কুরআনঃ ঔদ্ধত্যের সাথে পৃথিবীতে চলাফেরা করো না। আল্লাহ্ কোন অহংকারী (ও) দাম্ভিককে পসন্দ করেন না (সূরা লুকমানঃ ১৯ আয়াত)।
হাদীসঃ হাদীসে উল্লেখ রয়েছে হযরত রাসূল করীম (সাঃ) বলেছেন, ‘যার অন্তরে এক কনা পরিমাণ অহংকার আছে সে কখনও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না’। কেউ বললো, ‘হে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)! যদি কেউ সুন্দর পোষাক ও জুতা পসন্দ করে’? তিনি (সাঃ) বললেন, ‘অহংকার বলতে আত্মাভিমানে সত্যকে অস্বীকার করা এবং অন্যকে হেয় চোখে দেখাকে বুঝায়’ (মুসলিম)।
ব্যাখ্যাঃ হযরত মসীহ্ মাওউদ (আঃ) বলেছেন, অহংকার এমনই একটি আপদ যা মানুষের পিছু ছাড়ে না। মনে রাখবে অহংকার শয়তান হতে আসে এবং অহংকারীকে শয়তানে পরিণত করে ছাড়ে (মালফুজাত, ৬ষ্ঠ খন্ড)।
ইসলাম জীবনের উন্নততর বিকাশ চায়। এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে চায় যেখানে মানবতার বিকাশের সাথে সাথে স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির উত্তম সম্পর্ক গড়ে উঠবে। উন্নতির পথে সহায়ক এমন প্রতিটি বিষয়-বস্তুকে ইসলাম পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বর্ণনা করেছে। মানবতা বিকাশের জন্য বিনয়ী হওয়া আবশ্যকীয়। বিনয়ই মানুষের মাঝে প্রেম, ভালোবাসা ও সহানুভূতির জন্ম দেয়। তাই পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ তা’লা বলেছেন, তোমার চলাফেরার মাঝে যেন অহংকারের ছাপ না থাকে।
কেননা আল্লাহ্ অহংকারকে পসন্দ করেন না। সাধারণত যে অহংকারী সে কখনও বলে না যে, ‘আমি অহংকারী বা নিজে অহংকারী তা-ও স্বীকার করে না। অহংকারীর পরিচয় তার আমলে। শুধু যে জাগতিক বিষয়েই মানুষ অহংকারী হয় তা নয় বরং আধ্যাত্মিক ব্যাপারেও মানুষ অহংকারী হয় যা অত্যন্ত ভয়াবহ। অহংকার মানুষকে ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিপতিত করে।
আল্লাহ্ করুন, আমরা যেন কখনও কোন ধরনের অহংকার না করি আর বিনয়ের পথ অনুসরণের মাধ্যমে মহান খোদা তা’লার অশেষ নৈকট্য লাভ করি আর তিনি যেন সব সময় নিজ রহমতের চাদরে আমাদেরকে ঢেকে রাখেন, আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