আমি আদি সভ্যতার দিকে ফিরে যা
আমি মিশরীয় সভ্যতার ছাঁইপাই খুঁজে বেড়াব
পড়ব সেই সভ্যতার একোণ অকোণ,
টুকাব কোন ক্ষুদে টীকা কিনবা স্বারক লেখন।
.
আমি বলব সেই অসভ্যতা থেকে কেমনে মানুষ সভ্যতার ছৌঁয়া পেয়েছে,
মানুষ কেমনে পালাক্রমে বদল হয়েছে!
কেমনে তারা আধুনিক হতে হতে আবার সেই জাহেলিয়াতের দিকে ফিরে গিয়েছে।
.
এমনকি কিভাবে তারা হাজার সভ্যতা থেকে একটি সভ্যতা খুঁজে পেয়েছে!
তা হয়ত কারো জানা নতবা কোন গবেষকবৃন্দের ধারণা,
আমি আরবীয় বর্বরতার কথা বলব
যখন ছিলনা ন্যায় শাসন কিনবা নারীদের প্রতি কোন মায়া।
.
মেয়েরা ছিল খেলার পুতুল মাত্র
এমনকি যখন তারা রাস্তায় বের হতে ভয় পেত,
যখন নারীত্বের প্রতি অশুভ আঙুল তুলা হত
আমি তোমাদের সেই দৃষ্টান্ত স্বরণ করিয়ে দিতে চাই।
.
আমি প্রাচীন ভারতবর্ষের কথা বলব
যখন তিনদেশ মিলে এক বর্ষ ছিল,
একসময় এই বর্ষে বিদেশি বনিক আসত
এই ভারতবর্ষতে কিছুর অভাব ছিলনা
আবার এমন একসময় এসেছিল
কারো পৈছাতে তেনাও জুটত না।
.
আমি সেই সভ্যতার এপিঠ অপিঠ পড়ব
যাতে কোন এক জাতির লুপ্ত কিতাব গুপ্ত,
যা মাটির নিচে হাজার হাজার বছর ধরে সমাধিত
যাতে পথ ভ্রষ্ট জাতির ধ্বংস চিহ্নের অবয়ব ছিল।
.
এমনকি আমি ট্রয় ধ্বংসের উপমা দেব
যা মাটির সাথে বিলিন হয়ে গিয়েছে,
যা প্রেমের অম্বরে সমাধিত হয়েছে
যার মূল নিমিত্ত ছিল যুবরাজ প্যারিস ও রানী হেলেন।
.
আমি তন্নতন্ন করে খোঁজব সেই লুন্টিত নথিপত্র
যা শত শত বছর ধরে সভ্যতার আঁড়ালে লুকিয়ে আছে,
কঠিন পাথরে ছাঁই বর্ণে খুদিত আছে
যা ভূঁতুড়ে গুহায় অবহেলিত ভাবে পড়ে আছে।
.
আমি অনুসন্ধান করব সেই সভ্যতা
যা হিংসা, হানাহানি, অন্যায় অবিচারের জন্য ধ্বংস হয়েছে,
যারা আজ বিভক্ত দল, সমষ্টি এবং হিংস্র জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে
যার নিমিত্তে আজ মানুষ প্রিতি শূন্য হয়েছে।
.
আমি আজ বলছি ইতিহাস থেকে
হইত কাল আমাদের সভ্যতা নিয়ে অন্য কেউ ইতিহাস লিখবে,
আবার নতুন কোন সোশালিস্ট কিনবা গবেষকের জন্ম নেবে
তারা সন্ধান করবে আমাদের দলীলপত্র, জীবনযাত্রা, এমনকি সৌখিনতা।
..................
...........
....
কবিতাঃ আমি বলব ইতিহাস থেকে।
কবিতাসমগ্রঃ সবুজ ডাইরী।
অধ্যায়ঃ তিন।
আলোচ্য বিষয়ঃ সভ্যতা, প্রাচীন ভারতবর্ষ এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫১