প্রথমেই বলে রাখি রাফউল ইয়াদাইন করা না করা নামাজের জন্য ক্ষতি বা বিশেষ আমলের কিছু নয় । করলে রাসুল (সঃ) এর সুন্নাত পালন করা হয় আর না করলে নামাজে বিশেষ কোন ক্ষতি হয় না সুতরাং এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই । রাফউল ইয়াদাইন কে আমি উদাহারন হিসেবে এখানে নিলাম যাতে আমরা বুঝতে পারি কিভাবে আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় মতভেদ তৈরি হয় ।
রাফউল ইয়াদাইন কি ? রাফউল ইয়াদাইন হলো রুকুর আগে এবং পরে তাকবীর তাহরীমা বলে কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠানো । এটা নিয়ে কিছু আলেমের মধ্যে বিতর্ক হওয়াতে আমি নিজেই খোঁজ করতে থাকলাম কোনটা সঠিক । বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক অনুবাদকৃত আবু দাউদ শরীফে দেখলাম রাফউল ইয়াদাইন একটি সহি হাদিস । একবার হাত উঠানোকে আবু দাউদ নিজেই সহি নয় বলেছেন । (হাদিস-৭৫২)
বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক অনুবাদকৃত আবু দাউদ শরীফ
কিন্তু আমি বাজারে যে আবু দাউদ শরীফ কিনতে গেলাম সেটা চট্টগ্রামের জনৈক মাওলানা দ্বারা অনুবাদকৃত । তিনি তার অনুবাদ সংস্করণ থেকে ঈমাম আবু দাউদের ৭৫২ নং হাদিস সম্পর্কে যে উদ্রিতি দিয়েছেন তা তিনি কেটে দিয়েছেন বা রাখেন নি । এখন আমরা যারা সাধারণ জনগন আমরা কোনটা গ্রহন করবো ?
চট্টগ্রামের জনৈক মাওলানা দ্বারা অনুবাদকৃত
এমন বেশ কিছু হাদিসেই গরমিল রয়েছে । যেসব নিয়ে আমাদের দেশে বিতর্ক হয় । যিনি হানাফি মাযহাব অনুসরণ করেন তিনি তার মত করে অনুবাদ করেন । যদি বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক অনুবাদকৃত আবু দাউদ শরীফ সত্যি হয় তাহলে ত চট্টগ্রামের জনৈক মাওলানা যিনি অংশ বিশেষ কেটে দিয়েছেন তাকে জ্ঞান পাপী বলতে হয় । আমরা কোনটা বিশ্বাস করবো ?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