somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশের শ্রেষ্ট সন্তান

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যখন সরকারী ফোর্স ব্যবহার করে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে এ দেশের মানুষকে ডাউন করে রাখতে চেয়েছিল পাক সরকার তখনকার প্রতিকূল পরিবেশ বোঝা এই জেনারেশনের পক্ষে সম্ভব না। সেই ভয়াবহ অবস্থাকে ভয় না পেয়ে যারা অস্ত্র হাতে দানব শক্তির বিরুদ্ধে নামতে স্পর্ধা করেছিল, যে আবেগ নিয়ে যুদ্ধে নেমেছিল সেটা এখনকার জেনারেশন বুঝতে পারবে না।
তখন যদি এই সোনার সন্তানেরা না নামত হয়ত আজো উর্দুভাষীদের দ্বারা নির্যাতিত নিপিড়িত হইতে হইত আমাদের। জামাত/রাজাকার দলগুলো তখন ক্ষমতা পরিচালনা করত আর জীবনকে ত্যানা ত্যানা করে ফেলত।
যাইহক, সেই ভয়াবহ অবস্থা থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। জামাত নামক বিষফোঁড়া থেকেও এই দেশ মুক্তি পাবে আশা করা যায়। কিন্তু স্বাধীনতার সুফল জনগণকে না দিয়ে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এর শুরুটা করেছিলেন স্বয়ং বংগবন্ধু। তাঁর উচিত ছিল ইন্দিরা গান্ধীর সাথে থেকেই দেশ পরিচালনা করা। একক বাকশাল ইত্যাদি রাশিয়ার পরামর্শ মেনে করা হয়েছিল যা বংগবন্ধু'র সাথে যায় না। কিন্তু ভুল পথে পা দিয়ে ফেরত আসা খুবই কঠিন, সেই ভুলের মাশুল দিতে হইল তাঁকেই।
মাওলানা, তাজ সাহেব উনাদের সাথে নিয়ে কওমী নেতৃত্ব নিয়ে ভালই দেশ চালান যেত যা শেখ সাহেব গোনায় ধরেন নি। ফলে অবিসংবাদিত নেতা' হিসাবে অবিতর্কিত অবস্থান তাঁর জন্য প্রযোজ্য হইতে পারে না।
আজকে দেশের যে ভয়াবহ দুর্নিতি ইহা শেখ সাহেবের ব্যর্থতার ক্রমাগত ফলাফল। উনার থেকে ক্ষমতা আনার্কি, তারপর জিয়া, তারপর এরশাদ।
লেঃজেঃ এরশাদ সাহেব করেছিলেন খারাপ কাজ। ভনিতা করে, দুর্নিতির বিষ ছড়িয়ে দেশকে আজকের এই অবস্থায় নিয়ে আসার ভয়াবহ প্লট করেছিলেন তিনিই। সাধারণ মানুষদের এত কষ্ট করতে হচ্ছে এই ক্রিমিনাল লোকের কারনে।
অথচ উনার আগে মেঃজেঃ জিয়ার শাসনের সময় দেশে নববিপ্লব সাধিত হয়েছিল যার মধ্যে গার্মেন্টস শিল্প, বিদেশে জনশক্তি প্রেরণ, মেডিকেল ইত্যাদি ছিল। এই দেশের আজকের বৈদশিক ভান্ডার সমৃদ্ধ হইতেছে মুলত গার্মেন্টস আর জনশক্তির প্রেরিত পয়সা থেকেই। আজকে এই দেশের মুরাদ টুরাদ বধমাইশগুলা দেশে তেলতেলাইয়া চলতে পারতেছে সরকারে টাকা থাকার কারনেই। যদি রিজার্ভে এই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার না আসতে থাকত তবে ভিক্ষার থালা হাতে নিয়া ভারত, চীন দৌড়ান লাগত।
কিন্তু আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী, আমাদের সেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না বরং আওয়ামীলীগ সরকার সহ অন্যান্য সরকারের সময়ে ক্রমাগত দেশের বিভিন্ন সূচকে উন্নতি দেখা যায় যা ভারত, পাকিস্থান থেকেও অনেক সময় ভাল।
কিন্তু যতই সূচক ভাল হউক, এই দেশের পদে পদে সমস্যা, দুর্নিতি। দেখলে গা জ্বলে। আমি দুবাইয়ের টিকিট করতে আজ বিমানের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখি টিকিট করার অপশনই নাই। ট্রেনের টিকিট কাটতে গিয়ে দেখা যায় নাই। অথচ বছর শেষে ট্রেনের আর্থিক ক্ষতি বেশি থাকে। একটা আট হাজার টাকার কম্পিউটারের দাম দেখান হয় চার/পাঁচ লাখ টাকা। বালিশ দুর্নিতি শুধু রুপপূরে না, সব খানেই আছে। ১০ টাকার সকালের নাস্তা ৩০০ টাকা বিল দেখান হইতেছে হসপিটালে। জেলের কয়েদীদের যে খাবার দেওয়া হয় তার ১০% তাদের খাছে পৌছে কি না সন্দেহ।
যাক, এইসকল হতাশার চেয়ে আরো বড় হতাশার দেশ হইতে পারত বাংলাদেশ। মুক্তিযোদ্ধাদের লাখো সালাম, যে তাঁরা সেই শোষন থেকে আমাদের রক্ষা করেছেন।
দেশ মাতৃকার প্রতি এই ভালবাসা মুক্তিযোদ্ধাদের ছিল, আজও আছে। কিন্তু আমাদের এই জেনারেশনের কেন নেই?
এখানে আওয়ামীলীগ সরকারের সীমাহীন দুর্নিতি (আগের সরকারের চেয়ে ধারণাতীত বেশি), চাকুরেদের লোভ, প্রশ্নফাঁস ইত্যাদির কারনে আমরা এগুতে পারছি না।
বংগবন্ধুর রেখে যাওয়া দল এর এই অবস্থা যদ তিনি দেখতে পারতেন তবে হয়ত বলতেন, এই তো চাটার দল না, রাক্ষসের দল, আমি কি এই রাক্ষসের দল চেয়েছিলাম?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪
২১টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×