দেশের সব প্রতিষ্ঠানেই ছাত্র রাজনীতি করতে দেয়া উচিত। কারণ এখনকার ছাত্রদের থেকেই দেশের ভবিষৎ নেতৃত্ব তৈরি হবে। হুম প্রশ্ন থাকতে পারে এখন যে রকম নোংরা রাজনীতি চলছে সেটা ছাত্রদের জন্য কতটা উপকারী? অবশ্যই উপকারী নয় এটা আমি স্বীকার করছি। তবে এই চলমান নোংরা রাজনীতির বিপরীতে দাঁড়িয়ে শুদ্ধ রাজনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়াই ছাত্রদের দায়িত্ব। রাজনীতি খারাপ এটা বলে ছি ছি করে সবাই দূরে চলে গেলে রাজনীতি আরো খারাপ মানুষের হাতে যাবে। দেশ আরো ধ্বংসের দিকে যাবে।
এটা ঠিক যেখানে বর্তমানে দেশের কোনো কিছুই শুভ কিছুর ইঙ্গত করছে না সেখানে আমরা ভালো ছাত্র রাজনীতিও প্রত্যাশা করতে পারি না। দেশের ভবিষৎ যদি আমরা ভালো চাই তবে এই অবস্থা থেকে আমাদের বের হতে হবে। আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সুস্থ রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের। তরুণ প্রজন্মই (ছাত্ররাই) পারে একটি জাতির ইতিহাস বদলে দিতে। তাদেরকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।
আর এই এগিয়ে আসার মানে এটা নয় যে, সবাইকেই রাজনীতি করতে হবে। তবে রাজনীতি না করলেও সবাইকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন হওয়া জরুরী। একটি দেশের সব কিছুর সাথে রাজনীতি জড়িত। সে কারণে রাজনৈতিকভাবে অসচেতন ব্যক্তি সবকিছু থেকেই পিছিয়ে থাকেন।
তবে এটাও ঠিক যে মাঠে ময়দানে মিছিল মিটিংই যে কেবল রাজনীতি তা নয়। যার যার ক্ষেত্র থেকে পছন্দের দর্শন নিয়ে কাজ করাটাই রাজনীতি। আর এই কাজই সমষ্টিক অর্থে জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। সে কারণেই সবার আগে নিজেকে আগে রাজনীতি সচেতন হতে হবে। অন্যদেরও রাজনৈতিকভাবে সচেতন হতে উৎসাহিত করতে হবে।
আর মানুষ যদি রাজনীতি বিমুখ হয়ে যায় তাহলে সাধারণ মানুষেরই ক্ষতি। সুবিধাটা গুটি কয়েক মানুষের যারা চায় না মানুষ সচেতন হোক। মানুষ নিজের অধিকার আদায় করতে শিখুক। রাজনীতি শুধু রাজনীতি নয় এটা মূলত অধিকার আদায়ের লড়াই। এ লড়াইয়ে সবার হাতে হাত রেখে কাজ করতে হয়। ঘরে বসে কোনো অধিকার আদায় হয় না।
এইসব রাজনৈতিক দর্শন, চিন্তা, পছন্দ-অপছন্দ তৈরি হওয়ার সময় তরুণ সময়কাল। সে কারণে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ বা অসমর্থন নয় বরং আদর্শিক ছাত্র রাজনীতিকে উৎসাহিত করা জরুরী।
#সানাউল্লাহ_সাগর
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




