‘প্রগতিশীলতা’ নিয়ে বঙ্গদেশে কম রঙ্গ দেখলাম না।মজার ব্যাপার হইলো দিনকে দিন রঙ্গ বাড়ছে তো বাড়ছেই!আপনি কি বঙ্গদেশের চুশিলদের ন্যায় ‘প্রগতিশীল’ হইতে চান? আমার পরামর্শ লইতে পারেন।
পোরথমে মাথায় কতগুলা বড় বড় মাইজভাণ্ডারীয় চুল রাহেন। এরপরে মুখে কত গুলা আকামাইননা দাড়ি রাহেন। দাড়ি যদি বুক পর্যন্ত নামাইতে পারেন তয় কাম অর্ধেক শেষ। এহন ধর্মের নামে,বিশেষত ইসলাম ধর্মের নামে, গোটা চারেক গালাগালি করেন অথবা ফেইসবুক, সম্ভব হইলে ব্লগে গোটা চারেক কলাম লেহেন। ব্যাস! কেল্লা ফতে!! আপনি প্রগতিশীল হইয়া গেলেন!!!
মাঝে মধ্যে যদি মোমবাতি জ্বালাজ্বালি করতে পারেন; আর ফডো সাংবাদিকগো লগে খাতির খুতির কইরা কোন কায়দায় আপনার নূরানি চেহারার একখান ফডো প্রথম আলোয় উঠাইতে পারেন, তাইলে তো আপনি খাঁটি আর ওজনদার সোনার মত ‘খাঁটি আর ওজনদার প্রগতিশীল’ হইয়া গেলেন!!
বাংলাদেশের বেশিরভাগ তথাকথিত প্রগতিশীল নামধারী চুশিলদের প্রগতিশীলতারে ‘ সুবিধাবাদী প্রগতিশীলতা’ বললেও কম বলা হয়। ধান্ধাবাজেরা প্রগতিশীলতার নামে ধান্ধাবাজি করবে কোন কায়দায় হেই ধান্দায়ই দিন রাইত ব্যস্ত। দালালগুলানরে দেকলে শরিলডা ঘিন ঘিন কইরা ওঠে।
পুনশ্চঃ
প্রগতিশীলতা থাকে মননে।ফুটে ওঠে আচরণে। ধরা দেয় দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে। একজন নাস্তিক যেমন প্রগতিশীল হইতে পারেন তেমনি একজন আস্তিকও প্রগতিশীল হইতে পারেন। আর ধান্দাবাজ কূপমণ্ডূকও হইতে পারেন উভয়েই। বাংলাদেশে সত্যিকার প্রগতিশীলদের সংখ্যা চক্রবৃদ্ধির হারে বাড়ুক- প্রত্যাশা করি সব সময়। কারন শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ যে প্রগতিশীলতা অর্জন করে তা ই নিয়ে আসতে পারে দেশে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি। প্রগতিশীলতাই মুক্তির একমাত্র পথ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৬