somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেখ ইয়াহইয়া জোয়ান সুকুইল্ল্যো

০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



(শেখ ইয়াহইয়া জোয়ান সুকুইল্ল্যো ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো শহরে জন্ম গ্রহণ করেন৷ ইকুয়েডরে তিনিই সর্বপ্রথম ব্যক্তি যিনি জনসম্মুখে ইসলামগ্রহণ করেছেন৷ দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিমপ্রান্তে প্রশান্ত মহাসাগর ঘেঁষে ইকুয়েডরের অবস্থান৷ ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে লেবানন, ফিলিস্তীন, সিরিয়া ও মিসর থেকে অভিবাসী হয়ে হাতে গণা কিছু মুসলিম সর্বপ্রথম এ দেশে আগমণ করে৷ কিন্তু তারা খুব সচেতনভাবে ধর্মপালন করত না৷ তাই বিংশ শতাব্দীর আশির দশকের আগ পর্যন্ত স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে ইসলাম গ্রহণের ঘটনা ছিল খুবই বিরল৷ তবে আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে ভাগ্যের অন্বেষণে বিদেশে পাড়ি জমানো কিছু ন্যাটিভ ইকুয়েডরিয়ান ইসলাম গ্রহণ করেন৷ এঁরা দেশে ফিরে ইসলাম প্রচারে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে থাকেন৷ ফলে নব্বইয়ের দশক থেকে স্থানীয় অধিবাসীদের ইসলাম গ্রহণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ বর্তমানে ইকুয়েডরে মুসলিম জনসংখ্যা অভিবাসী-স্থানীয় মিলে পাঁচ-ছয় হাজারের মত৷ প্রতি শুক্রবারেই এখানে কমপক্ষে একজনের ইসলাম গ্রহণের দৃশ্য দেখা যায়৷ ১৯৮৮ সালে একটি মুসলিম সংগঠনের প্রচেষ্টায় কুইটো শহরে এ দেশের প্রথম মসজিদটি নির্মিত হয়৷ | THE CENTRO ISLAMICO DEL ECUADOR MASJID "ASSALAAM" এখানকার প্রথম মুসলিম সংগঠন, যেটি ইকুয়েডরিয়ান সরকারের স্বীকৃতি লাভ করেছে ১৯৯৪ সালে৷ সংস্থাটির যাবতীয় কার্যক্রম পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় যা তার মূলনীতিতে শুরুতেই স্পষ্ট করে বলা আছে৷ এই সংস্থারই পরিচালক হিসাবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন শেখ ইয়াহইয়া জোয়ান সুকুইল্লো, যিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন৷ ইকুয়েডরের গুয়াকুইল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক নবমুসলিম ছাত্রী আছিয়া ফাতিমা ২০০৮ সালের মে মাসে তাঁর একটি সাক্ষাত্‍কার গ্রহণ করেন, যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়)



প্রশ্ন : আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আমাদের কিছু বলবেন কি?

শেখ ইয়াহইয়া : আমি ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোতে জন্মগ্রহণ করেছি এবং সেখানেই বড় হয়েছি৷ আমরা দুই ভাই এবং এক বোন৷ আমি সবার বড়৷ আমার বাবা-মা আমার তিনজনকেই সমান ভালোবাসা ও আদর-স্নেহ দিয়ে মানুষ করেছেন৷ আমি ভাগ্যবান যে এমন মনলোভা প্রীতিপূর্ণ ঘরোয়া পরিবেশে আমি মানুষ হয়েছি৷ শৈশবে ছোট ভাইয়ের সাথে খেলনা গাড়ি চালানো আর আমার বাবার সাথে শিকারে বের হওয়া আমি খুব উপভোগ করতাম৷ বন্ধু নির্বাচনে আমি শুরু থেকেই বেশ শুকচেরা টাইপের ছিলাম৷ খুব ভদ্র আচরণের বন্ধুই ছিল আমার পছন্দনীয়৷

প্রশ্ন : আপনার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে কিছ বলুন৷

শেখ ইয়াহইয়া : আমি বারো বছর বয়সে একটি মিলিটারী একাডেমীতে শিক্ষা লাভ করি৷ যতদূর মনে পড়ে, আমি সেখানে কৃতি শিক্ষার্থী হিসাবে পুরষ্কার লাভ করেছিলাম৷ মিলিটারী সাইন্স ও ম্যানেজমেন্ট_ এই দুটি বিষয়ে আমি ব্যাচেলর ডিগ্রী লাভ করি এবং পরবতর্ীতে মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ে 'শরী'আ' অনুষদ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করি৷ বর্তমানে আমি ইকুয়েডরের এক ইসলামিক সেন্টারের ইমাম হিসাবে কর্মরত৷ আমি ইংরেজী, স্প্যানিশ ও আরবী ভাষায় কথা বলতে পারি৷

প্রশ্ন : সর্বপ্রথম কিভাবে আপনি ইসলামের সংস্পর্শে আসেন?

