somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ- জি.সি দেব (বই রিভিউ)

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জি.সি দেব- বাংলাদেশের একজন শহীদ বুদ্ধিজীবী। ১৯৭১ সালের ২৫শে আগস্ট রাতে তাকে মেরে ফেলে পাকিস্তানী সেনারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের শিক্ষক ছিলেন। এবারের বইমেলায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত “শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ-জি.সি দেব” বইটা কিনলাম। ভাবলাম তার দর্শন জানা দরকার।

বইটাতে মোট ১০ টা প্রবন্ধ আছে। বড় না, ছোট ছোট প্রবন্ধ। পড়ে ফেললাম সব গুলো এই গ্রীষ্মের বন্ধতে। তবে পড়ে ভাল লাগে নি। পড়ে যা বুঝলাম তাতে মনে হল তিনি একজন ভাববাদী দার্শনিক। বিজ্ঞানের প্রতি তার নিন্দা ছিল অনেক। এই নিন্দার পেছনে যুক্তি দেখান নি তিনি (মনে রাখতে হবে তিনি ভাববাদী, যুক্তিবাদী না)। তিনি একভাবে “আলুর দর্শনে” বিশ্বাসী (তার দ্বিতীয় প্রবন্ধটি ছিল এই নিয়ে)। দেহত্মবাদ ও আধ্যাত্মবাদ এর সমঝোতার মধ্যে সৃষ্ট জীবন দর্শনকে তিনি বলছেন আলু-দর্শন।
তিনি প্রায় সব প্রবন্ধেই ভাববাদী ধারনা থেকে সভ্যতার ভাঙনের কথা বলেছেন আর এর কারন হিসেবে দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞান কে! আমার জানামতে যুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বাসের অবস্থান ঠুনকো। আর তিনি এই যুক্তি ও বিশ্বাসের মিলন চেয়েছেন তার লেখায়।
তবে তার যে প্রবন্ধ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে তা হল, “মুসলিম দার্শনিকের স্বকীয়তা”। অনেকেই মনে করেন যে মুসলিম দার্শনিকরা গ্রীক দার্শনিকদের প্রভাব দুষ্ট। কিন্তু জি.সি দেব দেখান যে, গ্রীক দার্শনিকের প্রভাব থাকা সত্ত্বেও অনেক মুসলিম দার্শনিক ছিলেন স্বকীয়।
বার্ট্রান্ড রাসেলের যুক্তিবাদের প্রতি “আসক্তিকে” তিনি মানুষের জীবন সমস্য সমাধানে অপারগ বলে মনে করেন তিনি। তাহলে সমস্যার সমাধান কি? তা তিনি দেখেছেন, বুদ্ধের “মধ্যপথের” ভেতরে। তিনি এই “মধ্যপথ” কে খুঁজে পেয়েছেন বৈজ্ঞানিক জড়বাদ ও অধ্যাত্মবাদের সামঞ্জস্যের মধ্যে! তবে এই সামঞ্জস্য তিনি কিভাবে আনতে চেয়েছেন তা আমার কাছে স্পষ্ট না। বিজ্ঞান আর অধ্যাত্মবাদ কিভাবে একসাথে চলতে পারে? যেখানে উভয়ের অসস্থান বিপরীতমুখী।
আবার এই মধ্যপথে না চললে বিজ্ঞানের কুসংস্কার থেকে মুক্তির উপায় নেই বলে তিনি দাবি করেছেন! বিজ্ঞানের কুসংস্কার কি? যুক্তিবাদকে তিনি বলছেন বড় কুসংস্কার। এ কুসংস্কার থেকে মুক্তি কি? তার মতে, অধ্যাত্মবাদে বিশ্বাস স্থাপন করা!

তার দর্শন পড়ে আমার ভাল লাগে নি তেমন। আপনারা পড়ে দেখতে পারেন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×