somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এখনকার মুসলিম রাষ্ট্র এই বিচারব্যবস্থা থেকে অনেক পিছিয়ে

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সারা জাহান আলো করা রূপের অধিকারিণী আয়নার সমনে তাঁর রূপচর্চা করছিলেন ৷ এমন সময় এক অপরিচিত যুবক তাঁর কক্ষে উপস্থিত হয় ৷ বিশ্ব সুন্দরী হওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ পুরুষের সামনে তাকে দেহ প্রদর্শন করতে হয় নি, ভালোবেসে স্বামীই তাকে উপাধী দিয়েছিলো সুতরাং তাঁর রূপ লাবণ্য অন্য কাউকে দেখানোর প্রশ্নই উঠে না ৷ অপরিচিত যুবকটির আচরণ সন্দেহ জনক হওয়ায়, কোন কিছু না ভেবেই ওলন্দাজ বণিকদের কাছ থেকে উপঢৌকন হিসেবে পাওয়া তৎকালের সবচেয়ে কার্যকর বন্দুক দিয়ে যুবকটিকে গুলি করে মেরে ফেললেন ৷
সন্তান হত্যার বিচার দাবী করে যুবকের বৃদ্ধা মা রাজ দরবারে নালিশ করলেন ৷ সব কিছু তদন্ত করে বিচারক আসামীর মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষণা করাতে রাজ দরবারে উপস্থিত আমর্ত্যগণ, বাদী, আসামী সবাই হতবাক ৷ কেননা বাদী একজন দরিদ্র্য হিন্দু নারী, অন্যদিকে আসামী বিশাল মুসলিম সম্রাজ্যের ক্ষমতাধর সম্রাট এবং মামলার বিচারকের প্রাণপ্রিয় স্ত্রী ৷
রায় শোনে বিচারকের স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে বললেন, " হে স্বামী, পুরনো দিনের কথা কি আপনার মনে নেই! আমার প্রেম-ভালোবাসা, মায়া, সেবা সমস্ত কিছু একটু মনের তুলার দন্ডে ওজন করলে হতো না?"
বিচারক অশ্রু সজল নয়নে বললেন, "প্রিয় সহধর্মিনী, আমি আমার মনের তুলার দন্ডে তোমার সারা জীবনের সব কিছু এক পাল্লায় চাপিয়েছি আর অন্য পাল্লায় চাপিয়েছি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আইন ৷ বারে বারেই ভারী হয়েছে ইসলামের আইনের নির্দেশ ৷ ইসলামের আইনে তুমি তাকে হত্যা করতে পারতে হত্যা কিংবা ব্যাভিচারের অপরাধে, কিন্তু সে দোষ তার ছিল না ৷ আসলে সে ছিল বিকৃত মস্তিষ্ক (পাগল), আবার বলছি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তোমার মৃত্যুদন্ড ৷"
বৃদ্ধা স্বপ্ন দেখার মত নাটকীয় ইসলামী বিচার ব্যবস্থা দেখে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, "হে বাদশাহ, আমি আর মৃত্যু দেখতে চাই না, আপনার স্ত্রী কে আমি ক্ষমা করলাম ৷ আমি আজ বুঝলাম ইসলাম সত্যিই শান্তি ও সত্যের নিরপেক্ষ ধর্ম ৷" আসামী বৃদ্ধার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে প্রচুর ক্ষতিপূরণ দিয়ে সাজা থেকে মুক্তি পেলেন ৷
মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ন্যায় বিচার এবং তাঁর প্রাণপ্রিয় স্ত্রী নূরজাহানের কথাই বলছিলাম ৷ উপমহাদেশ দখল করা ছিলো ইংরেজদের কয়েকশ বছরের ষড়যন্ত্র, আর দ্বীতীয় ষড়যন্ত্র ছিলো নিজেদের দোষ কৌশলে ন্যায় বিচারক মুসলিম শাসকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া ৷ ইতিহাস বিমুখ আমরা নিজেদের অজ্ঞতা ঢাকতে কোন কিছু না ভেবেই এসব ন্যায় পরায়ণ শাসকদের দোষারোপ করতে মোটেও কার্পণ্য করি না ৷ বলা যায় ইংরেজরা দু'টো চক্রান্তেই সম্পূর্ণভাবে সফল ৷
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩২
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×