somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেইখানে বউ এর ভয়, সেইখানেই রাত হয় - পূর্ণবয়স্কদের জন্য শুধু :P

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সংগ্রহিত কোতুক ১_____________________

মি.মুখার্জি সারাদিন কাজ করেন অফিসে, কাজ শেষ করে প্রায়শই রাত হয় বাড়ী ফিরতে......
স্ত্রী অনুভব করলেন ব্যাপারটা, আহা কি পরিশ্রমটা না তার স্বামী করছেন...!

দুদিন পর স্বামীর জন্মদিন। স্ত্রী ঠিক করলেন স্বামীকে নিয়ে একটা নাইটক্লাবে যাবেন একটু আনন্দ দিতে...!

ক্লাবে ঢুকতেই, ডোর ম্যান (দারোয়ান) মি.মুখার্জি কে দেখে বললেন---
'স্যার, কেমন আছেন...???'

স্ত্রী একটু বিচলিত হয়ে বলল---
'কী ব্যপার, তুমি এখানে রোজ আসো না কি...???'

স্বামী :- "আরে না না, কি যে বলো না তুমি.? ওই ডোর ম্যানটা দিনের বেলা আমাদের অফিসে পিয়নের কাজ করে।"

ক্লাবের ভিতরে গিয়ে চেয়ারে বসতেই ওয়েট্রেস এসে মি.মুখার্জি কে দেখে একগাল হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করল :-
'আপনার ফেভারেট ড্রিন্কটা দেব স্যার...???'

স্ত্রী একটু অস্থির হয়ে স্বামীকে বলল---
'তুমি নিশ্চয়ই এখানে প্রায়ই আসো, নাহলে ও তোমার প্রিয় ড্রিন্ক কি সেটা জানলো কি করে...???'

স্বামী :- "না গো এই ওয়েট্রেস মহিলাও দিনের বেলা আমাদের অফিসের ক্যান্টিনে কাজ করে...!"

এই সময় বারড্যান্সার (নর্তকী) এসে মি.মুখার্জির শরীরে হাত পেঁচিয়ে বলল :- 'ডার্লিং আজ তোমার পছন্দের নাচটা দিয়ে শুরু করি...???'

স্ত্রীর আর সহ্য হল না। ঝড়ের বেগে ক্লাবের বাইরে এসে একটা ট্যাক্সিতে উঠে বসলেন। সাথে সাথে মি.মুখার্জি ও ছুটে এসে স্ত্রীর পাশে এসে বসে পড়লেন......
এবার রাগে স্ত্রী চিৎকার শুরু করলেন।
ট্যাক্সি চালক পিছন ফিরে বলল : - "স্যার মনে হচ্ছে আজ এক মেজাজী মহিলাকে নিয়ে এসেছেন..!? অন্যদিন তো এমন হয় না স্যার...!!!"

স্যার এখন হাসপাতালে ভর্তি...!!!

সংগ্রহিত কোতুক ২_________________________

এক স্বামী-স্ত্রী নিজের সদ্যোজাত 3 কিলো সন্তানের জন্য খুবই খুশী এবং সদ্যোজাত ছেলেটির নাম রাখলেন #সোনা।।
সেন বাবু এই আনন্দ না সামলাতে
পেরে,
সোজা আনন্দবাজার
পত্রিকার এডিটারকে জানালেন যে
তিনি 3 কিলো সোনার মালিক
হয়েছেন।

আর কি!! এই রকম একটা
অতি বিশিষ্ট রোমাঞ্চকর সংবাদ
শুনে এডিটর নিজের বিশেষ সাংবাদিককে, সেন বাড়ি ইন্টারভিউ নেবার জন্য
পাঠিয়ে দিলেন।
যখন সাংবাদিক পৌঁছালেন,
সেন বাবু বাইরে গিয়েছিলেন এবং গিন্নী
একলা ঘরে ছিলেন।।

....

সাংবাদিকঃ Mr. Sen কি এখানে
থাকেন??

গিন্নীঃ হ্যাঁ।

সাংবাদিকঃ উনি কি বাড়ি আছেন?

গিন্নীঃ না, উনি বাইরে গেছেন।

সাংবাদিকঃ এটা কি সত্যি যে উনি
ইদানিং 3 কিলো সোনার মালিক
হয়েছেন ?

গিন্নীঃ (মজা টি বুঝতে পেরে) হ্যাঁ! তাইত।

সাংবাদিকঃ আমি কি ওই জায়গাটি
দেখতে পারি যেখান থেকে এটি
পাওয়া গেছে ?