শেখ ইয়াহইয়া : আমি সর্বপ্রথম ইসলামের সংস্পর্শে আসি যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার এক প্রাক্তন আরব ক্লাসমেটের মাধ্যমে৷ ইসলামকে তখন আমার খুবই আকর্ষনীয় মনে হয় কেননা তা আমার কাছে ছিল প্রাকৃতিক, সহজ-সরল অনাড়ম্বর, আন্তরিক ও সম্মানপূর্ণ একটি জীবনব্যবস্থা৷ ইসলাম আমার উপকারে এসেছিল, কেননা এর মাধ্যমেই আমি একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পারলাম যে, কোনটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা৷ ইসলাম প্রত্যেকের জন্যই এমন উপকার বয়ে আনতে পারে কেননা এটি মানুষের নৈতিক ও আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সুগঠিত, পরিমার্জিত ও কাঠামোবদ্ধ করে দেয়৷ আমার পিতা-মাতা তাদের আজন্ম লালিত ভালোবাসা দিয়ে আমার ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন৷ সম্ভবত: ইসলাম গ্রহণের পর আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল একজন উপযুক্ত স্ত্রী পাওয়া৷ আলহামদুলিল্লাহ আমি এখন সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করছি৷ আমার ছয় সন্তান, যাদের দুজন বিদেশে পড়াশোনা করছে৷ একজন মিশরের আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে, আরেকজন মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে৷

প্রশ্ন : ল্যাটিন ও মুসলিম সংস্কৃতির মাঝে আপনি কোন সাদৃশ্য খুঁজে পান?

শেখ ইয়াহইয়া : হ্যা! অনেক৷ কেননা ল্যাটিন আমেরিকা জাতিসমূহ আদিতে স্পেনের অধিবাসী ছিল৷ ইসলামী সভ্য-সংস্কৃতির অনেক কিছুর সাথেই তাদের মিল পাওয়া যায়৷ আমাদের উভয়েরই রয়েছে পরিবার প্রথা৷ উভয়েরই রয়েছে বড়দের প্রতি শ্রদ্ধার ঐতিহ্য৷ আমাদের ভাষার মূল উত্‍সও অভিন্ন৷ বহু স্প্যানিশ অক্ষর রয়েছে যা আরবী থেকে উদ্ভূত৷ যেমন_ কামিসা (জামা), গাতো (বিড়াল) ইত্যাদি শব্দসমূহ৷ ল্যাটিন ও মুসলিম সংস্কৃতির লোকদেরকে দেখতেও অনেকটা একরকম মনে হয়৷

প্রশ্ন : আপনার অভিজ্ঞতায় ল্যাটিন মুসলিম সমপ্রদায়কে কি কি সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে বলে মনে করেন?

শেখ ইয়াহইয়া : মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের সমস্যাগুলো সারাবিশ্বের মুসলমানদের বৈশ্বিক ইমেজে প্রভাব ফেলে৷ বহু অমুসলিম ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা এবং ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে মিডিয়ার একদেশদশর্ী প্রচারণার ফলে ইসলাম সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখায় না৷ এ সকল ভ্রান্ত ধারণা আমাদের কাজকে অনেক কঠিন করে দিয়েছে৷
প্রশ্ন : আপনি সমালোচকদের এ কথাকে কিভাবে নেন যারা বলেন_ ল্যাটিন অঞ্চলে ইসলামী দা'ওয়াত মুলত: বিজাতীয় অনুপ্রবেশ?
শেখ ইয়াহইয়া : আমাদেরকে আসলে ল্যাটিন অঞ্চলে ইসলামী দাওয়াতের তাত্‍পর্য বুঝতে হবে৷ জাতীয়তাবাদ ইসলামে একটি ঘৃণীত বিষয়৷ ইসলামে আমরা সকলেই ভাই-বোন৷ তাই ল্যাটিন জনগণকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেয়ায় কোন জাতীয়বাদী ছাপ খোঁজার সুযোগ নেই৷ উদাহরণস্বরূপ স্প্যানিশ ভাষায় দাওয়াত প্রদান করা_এটা গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এর অর্থ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-পঞ্চমাংশের কাছে দাওয়াত পেঁৗছানো৷ আমাদেরকে বরং জোর আত্মজিজ্ঞাসায় বসতে হবে যে, কেন আরো বেশী সংখ্যক ল্যাটিন জনগণ ইসলাম গ্রহণে এগিয়ে আসছে না? যাতে আমরা তাদের প্রয়োজন, তাদের ভীতি-সংশয় এবং তাদের চিন্তা-ভাবনার আরো কাছাকাছি হতে পারি৷

