সংগ্রহিত কোতুক ১_____________________
মি.মুখার্জি সারাদিন কাজ করেন অফিসে, কাজ শেষ করে প্রায়শই রাত হয় বাড়ী ফিরতে......
স্ত্রী অনুভব করলেন ব্যাপারটা, আহা কি পরিশ্রমটা না তার স্বামী করছেন...!
দুদিন পর স্বামীর জন্মদিন। স্ত্রী ঠিক করলেন স্বামীকে নিয়ে একটা নাইটক্লাবে যাবেন একটু আনন্দ দিতে...!
ক্লাবে ঢুকতেই, ডোর ম্যান (দারোয়ান) মি.মুখার্জি কে দেখে বললেন---
'স্যার, কেমন আছেন...???'
স্ত্রী একটু বিচলিত হয়ে বলল---
'কী ব্যপার, তুমি এখানে রোজ আসো না কি...???'
স্বামী :- "আরে না না, কি যে বলো না তুমি.? ওই ডোর ম্যানটা দিনের বেলা আমাদের অফিসে পিয়নের কাজ করে।"
ক্লাবের ভিতরে গিয়ে চেয়ারে বসতেই ওয়েট্রেস এসে মি.মুখার্জি কে দেখে একগাল হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করল :-
'আপনার ফেভারেট ড্রিন্কটা দেব স্যার...???'
স্ত্রী একটু অস্থির হয়ে স্বামীকে বলল---
'তুমি নিশ্চয়ই এখানে প্রায়ই আসো, নাহলে ও তোমার প্রিয় ড্রিন্ক কি সেটা জানলো কি করে...???'
স্বামী :- "না গো এই ওয়েট্রেস মহিলাও দিনের বেলা আমাদের অফিসের ক্যান্টিনে কাজ করে...!"
এই সময় বারড্যান্সার (নর্তকী) এসে মি.মুখার্জির শরীরে হাত পেঁচিয়ে বলল :- 'ডার্লিং আজ তোমার পছন্দের নাচটা দিয়ে শুরু করি...???'
স্ত্রীর আর সহ্য হল না। ঝড়ের বেগে ক্লাবের বাইরে এসে একটা ট্যাক্সিতে উঠে বসলেন। সাথে সাথে মি.মুখার্জি ও ছুটে এসে স্ত্রীর পাশে এসে বসে পড়লেন......
এবার রাগে স্ত্রী চিৎকার শুরু করলেন।
ট্যাক্সি চালক পিছন ফিরে বলল : - "স্যার মনে হচ্ছে আজ এক মেজাজী মহিলাকে নিয়ে এসেছেন..!? অন্যদিন তো এমন হয় না স্যার...!!!"
স্যার এখন হাসপাতালে ভর্তি...!!!
সংগ্রহিত কোতুক ২_________________________
এক স্বামী-স্ত্রী নিজের সদ্যোজাত 3 কিলো সন্তানের জন্য খুবই খুশী এবং সদ্যোজাত ছেলেটির নাম রাখলেন #সোনা।।
সেন বাবু এই আনন্দ না সামলাতে
পেরে,
সোজা আনন্দবাজার
পত্রিকার এডিটারকে জানালেন যে
তিনি 3 কিলো সোনার মালিক
হয়েছেন।
আর কি!! এই রকম একটা
অতি বিশিষ্ট রোমাঞ্চকর সংবাদ
শুনে এডিটর নিজের বিশেষ সাংবাদিককে, সেন বাড়ি ইন্টারভিউ নেবার জন্য
পাঠিয়ে দিলেন।
যখন সাংবাদিক পৌঁছালেন,
সেন বাবু বাইরে গিয়েছিলেন এবং গিন্নী
একলা ঘরে ছিলেন।।
....
সাংবাদিকঃ Mr. Sen কি এখানে
থাকেন??
গিন্নীঃ হ্যাঁ।
সাংবাদিকঃ উনি কি বাড়ি আছেন?
গিন্নীঃ না, উনি বাইরে গেছেন।
সাংবাদিকঃ এটা কি সত্যি যে উনি
ইদানিং 3 কিলো সোনার মালিক
হয়েছেন ?
গিন্নীঃ (মজা টি বুঝতে পেরে) হ্যাঁ! তাইত।
সাংবাদিকঃ আমি কি ওই জায়গাটি
দেখতে পারি যেখান থেকে এটি
পাওয়া গেছে ?
