somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবিতাঃ 'আমি বলব ইতিহাস থেকে'

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি আদি সভ্যতার দিকে ফিরে যা
আমি মিশরীয় সভ্যতার ছাঁইপাই খুঁজে বেড়াব
পড়ব সেই সভ্যতার একোণ অকোণ,
টুকাব কোন ক্ষুদে টীকা কিনবা স্বারক লেখন।
.
আমি বলব সেই অসভ্যতা থেকে কেমনে মানুষ সভ্যতার ছৌঁয়া পেয়েছে,
মানুষ কেমনে পালাক্রমে বদল হয়েছে!
কেমনে তারা আধুনিক হতে হতে আবার সেই জাহেলিয়াতের দিকে ফিরে গিয়েছে।
.
এমনকি কিভাবে তারা হাজার সভ্যতা থেকে একটি সভ্যতা খুঁজে পেয়েছে!
তা হয়ত কারো জানা নতবা কোন গবেষকবৃন্দের  ধারণা,
আমি আরবীয় বর্বরতার কথা বলব
যখন ছিলনা ন্যায় শাসন কিনবা নারীদের প্রতি কোন মায়া।
.
মেয়েরা ছিল খেলার পুতুল মাত্র 
এমনকি যখন তারা রাস্তায় বের হতে ভয় পেত,
যখন নারীত্বের প্রতি অশুভ আঙুল তুলা হত
আমি তোমাদের সেই দৃষ্টান্ত স্বরণ করিয়ে দিতে চাই।
.
আমি প্রাচীন ভারতবর্ষের কথা বলব
যখন তিনদেশ মিলে এক বর্ষ ছিল,
একসময় এই বর্ষে বিদেশি বনিক আসত
এই ভারতবর্ষতে কিছুর অভাব ছিলনা
আবার এমন একসময় এসেছিল
কারো পৈছাতে তেনাও জুটত না।
.
আমি সেই সভ্যতার এপিঠ অপিঠ পড়ব
যাতে কোন এক জাতির লুপ্ত কিতাব গুপ্ত,
যা মাটির নিচে হাজার হাজার বছর ধরে সমাধিত
যাতে পথ ভ্রষ্ট জাতির ধ্বংস চিহ্নের অবয়ব ছিল।
.
এমনকি আমি ট্রয় ধ্বংসের উপমা দেব
যা মাটির সাথে বিলিন হয়ে গিয়েছে,
যা প্রেমের অম্বরে সমাধিত হয়েছে
যার মূল নিমিত্ত ছিল যুবরাজ প্যারিস ও রানী হেলেন।
.
আমি তন্নতন্ন করে খোঁজব সেই লুন্টিত নথিপত্র
যা শত শত বছর ধরে সভ্যতার আঁড়ালে লুকিয়ে আছে,
কঠিন পাথরে ছাঁই বর্ণে খুদিত আছে
যা ভূঁতুড়ে গুহায় অবহেলিত ভাবে পড়ে আছে।
 .
আমি অনুসন্ধান করব সেই সভ্যতা
যা হিংসা, হানাহানি, অন্যায় অবিচারের জন্য ধ্বংস হয়েছে,
যারা আজ বিভক্ত দল, সমষ্টি এবং হিংস্র জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে
যার নিমিত্তে আজ মানুষ প্রিতি শূন্য হয়েছে।
.
আমি আজ বলছি ইতিহাস থেকে
হইত কাল আমাদের সভ্যতা নিয়ে অন্য কেউ ইতিহাস লিখবে,
আবার নতুন কোন সোশালিস্ট কিনবা গবেষকের জন্ম নেবে
তারা সন্ধান করবে আমাদের দলীলপত্র, জীবনযাত্রা, এমনকি সৌখিনতা।
..................
...........
....
কবিতাঃ আমি বলব ইতিহাস থেকে।
কবিতাসমগ্রঃ সবুজ ডাইরী।
অধ্যায়ঃ তিন।
আলোচ্য বিষয়ঃ সভ্যতা, প্রাচীন ভারতবর্ষ এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫১
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×