ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ডাটাবেজ থেকে নেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে পড়াশুনার মান ১৪১ তম । (২০১৮) । পুরো তালিকাটিই পোষ্টের শেষাংশে যুক্ত করা হল।
উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে ভোরের কাগজে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ এর একটি প্রতিবেদন সরাসরি তুলে ধরছি - বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অবকাঠামো সুবিধা, কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট, সিলেবাস, ফ্রেমওয়ার্ক দেখতে হবে। বছর শেষে শিক্ষককে মূল্যায়নের সংস্কৃতি চালু করতে হবে। মানহীন উচ্চশিক্ষা নামের পাগলা ঘোড়ার লাগাম এখনই টেনে না ধরলে এর নেতিবাচক প্রভাব গ্রাস করে ফেলবে আগামী প্রজন্মকে।
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কয়েকটি খাতে বাংলাদেশে অগ্রগতি ঈর্শ্বনীয়। বিশেষ করে যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা, উৎপাদন, মৎস্য, পশুপালন, আর্থিক ক্রমধারা ইত্যাদি। পশ্চিমা অনেক দেশ আমাদের এ গতি দেখে বিস্মিত। আমি নিজেও এ উন্নয়নে গর্ববোধ করি।
কিন্তু একজন শিক্ষক হিসেবে বলতে দ্বিধা নেই বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত মান সম্পর্কে। উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ে এই মুহূর্তে বাস্তব, দৃশ্যত পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে এ জাতি। আমি দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে কথা বলে আসছি, জানি না কতটুকু আমলে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পুঞ্জীভূত বিরাজমান যে সমস্যা তা দ্রুত সমাধান করা দরকার।
তবে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের নতুন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমি দারুণভাবে প্রত্যাশা করছি, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে নবগঠিত বাংলাদেশ এক্রেডিটেশন কাউন্সিলকে (বিএসি) কর্মময় ও সক্রিয় করতে অবশ্যই দ্রুত এগিয়ে আসবেন। কারণ শিক্ষার মানোন্নয়ন, গবেষণা ও সিলেবাস কারিকুলাম ডেভেলপমেন্টে এখনই হাত না দিলে ভবিষ্যতে এর দায় আমাদের নিতে হবে।
আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশে প্রশ্ন আছে। দিনকে দিন সার্টিফিকেট মূল্যায়নে পিছিয়ে পড়েছি আমরা। এর মূল কারণ হলো গবেষণাহীন, সেকেলে শিক্ষা, অগভীর ও অগোছালো শিক্ষা পদ্ধতি। শৃঙ্খলা ও মানোন্ননে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের তথ্য মতে, উচ্চশিক্ষা মানের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। আর বৈশ্বিক পরিম-লে উচ্চশিক্ষার মানের দিক দিয়ে ১৩৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪তম। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ভারত।
বৈশ্বিক অবস্থানে ভারত ২৯তম। বাকি দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ৪০, পাকিস্তান ৭১ ও নেপালের অবস্থান ৭৭তম। এটি সত্যিই উদ্বেগজনক চিত্র। স্বাধীনতার এতদিন পরও উচ্চশিক্ষার তেমন গুরুত্ব বাড়েনি এ দেশে। এ খাতে চোখ দেয়নি কেউই।
ব্যানবেইসের তথ্য মতে, উচ্চশিক্ষায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় লাখের সামান্য বেশি। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন রয়েছে ৫৩ হাজার ২শটি প্রায়। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার প্রায়।
এর বাইরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশকিছু আসন রয়েছে। উচ্চশিক্ষা যে হারে বিস্তৃত হয়েছে, বর্তমানে দেখা যায় ইন্টার লেভেলে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা ১৫৫টি প্রাইভেট ও সারাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত প্রায় ২ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অনার্স, মাস্টার্স সম্পন্ন করছে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কী পড়ানো হচ্ছে তাদের। অথচ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা। আমরা প্রায়ই দেখি দেশে হাজার হাজার শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার পরও বেকার হয়ে রাস্তায় চাকরির জন্য ঘুরছে। এর মূল কারণ হলো মানহীন শিক্ষায় শিক্ষিত তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনো দেখা গেছে, ১৯৭৭ সালের জনৈক শিক্ষার্থীর হ্যান্ড নোট নীলক্ষেত থেকে ফটোকপি করে পড়ছে ২০১৯ সালের শিক্ষার্থীরা। যুগ যুগ ধরে চলছে ডিপার্টমেন্টের ওই বড় ভাইয়ের নোট। একই বিভাগের গৎবাঁধা সেই নোট তোতা পাখির মতো ঠোঁটস্থ করে যাচ্ছে। পাস করছে তারা কিন্তু মেধাহীনভাবে।
