চলার পথে শিক্ষা...
সাইকেলের প্যাডেল,
ঘটনাটা ষোল সালের এপ্রিলে তখন একটু ব্যস্ত হয়ে নিজের ব্যবসার কাজে তাই নিজের গতি বাড়ানোর জন্য দুই চাকার একটা স্ব-চালিত যান নিয়ে নেই। সেই যান দিয়ে চলতে থাকে দুরন্তর পথচলা। চলতে গিয়ে যদি কিছু শিখা যায় মন্দ কিসে? তা আবার অন্যদের সাথে সেটাও আনন্দদায়ক বটে।
একদিন দুদিন করে শহরের রাস্তায় পথচলায় অভ্যস্ত হয়ে যাই।কদিন যেতেই দেখি আমার দু-চাকার যানের বেলটা আর কাজ করেনা তবে হ্যা ব্রেকটা কসলে গাড়ি একদম দাড়িয়ে সালাম করে। এটাই শিক্ষা - (১)- একদিন সাইকেল চালাচ্ছি তখন সন্ধ্যে সাতটা, শীতকালের কুয়াশাচ্ছন্ন সন্ধ্যে রাস্তার ধুলোবালি মাখা রাস্তায় আমি পথ চলছি নিজের মত। আমাকে পেছনে ফেলে অনেকে সামনে চলে যেতে পারে চাইলেই, অনেকেই চলে যায়ও কিন্তু বিপত্তিটা ঘটে তখন যখন জ্যাম পরে রাস্তায়। তাদের মত আমাকেতো আর ট্রাফিক আটকে দেয়না তাই আমি নিজের মত নিত্য পথ চলি এক পর্যায়ে আমি তাদের আগেই বাড়ি পৌছায়।
বাস্তবতার সাথে যদি মিলাতে যাই কি হয় তখন?
ধরুন আপনি একটা কাজ করতে যাবেন আর আপনার পাশের লোকজন সব উচ্চ পর্যায়ের জ্ঞানী। তখন আপনার মোটেও ভিত হওয়ার দরকার নাই কারন মনে রাখবেন তাদের সামনেও একার হলেও জ্যাম আসবে যা আপনি ছোট হওয়াতে আপনার সামনে পরবে না আর তাতেই আপনার অনবদ্য পথচলা আপনাকে টেনে তুলবে চুড়ায়।
(২)- আমার সাইকেলের হর্ণ নাই আগেই বলেছি তাই ব্রেকেই ভরসা অন্যের গায়ে আচর দেয়া থেকে মুক্তির জন্য.।আমার হর্ণ বা ভেপু থাকলেও যে বেশ একটা উপকার হত তা কিন্তু একদম নয়। এই প্রতিযোগিতামূলক সময়ে কে কার ডাক শুনে? সবার চিন্তা কাকে পেছনে ফেলে কে আগে যাবে। সবসময় তাই হর্ণ ব্যাবহার না করে ব্রেক কসেই যেতাম।যতদ্রুত পারা যেত নিজের মত করে গাড়ি চালালাতাম হঠাৎ কোন বিপত্তি দেখলেই কেবল ব্রেক চাপ মারতাম। আর তারাই দাড়ায়ে সালাম করত।
এই ঘটনাকে বাস্তব জীবনের সাথে তুলনা করলে একদম ফেলে দেয়ার মত না। আমাদের এই প্রতিযোগিতার সময়ে কে কার দিকেকে তাকায়? সবাই যার যার মত নিজের আখের গোছায়,অন্যের হর্ণে কান দেয়ার সময় কইরে ভাই?? তাই হর্ণ না দিয়ে নিজের মত পথ চলুন আর থামার জায়গায় থেমে আবার পথ চলা শুরু হোক স্ব-মহিমায়।
ভাল থাকুক প্রিয়, শুভ হোক রাইডিং...