে বিভিন্ন আসমানে বিভিন্ন নবীর দেখা পান।
সিদরাতুল মুনতাহায় রাসুল (সা.) জিবরাইল (আ.)-কে তার স্বরূপে দেখেন, তার ছয় শ পাখা ছিল।
[বিঃদ্রঃ জিব্রাইলের ৬০০ ডানা! এটা কিন্তু ঠাকুরমার ঝুলিকেও হার মানালো!]
[কোরআনের বাইরে গিয়ে মনুষ্য রচিত এইসব হাস্যকর হাদিছ দ্বারা ইসলামকে হাস্যকর ধর্মে পরিণত করে গেছে বুখারি গং। অবশ্যই এসব গাঁজাখুরি গল্প থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর কালামকে আঁকড়ে ধরতে হবে। ইসলাম কোন আজগুবি ধর্ম নয়।]
এরপর আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে উপঢৌকনস্বরূপ ৫০ ওয়াক্ত নামাজের বিধান দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হলো।
[বিঃদ্রঃ আল্লাহ কি গাঁজা খেয়েছিলেন, মানুষের জন্যে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ? কোরআনে তো আল্লাহ বলেছেন, মানুষকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত কোন বোঝা তিনি চাপান না।]
যাক, পথিমধ্যে মুসা (আ.)-এর পরামর্শক্রমে কয়েকবার আল্লাহর কাছে গিয়ে নামাজের সংখ্যা কমানোর আবেদন জানান। অবশেষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে সীমাবদ্ধ করে দেয়া হলো। (বুখারি, হাদিস নং: ৩৪৯, ৩৩৪২, ৩৮৮৭; মুসলিম, হাদিস নং: ২৬৩ ও ২৬৪; ফাতহুল বারি: ৭/২৫০-২৫৯, মা’আরেফুল কোরআন : ৭৬৪-৭৬৫, সিরাতে মুস্তফা : ১/২৮৫-২৮৬)
[বিঃদ্রঃ রাসুলের কি বুদ্ধি কিম্বা বিবেক ছিল না, মুসা নবীর পরামর্শে তাকে বার বার দৌড়াতে হয়েছে?]
বুখারি গং-এর বর্ণনা অনুসারে এইভাবে মেরাজের রাতে ৫ ওয়াক্ত নামাজ নামিয়ে আনা হয়েছে। আসলে কি তাই? সত্যটা আমরা গবেষনা করে বের করে আনবো ইনশাল্লাহ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:৩৬