এখনো চার-পাঁচ দশক আগের সিলেবাসে চলছে বেশকিছু ডিপার্টমেন্ট। গবেষণার ধারের কাছেও নেই এগুলো। এ হলো আমাদের উচ্চশিক্ষার একাংশের চিত্র। বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলোর অবস্থা আরো ভয়াবহ। সাত কলেজের ঝামেলা তো লেগেই আছে।
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যা :
দেশের প্রায় ৯০ ভাগ কলেজে এইচএসসি ও অনার্স-মাস্টার্স একই প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয়। এটি একটি অসঙ্গত ব্যাপার এই কারণে যে, একজন শিক্ষক এইচএসসি এবং অনার্স দুই লেভেলে পড়াচ্ছেন। এটা হতে পারে না। কারণ অনার্সে পড়ানোর সক্ষমতা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, মেধা আদৌ আছে কী তার? উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার যে মানদ- তাতে তা নিরুপিত হচ্ছে না। দুই লেভেলকে আলাদা করতে হবে আগে। প্রভাষক ও অধ্যাপক এই দুইকে এক করে ফেলছে আমাদের অদক্ষ সিস্টেম।
শিক্ষক নিবন্ধন পদ্ধতি আরো স্পষ্ট, যৌক্তিক, আধুনিক করতে হবে। সৃষ্টিশীল প্রশ্ন দ্বারা তাদের জর্জরিত করতে হবে। এতে করে বুঝা যাবে, বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনায় সে কতটা চিন্তাশীল।
শিক্ষকদের বেতন কাঠামো আরো উন্নত করতে হবে। যাতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহী হন। প্রায় শোনা যায়, উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার পরও কোথাও চাকরি হচ্ছে না। এক সময় সে এলাকার চেয়ারম্যানের মেয়েকে বিয়ে করে তার বাপ-দাদার প্রতিষ্ঠিত স্কুল বা কলেজে শিক্ষকতা শুরু করে দেন।
এভাবে শিক্ষকতা পেশার মাঝে জন্ম নিচ্ছে অনীহা, অপেশাদারিত্ব, অস্থিতিশীলতা। আমরা যদি মানসম্মত শিক্ষক দিতে না পারি তাহলে মানসম্মত শিক্ষা কখনোই দিতে পারব না। সে জন্য বেতন কাঠামো উন্নত করতে হবে। শিক্ষক নির্বাচনে নিষ্ঠ হতে হবে, শিক্ষা ব্যয় বাড়াতে হবে, নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠু হতে হবে।
আশার কথা হলো, এবার নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ শিক্ষা খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ ব্যয় করবে বলে অঙ্গীকার করেছে। অতীতে ইউনেস্কোর সুপারিশ ছিল এ খাতে ৪ শতাংশ ব্যয়ের। বর্তমানে শিক্ষা খাতে ব্যয় হচ্ছে মাত্র ২ শতাংশ।
মানের বিচারে, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের অন্যান্য এলাকার চিত্র পুরো অমিল। ঢাকার বাইরের অনেক কলেজে ২/৪ জন শিক্ষক দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দেয়া হচ্ছে মাস্টার্স ডিগ্রি। এত স্বল্পসংখ্যক শিক্ষক দিয়ে এত বড় কোর্স চালালে মানোন্নয়ন হবে কী করে? প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, উপযুক্ত শিক্ষক বা গবেষণা এগুলো অনেক পরের বিষয়।
উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে আরো একটি বড় বাধা শিক্ষক নিয়োগের স্পষ্টতা নিয়ে। প্রথমে আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়াটির দিকে নজর দিতে হবে। অস্বচ্ছ, অযোগ্য, সুপারিশে, স্বজনপ্রীতি ও দলীয় চাপে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে শিক্ষকদের। অনেক জায়গায় অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ হয়, এমনটাও শুনেছি। উন্নত বিশ্বের কোথাও এমনটি হয় বলে আমার জানা নেই।
আরো অবাক করার বিষয় হচ্ছে, মাত্র ৫-১০ মিনিট একটা ভাইভা নিয়েই নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষকদের। সময় পাল্টে গেছে, তাই এখন অনেক কিছু খতিয়ে দেখতে হবে। শিক্ষার্থীর একাডেমিক পুরো রেকর্ড, রি-কমান্ডেশন, ক্লাসরুম পারফরমেন্স দেখতে হবে এবং তার গবেষণাপত্রগুলো মানসম্মত কিনা তা দেখতে হবে।