গিন্নীঃ আমি দু:খিত, কারণ সেন বাবু
আপত্তি করেন,
তাছাড়া জায়গাটি strictly private.

সাংবাদিকঃ জায়গাটি কি
অনেক দূরে ?

গিন্নীঃ না, খুবই কাছে এবং সহজেই
যাওয়া যায়।

সাংবাদিকঃ কত বছর ধরে Mr. Sen
এই গর্তে খোড়া খুড়ি করছিলেন?

গিন্নীঃ এই প্রায় ২ বছর হলো।।

সাংবাদিকঃ গর্ত টি কি খুব গভীর ?

গিন্নীঃ বলতে পারেন...

সাংবাদিকঃ কোন সময় Mr. Sen সচরাচর খোড়া শুরু করেন ?

গিন্নীঃ উনি খোড়া স্বাভাবত রাতেই করেন।

সাংবাদিকঃ উনি কি এর উপর খুব পরিশ্রম করেন?

গিন্নীঃ সে আর বলতে!! আর কি ঘাম ই না হয়।

সাংবাদিকঃ Mr. Sen ই কি প্রথম
খোড়েন ?

গিন্নীঃ উনি তাই ভাবেন....

সাংবাদিকঃ আপনি কি করে জানেন যে আর কেউ ও ওনার আগে ছিলেন ?

গিন্নীঃ আমি ভাল করে বলতে পারি কারন ওটি আমার জায়গা।

সাংবাদিক :- ওহঃ!! বুঝলাম, কিন্তু
আপনি কি জায়গাটি Mr. Sen কে বেচে
দিয়েছেন?

গিন্নীঃ না, কিন্তু আপাতত উনিই
আইনত জায়গাটির মালিক।

সাংবাদিকঃ Mr. Sen এই কাজে কি কারোর সাহায্য নেন?

গিন্নীঃ হ্যাঁ, আমি ওনার নিচে কাজ করি....

সাংবাদিকঃ কখনও আপনার মনে হয় উনি জায়গাটি বেচে দিতে পারেন ?

গিন্নীঃ আমার মনে হয়না কারন উনি খুব উপভোগ করেন এর উপর কাজ
করতে।

সাংবাদিকঃ আমি কি ওই 3 কিলো
সোনাটি দেখতে পারি একটু ?

গিন্নীঃ হ্যাঁ, নিশ্চয়ই...
......
গিন্নী রিপোর্টারকে সদ্যোজাত শিশুটি দেখালেন ..
সাংবাদিক মৃত প্রায়.....

সংগ্রহিত কোতুক ৩ _________________

শ্বাশুড়ি ঘরে ঢুকেই দেখলেন জামাই রাগে গজ গজ করতে করতে
একটা ব্রিফকেসে সব জামা-কাপড় গুছিয়ে নিচ্ছে I
তিনি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন- কি হয়েছে বাবা,
তুমি এত রেগে আছ কেন আর কাপড়-চোপড়ও কেনই বা গুছিয়ে নিচ্ছ কোথায় যাবে ?
জামাই রেগে জবাব দিল-- কি হয়েছে শুনতে চান ? শুনুন তাহলে I
আপনার মেয়েকে আমি পরশুদিন মেইল করে জানিয়েছি যে আমি আজ ঘরে ফিরব I
আজ আমি ঘরে এসে দেখি
আমাদের বিয়ের খাটে আপনার মেয়ে আমার এক বন্ধুর সাথে আপত্তি জনক অবস্থায় শুয়ে আছে I
তাই আমি আর এই ঘরে থাকব না, আমি চলে যাচ্ছি,
আপনার মেয়ের সংস্পর্শ ছেড়ে চির দিনের মত I
শ্বাশুড়ি বললেন - তুমি মাথা ঠান্ডা করো I
আমার মনে হয় কোথাও তোমাদের একটা বড় ভুল হচ্ছে I
এত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিও না I
তুমি একটু বস I
আমি আমার মেয়ের সাথে কথা বলে আসি I
জামাইকে বসিয়ে রেখে শ্বাশুড়ি ভিতরে গেলেন মেয়ের সাথে কথা বলতে I
প্রায় দশ মিনিট পর তিনি হাসি মুখে মেয়ের কামরা থেকে বেরিয়ে এসে জামাইকে বলছেন—
দেখেছো? আমি বলেছি না,
তোমাদের কোথায় একটা ভুল হচ্ছে I
আমার মেয়ে তোমার মেইলটা পায় নি, বাবা I
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২২
২৪টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×