
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকাসহ সারাদেশে ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষণসহ নানা ঘটনার চর্চা হচ্ছে। এর মানে এটা নয় যে বাংলাদেশে এসব নতুন ঘটছে। এগুলো পুরাতন ব্যাপার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বেশি হচ্ছে।
একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন যারা এসবের সাথে জড়িত তারা আগে ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি করতো, নয়তো রিকশা-রিকশা থেকে চাঁদা তুলতো। এখন এগুলো বেশিরভাগই কমে গেছে। যে কারণে তাদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে। আর এই চাঁদাবাজীর সাথে সরাসরি জড়িত যারা তারা বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে এইসব ছিনতাই-ডাকাতিকে বেছে নিয়েছে।
তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এগুলো বেড়েছে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ পরিকল্পিতভাবে এসব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় তৈরি করতে চাচ্ছে। যে রকম ৫ ই আগস্টের পর স্বৈরাচারের দোসর হতাশাবাদীরা ‘গেল... গেল’ বলে প্রচার করতে ছিল। এখনো তাই করছে। অন্যের বিপদে, দেশের বিপদে যেন তারা খুশি!
ভয় পাইয়ে দেয়াটাই তাদের রাজনীতি। সেটা যারা করতে চাইছিল তারা অনেকটাই সফল। তারা কী চাচ্ছে সেটা অনেকটা স্পষ্ট। তাদের বিশ্বাস যাই হোক দেশের দায়িত্ব শেখ হাসিনা নিলেই যেন দেশ নিরাপদ থাকবে।
কিন্তু প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে তারা যা-ই চাচ্ছে সেটার বাস্তাবায়ন ঘটবে না।
তারপরও সারাদেশে এই যে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে এর দায় অবশ্যই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার। বর্তমান সরকারের। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তার দায়িত্ব সামলাতে না পারলে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়া হোক।
সর্বশেষ কথা হলো সবকিছুর দায় শুধু সরকারকে দিলে হবে না; আমাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। যার যার জায়গা থেকে সবার সচেতন থাকতে হবে। নিজেকে যেমন রক্ষা করতে হবে সাথে অন্যের বিপদে তার পাশে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখবেন, সবার সম্মিলিত চেষ্টাই পারে সকল অপশক্তি রুখে দিতে।
*ছবি (মোহাম্মদপুরে মার্কেট পাহারা দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




