somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঢাকা লিট ফেস্ট ২০২৩ প্রসঙ্গ

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাকে কি ইংরেজিতে ভালবাসা সম্ভব?

এবারে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে ৮ জানুয়ারিতে ঢাকা লিট ফেস্ট ২০২৩ এর শেষ দিনটা ধরতে পারলাম। ২০২০ এ কোভিড মহামারী ছড়িয়ে পড়বার মাঝামাঝি সময়ে দেশ ছাড়ছিলাম।আড়াই বছর পর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সূর্যের আলোবিহীন কুয়াশাছন্ন শৈত্য প্রবাহের মধ্যে দেশে ফিরে তিন দিন কাটিয়ে আমার ১৪ বছরের কন্যা আলিনা এবং ১৮ বছরের ভাগ্নে বিস্ময়ের বিপুল আগ্রহে এবং চাপে সুদূর উত্তরা থেকে দক্ষিণে বাংলা একাডেমীতে সারাদিনের জন্যে লিট ফেস্টে থেকে গেলাম। আমার পরিবারের এই প্রজন্মের বাচ্চাগুলো পিচ্চি কাল থেকেই সাহিত্য চর্চায় আগ্রহী কেমনে হইল, আমি নিজেও জানিনা। ঘরে অবস্থা এমনই যে, লিট ফেস্টে না নিয়া গেলে আমার খবরই আছে। ফ্রোজেন শোলডারের ব্যাথা উপেক্ষা কইরা হাসতে হাসতে আমি লিট ফেস্ট গেলাম এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত কোক স্টুডিও বাংলার কনসার্ট শুইনা আলিনা, বিস্ময় এবং তাদের এক দঙ্গল বন্ধুরা ব্যাপক আমোদিত হইল।নাসেক নাসেক আর বাগিচায় বুলবুলিতে তারা মনমুগ্ধ। কাবাব-পরোটা, পিঠা, স্যান্ডুইচ, আইসক্রিম - যা ইচ্ছা খাইল।সকালে মন লাগিয়ে শুনল আব্দুল রাজ্জাক গুরনিয়ার সরাসরি আলোচনা, হালআমলের বিশ্বসাহিত্যের লেখকদের বই কিনল।আমি নিজে ঢাকার নব্বই দশকের বাচ্চা হিসাবে বিশেষ সাহিত্য অনুরাগী হইলেও, বিশবিশের এই জমানার ইন্সটা বাচ্চাদের যে সাহিত্যের অনুরাগী করে গড়ে তোলা সম্ভব, সেই প্রত্যয় আমার ছিল না। কিন্তু আমার সন্দেহ ও অবিশ্বাসকে মিথ্যা প্রমাণ কইরা আমাদের পরিবারের দুই বাচ্চা ইতিমধ্যেই সাহিত্য চর্চায় সিরিয়াসভাবে উৎসাহী হয়ে উঠছে।কেমনে কি হইল, বলতে পারব না, তাদের সাহিত্যে উৎসাহিত করবার যথেষ্ট সময় আমরা দিতে পারছি বইলা মনে করতে পারি না।কিন্তু তাদের এই আগ্রহ আমাকে ভবিষ্যতের জন্যে আশা-ভরসা ও বর্তমানে গভীর আনন্দ দেয়।আমি ইনাদের মত আগামীর এই উদীয়মান কচিকাঁচা সাহিত্যিকদের খাদ্য-পুষ্টি জোগান দেয়ার জন্যে সব কিছু করতে প্রস্তুত। এর পর তারা বাংলায় লিখবে না ইংরেজি, সেটা তাদের প্রস্তুতি, পছন্দ এবং অভিরুচির ব্যাপার। পড়ুক, লিখুক, জানুক, জীবনকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করুক, ইহাদের জন্যে এই আমার কাম্য!

এখনও বিশ্বাস হয় না যে, আলিনা লেখালেখির জন্যে গত বছর আমেরিকাতে জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণ পদক লাভ করছে।বিস্ময় বেশ কিছু দেশি-বিদেশি পত্রিকা এবং পোর্টালে ইংরেজিতে বিভিন্ন ঘরানার লেখা প্রকাশ করতেছে।দুই জনেই এখন মানুস্ক্রিপ্ট তৈরির প্রস্তুতি নিতেছে।দুইজনই ঢাকা লিট ফেস্ট একদিনও মিস করতে চায় না।কোভিডের আগের বছর ২০১৯ এ আমরা প্রতিদিনই আলোচনা শুনতে গিয়েছিলাম।এই কিশোর লেখক-সাহিত্যিকদের চাপে লিট ফেস্টে এই বছর জীবনে প্রথম কোন নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিককে দেখে ও শুনে চক্ষু-কর্ণ ধন্য হইল।আবদুল রাজ্জাকের ষাটের দশকের লন্ডন জীবনের বয়ান শুনে আমার নিজের শূন্য দশকের নিউইয়র্কে প্রথম অভিবাসী জীবনের বিচ্ছিন্নতার ভাষা খুঁইজা পাইলাম।আমিও রাজ্জাকের মত রাস্তার দোকানের বড় বড় জানালায় নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে চমকে উঠছি, এই আমি এখানে কেন, ও কিভাবে? এই শাদা শাদা মানুষ, কালো কালো মানুষের মধ্যে এই বাদামী আমিটা কে? আমারও এমন অনেক গল্প আছে, যা কোনদিন লিখবার ভাষা খুঁজে পাইনি। আজ একটা পথের দিশা পাইলাম।

