বাকস্বাধীনতা হচ্ছে মানুষের সভ্যতার নিদর্শন। যেখানে বাকস্বাধীনতা নেই সেখানে বিশাল অট্টালিকা থেকেও লাভ নেই, হিউম্যান রেইস সেখানে বাধাগ্রস্থই থেকে যাবে আর অন্যখানে মানুষের রেইস এগিয়ে যেতে থাকবে যা পরের সময়ে অট্টালিকাওলা রাজ্যকে মুখাপেক্ষী বানিয়ে দেবে অধিকতর অগ্রসর রাষ্ট্রের দিকে।
বাকস্বাধীনতা কেন দরকার? আরেকটু বুঝিয়ে বলি-
ধরেন এক রাষ্ট্রে বাকস্বাধীনতা আছে। নির্ভীক হয়ে মানুষ রাষ্ট্রীয় সিদ্বান্ত/সরকারি কাজের সমালোচনা করতে পারে। এখন মনে করেন কেহ ভুমি নামজারি করতে এসে ঘুষ দেওয়ার বিপদে পড়ল। সে তখন ভুমি অফিসারের বিরুদ্ধে সবার সামনে দাঁড়িয়ে প্রমাণসহ সব হাটে হাঁড়ি ভেংগে দিল। সরকারের উপরমহল নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হবে না?
সেটাই হবে, এরপরে দেখা যাবে ঐ অফিসার এই কাজ অনেক-দিন আর করতে সাহস পাবে না। অন্যান্য সেক্টরেও সেইম ঘটনা হবে। দুর্নিতি করা সম্ভবপর হইবে না।
তো দুর্নিতি না করলে কি বালের উন্নয়ন হবে? হ্যা সেইটা আরো মজাদার।
মিয়ানমারের একটা রাস্তা টেকে ৮/১০ বৎসর আর আমাদের সোনারুপা দিয়া বানান রাস্তা কেন টেকে ২ বৎসর? কাহানি দুর্নিতি। নদী ভাংগনের ফলে যে হাজার কোটি টাকা নষ্ট হয় এর কারণ দুর্নিতি যুক্ত উন্নয়ন (খনন/ভরাট/বাঁধ)।
এই সকল সেক্টরে যদি দুর্নিতি রোধ করা সম্ভব হই তাহইলে জাতির কষ্টের টাকা/(জিডিপি/অর্থনীতি) বাড়তে থাকবে। এখন যদি রাষ্ট্রীয় অপচয় হয় ২ লক্ষ কোটি টাকা, তখন অপচয় হবে ৫০ হাজার কোটি টাকা। জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ২০% এর বেশি।
সরকারের হাতে অঢেল টাকা থেকে যাবে যা দিয়ে সে ফকির থেকে শুরু করে দারিদ্র/বেকার/ভুমিহীন সকল নিম্ন আয়ের মানুষদের উন্নত শিক্ষা/ট্রেইনিং/কর্মসূচী নিতে পারবে যার ফলে দেশ উন্নত হতে সময় হবে একমাত্র বাধা।
সুত্র:
ছবি
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০২২ সকাল ১০:১৪