সন্ধ্যে বেলায় হেঁটে যেতাম তোমার বাড়ির দিকে
যদি একবার তুমি বেলকনিতে আসো,
কিন্তু আসো না কোন নিয়ম করেও!
দোতলা বাড়ি, দোতলাতেই তোমার ঘর,
এই যে একটার পর একটা জানালা
দরজার চৌকাঠ বা তোমার বাড়ির বেলকনিতে
গুরুত্ব আছে এমন কোন কাজ নেই,
তবু বিনা কাজ টাই তখন মহা কাজ।
সন্ধ্যা এক একটা নিয়ম ভাঙার মতো করে
আমি তোমার থেকে দূরে থাকার নিয়ম ভাঙ্গি।
তুমি যে নিয়ম করে বেলকনিতে আসো না
আসো না কোন আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েও
একজন অবিবাহিত পুরুষ মানুষ যে রোজ সন্ধ্যেতে হাজিরা দিতে আসে, সে খবর কি রাখো?
অথচ তোমার কি জানা আছে
হুট করে আসা বৈশাখী ঝড়ে মত ভয়ানক ভাবে
এসেই তুমি আমাকে কিছু তছনছ করে যাও
নিত্য জ্বালাও, নিত্য পোড়াও।
কিন্তু তুমি ঠিক আসো, ঠিকই আসো
এইতো ধরো মিনিট পাঁচেক
আট জনমের শত্রুতা আছে, এমন শত্রুর মত!
কিংবা ঘাতিকার মত, চাপা দীর্ঘশ্বাসের মত
একজনমের তপস্যারত চাতকের জল পানের মত।
অথচও আমি ডাকলে আসো না,
আস না যখন অপেক্ষায় বসে থাকি তখনও!
পায়ের গতি কমিয়ে লক্ষ্য করি,
সন্ধ্যে বেলা সন্ধ্যে বাতি জ্বেলে দেয়ার মত করে
হুট করে পথ ঘাট হৃদ চৌকাঠ মাড়িয়ে তুমি আসো।
'তুমি' টা আসো! হুট করে আসো,
এসেই ভালোবাসি, শুধু ভালোবাসি সেই অপরাধে,
আমাকে ডুবাও আবার আমাকে ভাসাও
আমি মরি,যেন মহামারী
জোড়া নাকি ভাগ্যে লেখা থাকে
তবে রোজ সন্ধ্যে বেলায় এত অস্থিরতা কেন?
কোন জ্যোতিষী উত্তর দেবে?
কেন তুমি প্রতিনিয়ত আমায় নাশো?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৬