আলিনা আর বিস্ময় তাদের ইংরেজি মিডিয়ামে পড়া বন্ধুদের সাথে পছন্দের বিভিন্ন মঞ্চে ঘুরে নানা বিষয়ে আলোচনাগুলো শুনতে লাগলো।অনুবাদ নিয়ে আলোচনার প্যানেলে আমাদের বন্ধু, তাদের খালামনি এই সময়ের প্রখ্যাত লেখক আফসানা বেগমকে দেখে এবং তাঁর বক্তব্য শুনে তারা গর্বিত ও উৎসাহিত হইল।আমার জন্যে আমেরিকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইংরেজিভাষী আলিনার বাংলাদেশের সাহিত্যের ইংরেজি ধারার সাথে নিজের পরিচয়কে চিহ্নিত করতে দেখা এক গভীর আনন্দের অভিজ্ঞতা।আলিনা তার মায়ের ভাষা বাংলাকে ইংরেজিতে ভালবাসতে শিখেছে।রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, মানিক, শরৎচন্দ্রে না মজেই যে আমার মেয়ে বড় হয়ে যাচ্ছে, সেই শূন্যতা, সেই বিচ্ছিন্নতা, সেই কষ্ট কিছুটা ভুলিয়ে দিয়েছে।

আমি লনে দাঁড়িয়ে বন্যা মীর্জার সঞ্চালনায় শুনলাম পৌরুষ ও পুরুষতন্ত্র নিয়ে একটা প্যানেল।আলোচনার সাথে আমার মেলা মতভেদ এবং চিন্তার পার্থক্য আছে। বর্ধমান হাউজের চত্বরে শুনলাম অনুবাদ নিয়ে আলোচনা, আরও সব প্যানেল শুনবার ইচ্ছা থাকলেও পথিমধ্যে মেলা প্রিয় মানুষের দেখা হয়ে যাওয়াতে সেই পথ ভুলে গেলাম।আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, সাইফুল হক অমি, আমার প্রাণের অধ্যাপকবৃন্দ সাঈদ ফেরদৌস, মীর্জা তাসলিমা, মানস চৌধুরীদের সপরিবারে ও সবান্ধব দেখা-সাক্ষাৎ, খাওয়া দাওয়ায় এক আলাপমুখর সময় কাটালাম।
২০১৫ সাল থেকে উইসকনসিনে আমরা বাংলা কমিউনিটি বাঙালি, বাংলা ভাষাভাষী পরিবারে জন্ম নেয়া বাচ্চাদের দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে বাংলা ভাষা শেখানোর জন্যে অক্ষর বাংলা স্কুল গড়ে তুলেছি। আমি কাজ করছি স্কুলটির অধ্যক্ষ হিসেবে।সারা আমেরিকার এমন ১৪ টি বাংলা স্কুলের এক অ্যালায়েন্স ফ্রেন্ডস অব বাংলা স্কুল দুই বছর হয় বাংলাভাষীদের মিলন মেলার আয়োজন করছে। বাংলায় পড়া, লেখা ও চর্চার চেষ্টা করছে। বাঙালি পরিবারগুলোর পক্ষে বাংলা ভাষাকে আমেরিকার মাটিতে চর্চা করা, ধরে রাখা, পরের প্রজন্মের চর্চার মধ্যে রাখা এক কঠিন ও জটিল সাংস্কৃতিক সংগ্রাম। বাংলাভাষা এবং বাংলাদেশকে এনারা যদি ইংরেজি ভাষার বাহনেও জানাবোঝার চেষ্টা করে, কিছু শেখে ও চর্চা করে, তাতে মঙ্গল ছাড়া অন্য কিছু দেখি না।গত পনের বছরের আমেরিকান অভিবাসী জীবনে বাংলা ডিয়াস্পরা সমাজকে গভীরভাবে দেখেছি এবং জেনেছি।বাংলাদেশ থেকে বসে ফেসবুকের জানালা দিয়ে যে চকচকে জীবনের পোস্টগুলো দেখা যায়, বাংলা অভিবাসীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ জীবনের সংগ্রাম তার চেয়ে অনেক জটিল ও বর্ণিল।অন্তত দুইটা সম্প্রদায়, বাংলাদেশে বড় হওয়া ইংলিশ মিডিয়ামের প্রজন্ম আর বিদেশে বড় হওয়া বাংলা ভোলা প্রজন্মের জন্যে দেশে ইংরেজির বাহনে একটা সাহিত্য উৎসব খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের চেয়ে কম জরুরী না।এই ফেস্টের মত কর্মসূচিগুলোতে তারা মানসিকভাবে দেশে প্রত্যাবর্তনের একটা বুদ্ধিবৃত্তিক স্পেস ও সুযোগ পায়।বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির সাথে নিজের হাইব্রিড আইডেন্টিটি ও সাংস্কৃতিকভাবে উন্মূল মানস জগতের সাথে আত্মীয়তা করতে পারে।বাংলা কেবল ভৌগলিক কেন হবে? বাংলার বাইরে ছড়িয়ে পড়া বাংলা পরিবারগুলো ইংরেজির বাহনে বৈশ্বিক বাংলার সাথে যুক্ত হতে পারবে না কেন? ইংরেজি ভাষায় তাঁদের জীবন অভিজ্ঞতাভিত্তিক সাহিত্য চর্চা করা যাবে না কেন? বাংলা সাহিত্যের সভাই বা কেন বসে না, কেউ কি জানে? ঢাকার মত একটা কসমোপলিটানে বিশ্বসাহিত্যের একটি সভা বসতে পারবে না কেন? ইংরেজি কি সংগ্রামে ভাষা হতে পারে না? ইংরেজি ভাষায় পৃথিবীতে যে লেখা হচ্ছে, তা না জেনে-বুঝে কেমনে গ্লোবাল ক্যাপিটালের সাথে প্রতিরোধ হবে?