এসব বিষয় দেখে সুস্পষ্ট, বিধিবদ্ধ নিয়মে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া উচিত। শুধু শিক্ষক নিয়োগ নয়, তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রেও স্পষ্টতা থাকা খুব জরুরি। তৈল মর্দন বা দলীয় গুরুত্বকে না দেখে তার গবেষণাকে আন্তর্জাতিকমান ও আদর্শিকভাবে গণ্য কিনা খতিয়ে দেখতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদোন্নতির প্রত্যেক ধাপে ‘ওয়েব অব সায়েন্স’ ‘স্কোপাস’-এ ইনডেস্ক করা আছে এমন জার্নালে অন্তত একটি করে প্রকাশিত আর্টিকেল থাকা বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। অনেকেই ভাইভা বোর্ডে অসংখ্য গবেষণা দেখিয়ে পদোন্নতি পান কিন্তু একটু সময় নিয়ে দেখলে বুঝা যাবে তা কতটুকু মানসম্পন্ন।
যে সব জার্নালের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর জিরো, কেউ পড়ে না, সাইটেশন নেই, এইচ ফ্যাক্টর বা এন ফ্যাক্টর ঠিক নেই সে সব বিষয়গুলোর দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। ইন্টারনেটে সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে জার্নাল কতখানি এভেলঅ্যাবল তা দেখতে হবে। অনেক জার্নাল প্ল্যাজারিজম চেক করে না। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকটা প্রবন্ধ প্রকাশের আগে প্ল্যাজারিজম চেক বাধ্যতামূলক করা দরকার।
কেউ মিশেল ফুকোর লেখা কপি করলে সেটা যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেইল দিয়ে জানাতে হবে কেন? এটা মানসম্মত জার্নালে তো প্রকাশই হওয়ার কথা না। এগুলো সার্বিক পর্যবেক্ষণ ও উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সদ্য গঠিত বাংলাদেশ এক্রেডিটেশন কাউন্সিলকে সক্রিয় করার বিকল্প নেই। শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষাবিষয়ক কাউন্সিল থাকলেও বাংলাদেশে এখনো অধরাই এ পরিকল্পনা।
শুধু মাস্টার্স পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন এমন নজির বিশ্বে বিরল। এমফিল, পিএইডি ও গবেষণায় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বর্তমানে যে প্রক্রিয়ায় বা পরীক্ষায় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তা উন্নত বিশ্বে অচল। আশির দশকের বিধিনিয়মের মধ্যে এখনো নিয়োগ দেয়া হয়।
যার কারণে মেধা যাচাই, সক্ষমতা নিরূপণ করা সম্ভব হচ্ছে না। গবেষণায় দক্ষতা বাড়াতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মানেই গভীরতা, গবেষণা ও জ্ঞানের আধার। গুণগত, উন্নতমানের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য উল্লিখিত পন্থাগুলোকে গুরুত্ব দিতেই হবে।
এগুলোর পাশাপাশি সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অবকাঠামো সুবিধা, কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট, সিলেবাস, ফ্রেমওয়ার্ক দেখতে হবে। বছর শেষে শিক্ষককে মূল্যায়নের সংস্কৃতি চালু করতে হবে। কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংস্কৃতি চালু থাকলেও তা সার্বজনীন নয়।
আন্তর্জাতিক মানের প্রোগামকে লক্ষ্য রেখে পড়াতে হবে। একজন শিক্ষার্থী এসব বিষয় কেন পড়বে, কী অর্জন করবে, বিষয়ভিত্তিক কী পরিবর্তন আসবে ইত্যাদির দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। মানহীন উচ্চশিক্ষা নামের পাগলা ঘোড়ার লাগাম এখনই টেনে না ধরলে এর নেতিবাচক প্রভাব গ্রাস করে ফেলবে আগামী প্রজন্মকে।
পরবর্তী সময়ে এ খাতে যতই বাজেট বাড়ানো হোক না কেন, কোনো কাজেই তা আসবে না আর। তাই এখনই সময় উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ও গবেষণার ওপর তীক্ষè দৃষ্টি দেয়ার।
প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ : শিক্ষাবিদ ও গবেষক।
International Education Database
The International Education Database goal is to measure and rank the impact each nation’s education system has had in stabilizing their economy, and in developing their social environment.
The International Education Database will also serve as a public center to survey, evaluate, and report the progress of the educational goals of the United Nation’s Sustainable Development Goal Initiative (2015 to 2030).