প্রশ্ন : আপনার কি এমন কোন মজার অভিজ্ঞতা, গল্প বা ব্যক্তিগত অর্জন রয়েছে, যা আমাদের সাথে শেয়ার করতে চাইবেন?

শেখ ইয়াহইয়া : হ্যা! আমি প্রকাশ্যে ইসলামগ্রহণকারী সর্বপ্রথম ইকুয়েডরিয়ান৷ আমিই প্রথম ইকুয়েডরিয়ান যে কোন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করেছে৷ ইকুয়েডরে প্রথম স্বীকৃত ইসলামী সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতেও রয়েছে আমার সহযোগিতা৷ আমাদের এই ইসলামী সেন্টারটি বহির্বিশ্ব থেকে কোন সাহায্য গ্রহণ করে না৷
১৯৯৯ সালে আমি স্বপরিবারে হজ্জে গমণ করি৷ জেদ্দা বিমানবন্দরের নামার পর কাস্টমস্ অফিসে আমার দেশের নাম 'ইকুয়েডর' বললে কাস্টম্স অফিসার তার কম্পিউটারে আমার দেশের নাম খুঁজে পেলেন না৷ তখন আমি আমার স্ত্রী এবং সন্তানদের দিকে তাকিয়ে আবেগে বলে ফেলেছিলাম_ 'নিশ্চয়ই! আমরাই ইকুয়েডরের ইতিহাসে হজ্জে আগমনকারী প্রথম পরিবার!!'
আমি চলি্লশেরও বেশী ইসলামী বই, পামফ্লেট এবং অডিও লেকচার ইংরেজী থেকে স্পানিশ ভাষায় অনুবাদে সহযোগিতা করেছি৷ আমার অনুবাদ করা কিছু বইয়ের নাম_"Understanding Islam and Muslims", "Muhammad in Bible", "Muslim Christian Dialogue", "The Miracles of Quan", "Human Rights in Islam"|

প্রশ্ন : বর্তমানে দক্ষিণ আমেরিকায় দাওয়াতী কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু বলুন৷

শেখ ইয়াহইয়া : অধিকাংশ লোকই জানে না যে, দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিটি দেশের রাজধানী শহরেই ইসলামী সেন্টার রয়েছে৷ এখানে রয়েছে ৩৫টির মত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও ইসলামী সংগঠন৷ ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এ সকল সংগঠনসমূহের পরিচালকগণ ওঝঊঝঈঙ (ইসলামিক এডুকেশনাল সাইন্টিফিক এণ্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন)-এর তত্ত্বাবধানে প্রতিবছর বার্ষিক সমাবেশে একত্রিত হন৷ যেখানে তারা ল্যাটিন আমেরিকার জনগণ ও মিডিয়ায় ইসলাম ও মুসলমানদের ইমেজ বৃদ্ধির উপায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন৷

প্রশ্ন : আপনার লক্ষ্যগুলো কি? কোন প্রত্যাশা বা সংশয়?

শেখ ইয়াহইয়া : বেশ, অবশ্যই৷ আমি আল্লাহর সাথে আমার সম্পর্ক দৃঢ় করতে চাই৷ আমি ভয় করি আল্লাহর শাস্তিকে৷ আর আমি এক পরিশীলিত জীবনযাত্রার মানে উন্নীত হতে চাই৷ চাই একটি প্রশান্তিময় ও ভালবাসাপূর্ণ পরিবেশ৷ আমার একান্ত কামনা_ একটি শান্তিময় পৃথিবীকে দেখা৷ বিশ্বব্যাপী শান্তি বজায় রাখতে আমাদের সকলেরই প্রয়োজন_ এক ও অভিন্ন একটি অবস্থান খোঁজা৷ পবিত্র কুরআন, সুন্নাহ এবং ছাহাবায়ে কেরামের দৃষ্টান্তপূর্ণ জীবনী থেকে ইসলামের যেসব মূলনীতি ফুটে উঠেছে তা একটি শান্তিময়, দয়া-সহানুভূতির পৃথিবী গড়ার জন্য খুবই প্রয়োজন৷

প্রশ্ন : ল্যাটিন মুসলমামদের উদ্দেশ্যে আপনার বিশেষ কোন বক্তব্য রয়েছে?