নিম্নবর্গ কি ক্যাপিটাল পড়ে?

১৫ বছর ধরে ভোটবিহীন নিপীড়নমূলক স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থায় বাস করে, যে শাসন-পীড়নের যে তীব্রতা, সারভেলেন্সের যে পরিব্যাপ্ততা, রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়া যে দুর্নীতির গ্রাস জনমানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে, তার মধ্যে যে কোন রূপান্তরের সম্ভাবনাকেই দুরূহ দেখায়। নাগরিক হিসেবে নিজেদের স্বাধীন সত্তা বজায় রাখবার এক অসম্ভব মুহূর্ত এটা। এই সময় মানুষজন যে কঠিন পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ জারী রেখেছে, তা অকল্পনীয় ও অবিশ্বাস্য।দেশে থেকে সরাসরি এই আন্দোলন সংগ্রামে না থাকবার জন্যে অনেক সময় এক ধরনের বিযুক্ত-বিচ্ছিন্নতা ঘিরে ধরে।কিন্তু এই রাষ্ট্র সংস্কারের নানা কলা কৌশল নিয়ে পরিবর্তনকামী অ্যাকটিভিষ্টদের মধ্যে আলাপচারিতায় একটা জায়গায় যখন বই পড়ার বিরোধিতা, সাহিত্য চর্চার বিরোধিতা বেশ জনপ্রিয় হইতে দেখি, তখন আমি সত্যি কোন আশা দেখি না। সাহিত্যকে, কল্পনাকে, আনন্দকে বাহুল্য মনে করা, খালি ভাত-কাপড়ের সংগ্রামে মনুষ্যত্বকে নামিয়ে আনা, অতি নীচ চিন্তা। সন্দেহ হয়, এই জাতি তবে শেষ পর্যন্ত এক ডাণ্ডা হইতে আরেক ডাণ্ডারর শাসনই রাইখা দিতে চায় কিনা? সাহিত্যের বিরোধিতায় আনন্দ বিরোধী ভয়ের সংস্কৃতিরই আবাদ চলবে কিনা? একজন লেখক-বুদ্ধিজীবী লিখলেন, ফেস্টে ঢুকে সেখানে শাড়ি পরার কায়দা, পোশাক-আশাক দেখে উনি অস্বস্তি বোধ করেছেন।কি তাজ্জব! একটা দেশে সবাইকে একটি ভাষায় সাহিত্য করতে হবে, এক রকমের পোশাক পরতে হবে! তবে বিচিত্র পোশাক, ভাষা আচরণ, হাইব্রিড সংস্কৃতি গ্রহণের জন্যে পশ্চিমের শহরগুলোর কাছে প্রত্যাশা করেন ক্যান? তিনাদের বর্ণবাদী আখ্যায়িত করেন কিভাবে? আপনার ঢাকা শহরে কেবল আপনার ঢাকাইয়া ভাষায় কথা বলতে হবে, আপনার মত করে শাড়ি পরতে হবে, এটাই কি পরমত সহিষ্ণুতা?