গিন্নীঃ আমি দু:খিত, কারণ সেন বাবু
আপত্তি করেন,
তাছাড়া জায়গাটি strictly private.
সাংবাদিকঃ জায়গাটি কি
অনেক দূরে ?
গিন্নীঃ না, খুবই কাছে এবং সহজেই
যাওয়া যায়।
সাংবাদিকঃ কত বছর ধরে Mr. Sen
এই গর্তে খোড়া খুড়ি করছিলেন?
গিন্নীঃ এই প্রায় ২ বছর হলো।।
সাংবাদিকঃ গর্ত টি কি খুব গভীর ?
গিন্নীঃ বলতে পারেন...
সাংবাদিকঃ কোন সময় Mr. Sen সচরাচর খোড়া শুরু করেন ?
গিন্নীঃ উনি খোড়া স্বাভাবত রাতেই করেন।
সাংবাদিকঃ উনি কি এর উপর খুব পরিশ্রম করেন?
গিন্নীঃ সে আর বলতে!! আর কি ঘাম ই না হয়।
সাংবাদিকঃ Mr. Sen ই কি প্রথম
খোড়েন ?
গিন্নীঃ উনি তাই ভাবেন....
সাংবাদিকঃ আপনি কি করে জানেন যে আর কেউ ও ওনার আগে ছিলেন ?
গিন্নীঃ আমি ভাল করে বলতে পারি কারন ওটি আমার জায়গা।
সাংবাদিক :- ওহঃ!! বুঝলাম, কিন্তু
আপনি কি জায়গাটি Mr. Sen কে বেচে
দিয়েছেন?
গিন্নীঃ না, কিন্তু আপাতত উনিই
আইনত জায়গাটির মালিক।
সাংবাদিকঃ Mr. Sen এই কাজে কি কারোর সাহায্য নেন?
গিন্নীঃ হ্যাঁ, আমি ওনার নিচে কাজ করি....
সাংবাদিকঃ কখনও আপনার মনে হয় উনি জায়গাটি বেচে দিতে পারেন ?
গিন্নীঃ আমার মনে হয়না কারন উনি খুব উপভোগ করেন এর উপর কাজ
করতে।
সাংবাদিকঃ আমি কি ওই 3 কিলো
সোনাটি দেখতে পারি একটু ?
গিন্নীঃ হ্যাঁ, নিশ্চয়ই...
......
গিন্নী রিপোর্টারকে সদ্যোজাত শিশুটি দেখালেন ..
সাংবাদিক মৃত প্রায়.....
সংগ্রহিত কোতুক ৩ _________________
শ্বাশুড়ি ঘরে ঢুকেই দেখলেন জামাই রাগে গজ গজ করতে করতে
একটা ব্রিফকেসে সব জামা-কাপড় গুছিয়ে নিচ্ছে I
তিনি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন- কি হয়েছে বাবা,
তুমি এত রেগে আছ কেন আর কাপড়-চোপড়ও কেনই বা গুছিয়ে নিচ্ছ কোথায় যাবে ?
জামাই রেগে জবাব দিল-- কি হয়েছে শুনতে চান ? শুনুন তাহলে I
আপনার মেয়েকে আমি পরশুদিন মেইল করে জানিয়েছি যে আমি আজ ঘরে ফিরব I
আজ আমি ঘরে এসে দেখি
আমাদের বিয়ের খাটে আপনার মেয়ে আমার এক বন্ধুর সাথে আপত্তি জনক অবস্থায় শুয়ে আছে I
তাই আমি আর এই ঘরে থাকব না, আমি চলে যাচ্ছি,
আপনার মেয়ের সংস্পর্শ ছেড়ে চির দিনের মত I
শ্বাশুড়ি বললেন - তুমি মাথা ঠান্ডা করো I
আমার মনে হয় কোথাও তোমাদের একটা বড় ভুল হচ্ছে I
এত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিও না I
তুমি একটু বস I
আমি আমার মেয়ের সাথে কথা বলে আসি I
জামাইকে বসিয়ে রেখে শ্বাশুড়ি ভিতরে গেলেন মেয়ের সাথে কথা বলতে I
প্রায় দশ মিনিট পর তিনি হাসি মুখে মেয়ের কামরা থেকে বেরিয়ে এসে জামাইকে বলছেন—
দেখেছো? আমি বলেছি না,
তোমাদের কোথায় একটা ভুল হচ্ছে I
আমার মেয়ে তোমার মেইলটা পায় নি, বাবা I
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২২