somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লম্বা লেখার ,ক্ষুদ্র সাফাই.....

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

''বিদ্রোহী ভৃগু'' এবং ''ঢাকাবাসী'' দুইজনকেই জানাই আমার আন্তরিক কৃতঞ্জতা। কষ্ট করে হলেও আপনারা আমার লেখাটা পড়েছেন এবং সেই সাথে গঠনমূলক পরামর্শের মাধ্যমে এটাকে মূল্যায়িত করার কষ্ট টুকু ও করেছন।
আমি এই ব্লগের অনেক পুরাতন সদস্য হওয়া সত্যেও কখনও লেখার সাহস করিনি সেই সাথে সময়ের ও কিছু অপ্রতুলতা আমি ভাবতাম,আমার লেখা কে পড়বে,আমার লেখা কি আদৌ কোন লেখার মানে পড়বে কিনা !!! কারন পেশাগত কারনে আমার কাজ ব্লগ তৈরি করা,তাতে লেখা না।উল্টো কিছুটা ভয় বা হিনমন্যতা কাজ করতো এই ভেবে দুই একজন যদিবা পড়েও নির্ঘাত গাল মন্দ করবে “লেখক” গোষ্ঠীর ইমেজ নষ্ট করার জন্য।তাছাড়া বন্ধু বান্ধবের টিটকারীর ভয়ও ছিল,লজ্জায় কুকড়ে যেতা্ম এই ভেবে যে,তার হয়ত আমাকে দেখে্ই মুখ বাকিয়ে হাসবে,বলবে‌ “স্যাররে এরশাদ এর রোগে পাইছে,লেখক হইছে,নাম ফুটানোর খায়েশ!!”।
সত্যি কথা বলতে গেলে,আমি অনায়াসে লেখাটাকে একচতুর্থাংশে নামিয়ে একটা রসিক গদ্যে পরিনত করতে পারতাম,অসংখ্য পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারতাম।তাদেরকে একটা সংক্ষিপ্ত রসপূর্ণ রম্যের স্বাদ দিতে পারতাম।হয়তো কিছু বাহবা পেতাম।মনের ভিতর গোপন ইচ্ছাটা তা্ই ছিল,লেখা শুরুও করেছিলাম,ঐ ভাবে মাথার ভিতর প্লট সাজিয়েছিলাম।কিন্তু লেখাটা লিখেত শুরু করার পর নিজের অজান্তে আমিই নিজেই লেখা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে লাগলাম।অন্তরের ভিতর উপলব্ধি করলাম,এটা আর পাঠকের জন্য লেখা কোন লেখা হচ্ছেনা। এটা হচ্ছে আমার নিজের আত্মকথন,নিজের জন্য লেখা কিংবা বলা যায় আমার উত্তরপুরুষের জন্য রেখে যাওয়া আমার ডিজিটাল ডাইরী। আমি ঐ সময়ের টানেলে আটকে পড়েছিলাম। চোখের সামনে প্রতিটা দৃশ্য দেখতে পাচ্ছিলাম।অতীতটাকে আমি ভিজুয়্যালাইজ করার প্রানপন চেষ্টা করছিলাম। প্রতিটা ডিটেইল চোখের সামনে ভেসে বেড়াচ্ছিল।মনে হচ্ছিল প্রতিটা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জিনিষ বর্ণনা করতে ভিতরটা আকুপাকু করছিল।মনে হচ্ছিল প্রতিটা শব্দ না বলতে পারলে দৃশ্যটা অপরিপূর্ণ রয়ে যাবে।ঐ সময়ে আমাদের জীবন, আমাদের আবেগ আর অনুভুতিগুলো কত সুক্ষ আর স্পর্শকাতর ছিল এ যুগের ছেলে মেয়েদের ভুজানোর জন্য আমি যেন উদিগ্রব হয়ে ছিলাম।যদিও অবচেতন মন এটাও জানে এ সকল ফালতু আবেগ এ প্রজন্মকে স্পর্শ করেনা,তারা আমাদের মতো বোকা আর আবেগপ্রবন নয়।আবেগ আর সম্পর্কের হিসাবেও তারা অনেক হিসেবী ও বাস্তববাদী।ফালতু আবেগ আর হাস্যকর অতীত তাদের তাড়িত করেনা।কিন্তু এই অতিবাস্তববাদী ঘেরা বর্তমান সময়টাতে আমার মতো আবেগপ্রবন আর গাধা মানুষের যে শ্বাসবন্ধ হয়ে আসে।বাস্তববাদী এই সমাজ থেকে পালিয়ে ফিরে যেতে ইচ্ছা করে আমার সেই “হাস্যকর অবাস্তব সপ্নের পৃথিবী’ তে।স্বপ্নহীন আবেগশুন্য জীবনের কি আদৌ কি কোন মূল্য আছে,যে জীবনের একঘেয়েমী কাটাতে দ্বারস্থ হতে হয় “বাবা” কিংবা অন্য কোন নিষিদ্ধ ড্রাগের???
সর্বশেষে বিদ্রোহী,ঢাকাবাসী সহ আর বাকি যে কজন আমার লেখাটা ধৈর্য সহকারে পরেছেন তাদের জানাই আন্তরিক কৃতঞ্জতা।সেই সাথে নতুন লেখক হিসাবে ভূলগুলো শুধরে নেওয়ার আন্তরিক উপদেশ এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।আমি অবশ্যই চেষ্টা করবো,এগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে একজন মানসম্মত ব্লগার হবার।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×