Below, is the current rankings for 2018:
1. South Korea
2. Finland
3. Norway
4. Russia
5. Hong Kong
6. Japan
7. Estonia
8. Latvia
9. Israel
10. Sweden
11. Lithuania
12. Denmark
13. Ireland
14. Taiwan
15. Kazakhstan
16. Slovenia
17. Georgia
18. Singapore
19. Cyprus
20. China
21. United Kingdom
22. Croatia
23. Poland
24. Italy
25. Saudi Arabia
26. United States
27. Mexico
28. New Zealand
29. Kyrgyzstan
30. Serbia
31. Canada
32. France
33. Australia
34. Iceland
35. Germany
36. Hungary
37. Netherlands
38. Greece
39. Belgium
40. Luxembourg
41. Spain
42. Czech Republic
43. Austria
44. Portugal
45. Argentina
46. Switzerland
47. Bulgaria
48. Malta
49. Iran
50. Chile
51. Slovakia
52. Romania
53. Macau (PRC)
54. Liechtenstein
55. Kenya
56. Tajikistan
57. Ghana
58. Colombia
59. Moldova
60. Oman
61. Qatar
62. Indonesia
63. Ecuador
64. Dominican Republic
65. Vietnam
66. Malaysia
67. Azerbaijan
68. Costa Rica
69. Belarus
70. United Arab Emirates
71. Albania
72. Bahrain
73. Brunei
74. Montenegro
75. Maldives
76. Turkey
77. Nepal
78. Tunisia
79. Uzbekistan
80. Jordan
81. Mongolia
82. Mauritius
83. Barbados
84. Aruba (Neth.)
85. Cuba
86. Ukraine
87. Peru
88. Algeria
89. Republic of Macedonia
90. Uruguay
91. Sri Lanka
92. Bolivia
93. Suriname
94. Fiji
95. Grenada
96. Brazil
97. Dominica
98. Armenia
99. Thailand
100. eSwatini
[The Rankings are based on information made available by each country to international education, economic, and intelligence Sources ]
101. El Salvador
102. Guatemala
103. British Virgin Islands (UK)
104. Sao Tome and Principe
105. Niue (NZ)
106. Kiribati
107. Seychelles
108. Morocco
109. Venezuela
110. Cambodia
111. Turkmenistan
112. Kuwait
113. Trinidad and Tobago
114. Guyana
115. Cape Verde
116. Belize
117. Saint Lucia
118. Saint Vincent and the Grenadines
119. India
120. Egypt
121. Cameroon
122. Senegal
123. North Korea
124. Laos
125. Panama
126. Lesotho
127. Puerto Rico (US)
128. Bhutan
129. Antigua and Barbuda
130. Saint Kitts and Nevis
131. San Marino
132. Palau
133. Tuvalu
134. South Africa
135. Rwanda
136. Benin
137. Honduras
138. Lebanon
139. Jamaica
140. Bosnia and Herzegovina
141. Bangladesh
142. Burma (Myanmar)
143. Malawi
144. Mauritania
145. Namibia
146. East Timor
147. Solomon Islands
148. Vanuatu
149. Bahamas
150. Ethiopia
151. Philippines
152. Uganda
153. Burkina Faso
154. Paraguay
155. Palestine
156. Gambia
157. Tonga
158. Bermuda (UK)
159. Nauru
160. Pakistan
161. Cote d’Ivoire
162. Mali
163. Togo
164. Sierra Leone
165. Republic of the Congo
166. Botswana
167. Equatorial Guinea
168. Djibouti
169. Marshall Islands
170. Sudan
171. Mozambique
172. Madagascar
173. Niger
174. Chad
175. Liberia
176. Libya
177. Comoros
178. Tanzania
179. Iraq
180. Burundi
181. Guinea
182. Eritrea
183. Nicaragua
184. Federated States of Micronesia
185. Nigeria
186. Yemen
187. Zimbabwe
188. Haiti
189. Papua New Guinea
190. Gabon
191. Guinea-Bissau
192. Angola
193. Afghanistan
194. Syria
195. Zambia
196. Kosovo
197. Democratic Republic of the Congo
198. Andorra
199. Central African Republic
200. South Sudan
201. Somalia
NOT RANKED: England , Northern Ireland , Scotland , Wales , Monaco, Vatican City, Mayotte (France) , Reunion (France), Canary Islands (Spain) , Ceuta (Spain) , Madeira (Portugal) , Melilla (Spain) ,Saint Helena (United Kingdom)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