সব কিছু আম জনতার ভাষায় লিখতে হবে, সর্বদা গণসঙ্গীত আর গণসাহিত্য করতে হবে, এই প্যাড়াও আমি নিতে রাজী না।নৃবিজ্ঞানের লেখা নাকি এমনভাবে লিখতে হবে, যাতে আমার আম্মা থেকে শুরু কইরা বাড়ির বুয়ার সাথে গ্রামশির হেগিমনি নিয়া কমিউনিকেট করা যায়।কোরআন শরীফ কি আমজনতার ভাষায় লেখা হইছিল? এই দেশের সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থটি কী বিদেশী ভাষায় লিখিত না? ক্যাপিটাল কি নিম্নবর্গ পড়ে? ভাগ্যিস মার্ক্স সেই দায় নেন নাই।জার্মান বা ইংরেজি ভাষায় আমজনতা কি মার্ক্স-এঙ্গেলসের লেখাগুলা পড়তেছে? ভাগ্য যে, ফিলসফি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ, বায়োলিজি, ইকনমিক্স, জ্যোতির্বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞানকে জনতার ভাষায় লিখার আব্দার এখনও চোখে পড়ে নাই। নিউটন, আইনস্টাইন, হকিং সেই চাপ থেকে বাইচা গেছেন। সাহিত্য আর নৃবিজ্ঞান কিভাবে জানি ফাইসা গেছে মাইনকার চিপায়। দেশের আমজনতার ভাষায় প্রকাশ করতে না পারলে এই শাস্ত্রগুলাকে প্রায় বাতিল কইরা দেয় আরকি।
ঢাকা লিট ফেস্ট এলিট, কর্পোরেট, পুঁজিবাদী সংস্কৃতির আগ্রাসন, ভারতীয় পুঁজি এবং পশ্চিমা পুঁজির জয়েন ভেঞ্চার, সব ঠিক আছে। জেমকন-ট্রিবিউন গ্রুপের স্বার্থ, বাংলা একাডেমীর জনবিচ্ছিন্নতা সবই সত্য। কিন্তু এরই মধ্যে নিজেদের স্বর ও অবস্থান তৈরির রাস্তাই তো খুঁজতে হবে। এখন ঢাকার রাস্তায় যে হাঁটেন, তার প্রতিটা ইঞ্চিই তো কর্পোরেটের দখলে! নিজেদের এই স্পেস থেকে কেবল প্রত্যাহার করেই গ্লোবাল ক্যাপিটালিজম প্রতিরোধের স্ত্রাটেজি ঠিক করতে পারবেন মনে হয়?

জনমানুষের হওয়ার জন্যে, গণমানুষের হওয়ার জন্যে, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের জন্যে প্রথমে যেটা বাদ দিয়ার বানী দেয়া হইতেছে, সেটা হইল বই পড়া বাদ দেয়া, সাহিত্যের আলাপকে এলিট বইলা বাতিল কইরা দেয়া। বিষয়টা আমার মোটা মাথায় ঠিক ঢুকে না।দেশে বই পড়ার অভ্যাস বেশী হওয়ার কারণে, জনগণ বইয়ে মুখ গুইজা থাকার কারণেই, সাহিত্য চর্চা বেশী বেশী হওয়ার কারণেই, ইংরেজি সাহিত্যে প্রবল পাণ্ডিত্যের কারণেই ঠিক রাষ্ট্র সংস্কার করা সম্ভব হইতেছে না।কয়দিন আগে রাষ্ট্র সংস্কার করতে ইচ্ছুক এক লেখক, চিন্তুকের দেয়ালে "বইয়ে মুখ না গুঁজে অন্ধকারের মোকাবেলা করবার" বানী খোদিত পাইলাম। কি দিয়া ইনারা অন্ধকারের মুখামুখি হবেন, মোকাবেলা করবেন, আই হ্যাভ নো ক্লু!

ইনারা যখন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবেন, সেখানে যদি বই বাদ পড়ে, বিশ্বসাহিত্য চর্চাকে নিরুৎসাহিত করা হয়, হাল জমানার বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যকে বাহুল্য জ্ঞান করা হয়, তো সেই মূর্খের রাষ্ট্রে আমি নাই।
এ আমার সাফ কথা।

১৩ জানুয়ারি, ২০২৩
ঢাকা

#DhakaLitFest
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৫
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×