উদ্ভাস এককালে মেধাবীদের ছবি নিজেদের স্টুডেন্ট নামে সাঁটিয়ে ব্যবসা করত। এখন দেখি আদম ব্যবসাও শুরু হয়েছে। ব্যবসা খারাপ না তবে স্টুডেন্টদের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে আকাশ চুম্বী স্বপ্ন দেখিয়ে ফায়দা করা জিনিসটা খারাপ।
শোনা কথা বিশ্বাস করতে হয়না লোকে বলে। আমি অবিশ্বাসও করতে পারলাম না। ১৬ সালে ঢাবি বুয়েটে টপ করা এক বন্ধুর ছবি তাদের লিফলেটে ছেপে দিয়েছিলো। অথচ তাদের স্টুডেন্টই সে ছিলোনা। আমি নিউজ ছেপে দিয়েছিলাম অনলাইন পোর্টালে। বেচারাকে এতো পরিমাণ চাপই দিয়েছে যে বন্ধু আমাকে নিউজ সরিয়ে নিতে বলেছিলো। নাম বলব না। নাম বললে চাকরি থাকবেনা।
এবার হলো কি প্রথমে এক ছোটভাই নক দিয়ে বলল কেউ একজন বলেছে তাকে নাকি চীনের টপ ইউনিভার্সটি পেকিং এ এডমিশন নিয়ে দিবে মোটা অর্থের বিনিময়ে। শুনে আমি ছেলের হসচ রেজাল্ট জিজ্ঞেস করলাম। যে রেজাল্ট তাতে মিড র্যাংক ইউনি গুলাতেও ঢোকা কষ্টকর। চাইনিজ ভার্সিটি নিয়ে অনেকেই কাজ করে। অনেক অপর্চুনিটি আছে এই দেশে। ডাবল গোল্ডেন, আইয়েলস থাকার পরও প্রভিনশিয়াল টপ র্যাংক ইউনিতে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পাওয়া যায় না আর সেখানে তো দেশের টপ ইউনি। স্কলারশিপ তো দূরের কথা, চান্স পেলেই ইউরোপিয়ান স্টুডেন্টরা খুশিতে আটখানা থাকে। সে অনেক কথা, দুই দিন পরে আরো দুইজন মানুষ আমাকে একি কথা জিজ্ঞেস করে জানতে চাইলো ভাইয়া এটা কি আদৌ সম্ভব? উত্তর যা দেয়ার দিলাম তবে এই সিন্ডিকেট নিয়ে আমি সন্দিহান। তাদের অনেক স্টুডেন্ট যারা চান্স পায় না কোন পাব্লিক ইউনিতে কিন্তু রেজাল্ট ভালো। এই সুযোগে গুটি কয়জনের পৌষ মাস হলেও অনেকের সর্বনাশ যে হবে সেটা স্পষ্ট।
সবাই হয়ত খারাপ না৷ প্রতিষ্ঠান খারাপ হতে পারেনা। গুটি কয়েক মানুষের জন্য আজ এই দশা। অনেক বন্ধু / বড়ভাই ফ্রেন্ডলিস্টে আছেন উদ্ভাসে কর্মরত কিংবা সাবেক। কাউকে উদ্দেশ্য করে কিংবা অপমান করার জন্য পোষ্টটি নয়।
আর হ্যা! আরেকটি কথা কারো নাম জানতে চেয়ে ইনবক্স না করাই ভাল হবে। হতে পারে তারাও কোন সিন্ডিকেটের স্বীকার কিংবা তাদের সিন্ডিকেটের শিকার অন্য কেউ হবে।
- Shihab A. Mamun
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১১