ইউরোপের সমাজ বিজ্ঞানীরা শত বছর গবেষণা করে ইউরোপের মানুষের প্রকৃতি, আচার বিশ্লেষণ করে ইউরোপের সমস্যা সমাধানের জন্য একটা পদ্ধতি বের করেছে। কোন রকম পড়াশোনা না করে, ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক না দেখে, বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপট বিচার বিবেচনা না করে সেই আইডিয়া অনেকটা "চুরি" করে কপি-পেস্ট করলে তার থেকে উপকার পাবার আশা অসম্ভব স্বপ্ন, বালখিল্যপনা এবং চুড়ান্ত মুর্খামি। শুধু এই ক্ষেত্রে না, প্রায় সবই ক্ষেত্রেই একই অবস্থা। মা দিবস, বাবা দিবস, হ্যালোইন, নতুন বছর উজ্জ্বাপন, ভ্যালেন্টাইন ডে, আমেরিকান আইডল দেখে ক্লোজআপ ওয়ান, ইত্যাদি এবং ইত্যাদি। ইউরোপের এই আচারগুলোকে এই মূর্খের মত দেশে কপি-পেস্ট করে একটা উদ্ভট পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। অথচ এখানে এইসব দিবস এরা এত চমৎকার ভাবে পালন করে। একটা উৎসব উৎসব আমেজ আসে।
৫৭ টি মুসলিম দেশের কোথাও এই হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক নেই। তুরস্কে হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক শুরু করেছিলো, চলে নাই, বন্ধ করে দেয়। তুরস্কের ৪০ থেকে ৫০ ভাগ মানুষ চলনে, বলনে পুরা ইউরোপীয়নদের মত কিংবা কয়েক ডিগ্রি উপরে। এরপরেও সেখানে এটা চলে নাই। আর বাংলাদেশে চলবে? কতটা জনবিচ্ছিন্ন চিন্তা ভাবনা। বরং যদি বিরোধিতা না হতো তাহলেই আমি অবাক হতাম।
কেন এই হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ, কিভাবে চালু করলে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য হবে, যে যে কারনে বিরোধিতা হচ্ছে, সেই কারনগুলো সমাধান কিভাবে হবে, কিংবা সেই কারনগুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ না। এই ব্যাপারগুলো নিয়ে গবেষণা করে চালু করলে সেটা কার্যকর হতো। এই মূর্খগুলোর সেই উপলব্ধি নেই।
এদের মূর্খ বলছি এটা অপছন্দ করতে পারেন। কারন তারা অনেক জ্ঞানী। অনেক বড় ডিগ্রি নেওয়া। স্বীকার করছি হ্যাঁ, এরা হয়তো বোর্ড স্ট্যান্ড করা মানুষ। কিন্তু এরা হল তারা যারা নানান নোট মুখস্ত করে পরীক্ষার খাতায় তা উগ্রে দিয়ে ভাল নম্বর পেয়েছে। এখনো সেই কাজ করতেছে, ইউরোপের প্রথা গিলে বাংলায় সেটা বমি করার করছে...
ইউরোপের মত হতে চাইলে ইউরোপের সমাজ বিজ্ঞানীদের মত পরিশ্রম করতে হবে, সাধনা করতে হবে। আইডিয়া চুরি করে হবে না...
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৪