somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্যাপিটালিজমের সাইড-এফেক্টঃ এ ডিসকাশন ফ্রম সোস্যাইটাল পয়েন্ট অব ভিউ

১১ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Capitalism মানেই হইল গাছ কাইটা ফার্নিচার বানাইয়া বিজ্ঞাপন দেওয়া "একটি গাছ কাটলে দশটি গাছ লাগান"। Capitalism-এর খারাপ দিক বা সাইড-এফেক্টগুলোকে এখন "Corporate social responsibility(CSR) "-নামক একটি থীওরি দ্বারা এমনভাবে publicize করা হয়েছে যে, সোস্যাইটি এখন বলে উঠতে শুরু করেছে, Capital is GOD! আর কোম্পনীগুলোর স্ট্র্যাটেজীগুলোও এমন ডিজাইন করা যার অভ্যন্তরীন কোর ম্যাসেজটা হচ্ছে "যতক্ষন ক্রয় করছ-ততক্ষনই বেঁচে আছ নতুবা তুমি মৃত"। তা না হলে চাইনিজ কোন কিশোর Apple product-এর জন্য নিজের কিডনী বিক্রী করে দেয়। চিন্তা করা যায়, Capitalism আজ কোন পর্যায়ে চলে গিয়েছে যেখানে হিউম্যানিটির কোনো অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয় না।

"বিজ্ঞাপন" লইয়া অনেকদিন আগে একটি কথা বলেছিলাম, মানুষ যা বাস্তবে করিতে পারে না, তাহাই বিজ্ঞাপনে প্রদর্শন করা হয়। সমাজের কালো মেয়েটিও যখন ফেয়ার এন্ড লাভলি'র ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার প্রজেক্ট টেলেভিশনে দেখেছিল তার মনের মেঘলা আকাশে হালকা সূর্য হেসে উঠেছিল যে, এবার সেও ফর্সা হয়ে যাবে! কিন্তু হায়রে! ক্যাপাটিলজমের দেবতা যে বড়ই নির্মম। তো সমাজের সব কালো মেয়েগুলোও বুঝে গিয়েছিল ৭দিন পর "কালো জন্মগতভাবেই কালো" এবং দুনিয়ার সব কালো-মেয়েরা ফেয়ার এন্ড লাভলি বর্জন করে। মজার কথা "ক্যাপিটালিজম দেবতা কোম্পানীগুলোকেই বেশী ভালবাসে র্যা দার দ্যান কনজিউমার বা কাস্টমারদের থেকে। ফেয়ার এন্ড লাভলি নতুন যে স্ট্র্যাটেজিটা ফর্মুলেট করল সেটা অনেকটা "তেলা মাথা আরোও তেল দেওয়ার মতো"। এবার তারা আর কালো মেয়েদের টার্গেট করে নাই, এবার তাদের টার্গেট কাস্টমার "সাদা মেয়েরা"। আর সমাজের সাদা মেয়েদের নতুন আরেকটা থীওরি শিখিয়ে দিল যে থীওরির নাম "ডাবল ফেয়ার্নেস" ...... আর বিজ্ঞাপনের স্লোগানটা হলো "ফেয়ার এন্ড লাভলি এন্ড ফেয়ার এন্ড লাভলি"। মানে আপনি ফর্সা হলেই চলবে না আজকাল, ডাবল ফর্সা হতে হবে। আসলে এই ব্যাপারটাও ভাকওয়াস। সাদা চামড়াকে আর কত সাদা করবেন? তবে সাদা-চামড়ার দেবী খুশী হওয়ার কারনে ফার্মগুলো যদি কিছু টাকা পয়ষা বানাতে পারে-এই আর কি? যাকে আমরা বলি ভোক্তা বা ক্রেতা সন্তুষ্টি/Customer Satisfaction!

বিজ্ঞাপনের প্রসংগ টানিলাম এই অর্থে ক্যাপিটালিজম এবং বিজ্ঞাপনের মাঝে সুন্দর একটা ফাইন লাইন আছে। ক্যাপিটালিজম-এর মূল শক্তি "বিজ্ঞাপন-ব্র্যান্ডিং"। মানুষের মাঝে ক্রয়-যাতনা ছড়িয়ে দেওয়াই এর কাজ। মূলত শেষ করব আমার একটি রিয়েল লাইফ উদাহরন দিয়েই। এলিফ্যান্ট রোডের একটি কম্পিউটার হাউজে আমি প্রায়ই আড্ডা মারতে যাই। তো বেশ কিছুদিন আগে এক ছেলে তার ব্যবহার করা সেকেন্ড হ্যান্ড একটি HP Laptop বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসল সেই কম্পিউটার হাউসটিতে। তবে ছেলেটি কম্পিউটার হাউসের মালিকের পরিচিত। তো এর মাঝেই ল্যাপটপটা গুতাইয়া গুতাইয়া দেইক্ষা কইলাম, "ভাই ল্যাপটপটা মারাত্নক ভালো, বিদেশী মাল মনে হচ্ছে, বিক্রয় করবা কেন?" ...... ছেলেটি মন খারাপ কইরা কহিল, "ভাই ঠিকই কইসেন ল্যাপটপটা আমার বাবা দুবাই থেকে আমার জন্য পাঠাইছে গত বছর আর ভাই দুঃখের কথা কারে কই, এইবার সেমিস্টারের টাকা মারতে পারি নাই আর তার মধ্যেই আমার গার্ল-ফ্রেন্ড(প্রেমিকা) এই ঈদে আবদার করসে Diamonds World এর থেইক্কা ডায়ামন্ডের নাক-ফুল আর ডায়ামন্ডের আংগুলের রিং দিতে...... তাই ভাই দুঃক্ষে কষ্টে ল্যাপটপ বেইচ্চা দিতে আসছি। মনে মনে ভাবিতে থাকিলাম, নির্ঘাত বেচারার গার্ল-ফ্রেন্ড ব্যাপক সুন্দর তা না হলে সাধের ল্যাপটপ বিক্রি করে।
মূলত যা উপসংহারে টানিতে চাই, ক্যাপিটালিজম-দেবতা ভালবাসাকেও ছাড় দেয় নাই।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×