নানজিং এ আমার পরিচিত একজন চাইনিজ টিচার রিসেন্টলি বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। গাইডের ব্যবস্থা আমিই করেছি। তিনি ঘুরে এসে বললেন তোমাদের দেশ আমাদের ১৯৮০ সালের চায়নার মত এখনো । অর্থাৎ আমরা ৩৮ তথা প্রায় ৪০ বছর এখনো পিছিয়ে আছি।
গতকাল প্রথম আলোতে মফঃস্বল থেকে আগত এক খুদে বিজ্ঞানীর প্রোজেক্টের বর্ণণা লিখা দেখলাম। যদিও পুরোনো আইডিয়া । সেন্সরের সাহায্যে দিনের বেলার অটোমেটিক বাতি নেভানো আর রাতের বেলায় জ্বলানো সাথে রোডের ল্যাম্পপোষ্ট গুলোয় সোলার প্যানেলের ব্যবহার। এতে বিদ্যুতের করে অনেক সাশ্রয় হবে ।
ঠিক একি জিনিস চীনের প্রতিটা রাস্তায় দেখা যায় । প্রতিটা বাড়ির ছাদে বিশাল আকারে সোলার প্যানেল বসানো । হয়ত এমনি করেই চীনাদের মাথায় এই আইডিয়া এসেছিলো । জানেন কি জানিনা চীনে দূর পাল্লার বাস বাদে সিটির ভেতরের বাস গুলোও ব্যাটারিতে চলে। এরা কাজে লাগিয়েছে। আর আমাদের দেশে এই সকল প্রজেক্ট গুলো দিন শেষে ডাস্টবিনে পড়ে থাকে।
সব সরকারের এইটুকুন সামর্থ্য ছিলো এই ধরনের সহজ প্রোজেক্ট গুলো বড় আকারে বাস্তবায়ন করা । রাম পাল নিয়ে পুটু মারামারি করবে কিন্তু ন্যাচারাল রিসোর্স গুলো কাজে লাগাবেনা।
তরুন উদ্ভাবকদের নিয়ে কাজ করা তো দূরে থাকুক, কোন ফেস্টের আয়োজন করার জন্য স্পন্সর খুজতে খুজতে জুতোর তলা ক্ষয়ে যায়। অথচ বিউটি কন্টেস্টে স্পন্সরের অভাব হয় না। আমাদের ভার্সিটিতে রোবোটিক্স ক্লাবের জন্য বিভিন্ন কোম্পানি/ অর্গানাইজেশনের আলাদা স্পনশরশিপের ব্যবস্থা আছে তাহলে একবার চিন্তা করুন বড় কোন বিজ্ঞান বিষয়ক আয়োজনে তারা কি পরিমান ইনভেস্ট করে।
পরিবর্তন চাই ! পরিবর্তন চাই! ডিজিটাল বাংলাদেশ চাই ! পয়সা পেলে ভাই আর নাই! হাজার টাকা দিয়ে ভিন দেশী ভাষার অপচর্চা হয় অথচ একটা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের চর্চা হয়না।
২৫.০৬.২০১৮
হুয়াইন ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি
জিয়াংসু, চীন ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