বাংলাদেশের জাতীয় পশুটির নাম হলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এতোদিন চিড়িয়াখানাতে মানুষ যেতো রয়েল বেঙ্গল দেখার আগ্রহ নিয়ে। আর যারা সুন্দর বন যেতেন তারা তো ভাগ্যগুনে মুক্ত বনে বাঘ দেখে আসার সুযোগ পেতেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে- আমাদের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের এখন চিড়িয়াখানা থেকে জাতীয় যাদুঘরে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। কারণ, বিশ্বের প্রাণীবিদরা ঘোষনা দিয়েছেন- ১২ বছরের মধ্যেই বাঘ শূণ্য হয়ে যাবে এই পৃথিবী।যদি তাদের আবাসভূমি রক্ষায় কোন পদক্ষেপ না গ্রহণ করা না হয় তাহলে নিশ্চিত করেই বলা যায় ২০২২ সালে পৃথিবীতে আর একটি বাঘও থাকছে না। গত রোববার রাশিয়াতে অনুষ্ঠিত “টাইগার সামিট”- এ এই মন্তব্যই করা হয়েছে।
বিশ্ব প্রাণী সংস্থা ফান্ড বলেছে বর্তমানে পৃথিবীতে মাত্র ৩২০০ টি বাঘ বেঁচে আছে। আবাক করার বিষয় হচ্ছে এখন থেকে ১০০ বছর আগে মোট বাঘের সংখ্যাটি ছিল ১ লাখ। এক লাখ থেকে একদম ৩২০০ টি বাঘে নেমে আসাকে অনেকটাই বিস্ময়কর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আর এই অবস্থার পেছনে দায়ি করা হয়েছে যেনো তেনো ভাবে বনের গাছপালা উজাড় করাকে। এই সামিট থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে ১৩ টি দেশে এই ৩২০০ টি বাঘ অবস্থান করছে। দেশগুলো হচ্ছে,
ভারত- ১২০০-১৬৫০; ইন্দোনেশিয়া- ৪৫০-৭০০; বাংলাদেশ- ৪০০; নেপাল- ৩৫০; রাশিয়া- ৩৫০; ভুটান- ৭০-৮০; চীন- ৪০-৫০; কম্বোডিয়া- ১০-৫০; লোয়াস- ৫০; ভিয়েতনাম- ৩০- এর কিছু কম; বার্মা- ১০০, থাইল্যান্ড- ২৫০-৫০০; মালয়শিয়া- ৩০০-৩৫০।
চীনের প্রতি কড়া ভাবে সকলেই কথা বলছেন। বলা হচ্ছে- চীনে বাঘের হাড়ের ব্যবসা খুব জমজমাট। সেই সাথে বাঘের চামড়াও চীনে অনেক জনপ্রিয়। তাই চীনকে এই ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এতো সব দেখলে কিন্তু বলেই দেয়া যায় দ্রুত কোন পদক্ষেপ না নেয়া হলো বাঘ চলে যাচ্ছে জাতীয় যাদুঘরে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:০৯