শেখ ইয়াহইয়া : হ্যা! আমাদের জন্য এক বিরাট ভবিষ্যত্‍ অপেক্ষা করছে যদি আমরা সেজন্য কঠোর পরিশ্রম করি৷ আমাদের জন্য প্রয়োজন নিজেদের এবং বিভিন্ন অঞ্চলের দাওয়াহ কমর্ীদের (দাঈ) প্রশিক্ষিত করে তোলা_ যেমন তুলনামুলক ধর্মতত্ত্ব এবং ইসলামিক লীডারশিপের মত বিষয়গুলোতে৷ আমাদের ভাই-বোনদেরকে বিদেশের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে জ্ঞানার্জনের জন্য পাঠানোর সুযোগ খুঁজতে হবে৷ আমাদের ভাই-বোনদের উত্‍সাহিত করতে হবে সম্ভব হলে যেন তারা নিজেদের দেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়৷ আর আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে এবং আমাদের মত অন্য যারা রয়েছে তাদের সাথে কিভাবে এ্যাপ্রোচ করতে হবে সে বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দেওয়া প্রয়োজন মুসলিম বিশ্বসংস্থাগুলোকে৷ পারস্পারিক যোগাযোগ এ ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ উদাহরণস্বরূপ_ ইসলামী সম্মেলন ও কর্মশালাগুলোকে সারা বিশ্ব থেকে এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী থেকে প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ করার জন্য আমরা উত্‍সাহিত করতে পারি৷

প্রশ্ন : সাধারণভাবে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে আপনার বক্তব্য কি?

শেখ ইয়াহইয়া : আমাদের নবী মূসা (আঃ) তাঁর জীবনকালের ৪০ বছরেই ইহুদী সমপ্রদায়ের দাসত্বের মনোবৃত্তি উচ্ছেদ করেছিলেন৷ আমাদের শেষ নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) মাত্র ২৩ বছরের মধ্যেই কাবাগৃহকে মূর্তির হাত থেকে উদ্ধার করেন৷ উল্লেখিত এই স্বল্পমেয়াদী টাইমলাইনগুলো বর্তমান পৃথিবীতে নতুন ইসলামী রেনেসাঁর জাগরণ ঘটাতে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে৷ এ লক্ষ্যে সমসাময়িক ইসলামী চিন্তাধারা অবশ্যই হতে হবে রাসূল (ছাঃ)-এর সময়ের মত গতিশীল এবং পরিস্থিতির সাথে সঙ্গতিশীলভাবে নমনীয় অথচ দৃঢ় ও সুবিন্যাস্ত৷ আর তা হতে হবে অবশ্যই আইন প্রণয়নের মূল সূত্র তথা পবিত্র কুরআন এবং সুন্নাহের যথাযথ অনুসরণের মাধ্যমে৷ আল্লাহর আনুগত্যে যদি আমরা একতাবদ্ধ হই তবে আমরা দৃঢ়পদে দাঁড়াতে পারব৷ মানুষ হিসাবে আমরা সকলেই ভাই ভাই৷ আমাদের প্রয়োজন শান্তিপূর্ণ আলোচনার প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করা এবং একে অপরকে গ্রহণ করার মনোবৃত্তি জাগ্রত করা৷ আর প্রকৃত হেদায়াত কেবলমাত্র আল্লাহর কাছ থেকে আসতে পারে৷ তিনি যাকে ইচ্ছা হেদায়াত করে থাকেন৷ তাই বিশেষত: ল্যাটিন অঞ্চলে যারা দাওয়াতী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী তাদের প্রতি আমার উপদেশ_ ধৈর্য ধরুন! কেবল ধৈর্য এবং ধৈর্য!!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তোমাকে লিখলাম প্রিয়

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০১


ছবি : নেট

আবার ফিরে আসি তোমাতে
আমার প্রকৃতি তুমি,
যার ভাঁজে আমার বসবাস,
প্রতিটি খাঁজে আমার নিশ্বাস,
আমার কবিতা তুমি,
যাকে বারবার পড়ি,
বারবার লিখি,
বারবার সাজাই নতুন ছন্দে,
অমিল গদ্যে, হাজার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

×