somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বান্দরবান-পরিভ্রমণ

০২ রা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
এ বছর গেট টুগেদার উপলক্ষে বান্দরবান গিয়েছিলাম ঘুরতে। প্রথমেই গিয়েছিলাম বগালেক পাড়ায়। দু'রাত্রী ছিলাম বগালেকপাড়ার লারামের রেষ্ট হাউজে।

বগালেক।

বগালেকপাড়া থেকেই আমাদের অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল। সময়টা ছিল ১৮-২২ ফেব্রুয়ারী ২০১০। প্রকৃতি বেশ রুক্ষ ছিল ছবিতে যা স্পষ্ট। এর আগে শুধু বগালেক নিয়ে পোষ্ট দিয়েছিলাম। সবাই বেশ হতাশ ছবি দেখে। তাই প্রকৃতি যখন সজীব ও সতেজ থাকে তখনই বান্দরবান ভ্রমণে যাওয়া উত্তম।

আমাদেরকে চাঁদের গাড়ী নিয়েই ঘুরতে হয়েছে। কারণ বিভিন্ন বয়সী লোকজন ছিল সঙ্গে।

কেওক্রাডাং শৃঙ্গ যাওয়ার পথে প্রথমেই দার্জিলিং পাড়া দেখা গেল কিন্তু ছবি নিতে পারিনি। এরপর কেওক্রাডাং শৃঙ্গ। কেওক্রাডাং পার হয়ে পাসিংপাড়া ও জাদিভাইপাড়া ক্রমান্বয়ে যেতে হয়।


পাসিংপাড়া -- ২৯০০ ফুট উচ্চতায় বাংলাদেশের সব্বোর্চ গ্রাম।

নিচের ছবিটিও পাসিংপাড়ার---


পাসিংপাড়া দেখার পর জাদিভাইপাড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।


জাদিভাইপাড়া।

আমাদের গাইড বলল যে সামনে একটি ঝর্ণা আছে। আপনারা চাইলে দেখে আসতে পারেন। রওয়ানা দিলাম। পথে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য চোখে পড়ল।


রক্তলাল ফুটন্ত ফুলসহ গাছ। অনেকের কাছেই পরিচিত এই গাছটি।

পথে যেতে যেতে একটি ছড়ার দেখা মিলল। ছিলাম তৃষ্ণার্ত। এই স্বচ্ছ পানি দেখে পান করার ইচ্ছে হলো। কিন্তু দেখেই তৃষ্ণা মেটাতে হলো।


পাহাড়িয়া ছড়া।

পথে বিভিন্ন প্রজাতির বিশালাকার গাছপালা চোখে পড়ল। ঝর্ণার দেখা মিলছে না। গাইড শুধু বলে এইতো সামনে--এইতো সামনে।
গাছের ফাঁকে লুকোচুরি।

গাছগুলো দেখে মনে হচ্ছে সেলাম জানাই মহাশয়দের---কিন্তু নাম জানিনা বেশীর ভাগ গাছেরই। কি নামে সেলাম জানাবো।

গাছটির পাতা আছে তাই এনারে সেলাম জানালাম চুল সমৃদ্ধ বৃদ্ধমামা বলে।

নিচের জনরে টাক মামা বলে সম্বোধন করা যায়।


পাহাড়ী ছড়া, গাছপালা ---প্রকৃতি দেখা শেষ। পানি যা ছিল অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তৃষ্ণায় ছাতি ফেটে যাচ্ছে। কিন্তু ঝর্ণা আপার দেখা নেই। পরিশেষে এমন একটা জায়গায় গিয়ে ঠেকলাম যেখান থেকে নিচে নামতে গেলে বেশ ঝুঁকি নিতে হবে। তাই আর সামনে এগোলাম না। দু'জন অতিআগ্রহী ঝর্ণা আপার সঙ্গে দেখা করে এসেছে।

এবার ফেরার পথে কেওক্রাডাং দেখার কথা। চলে আসলাম উপরে উঠার সিড়ির কাছে। ঐতো সামনে দেখা যাচ্ছে আমাদের বহুল আলোচিত-পুস্তকে পঠিত স্বপ্নচূড়াকে------


প্রস্তরফলকে লেখা সর্বোচ্চ চূড়া ৩১৭২ ফুট । জিপিএস গুলোতে এরর থাকায় একেকটাতে একেক রকম ভ্যালু দেখায়। কিন্তু ৩২০০ ফুট এর কাছাকাছিই এর উচ্চতা। কেওক্রাডাংয়ের সর্বোচ্চ চূড়ার খ্যাতি আর নেই। আমার জানামতে এখন তাজিংডং বা বিজয় হচ্ছে সর্বোচ্চ চূড়া।

উচ্চতা এবং নামাঙ্কিত প্রস্তরফলক।

জনগণের ইচ্ছে হলো ইতিহাসটা ধরে রাখার। তাইতো--

কেওক্রাডাংয়ে ম্যাঙ্গোপিপল।

আমাদের সহযাত্রী ১১ মাস বয়সী আইমান বাবুটিই নাকি সর্ব কনিষ্ঠ অভিযাত্রী।

পোজ দেয়ার জন্য তার হাতে ধরিয়ে দেয়া হলো একটি সানগ্লাস।

সে রেকর্ডটা স্মরণীয় করে রাখার উপায় খুঁজছে।

সানগ্লাসটি সত্যি সত্যি ভেঙ্গে ফেলে ইতিহাস গড়ল!

চূড়া থেকে দেখা দৃশ্যপট---------


পরের দিন বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা এবং বিভিন্ন স্পটগুলো ঘুরে দেখা হয়।

নিলাচল থেকে বান্দরবান শহরটা এবং আশেপাশের দৃশ্য দেখা যায় পাখির দৃষ্টিতে--------



দূরে বান্দরবান শহর দেখা যাচ্ছে।

শৈলপ্রপাত হচ্ছে আর একটি পর্যটন স্পট। এখানে একটি ছড়া আছে। ছড়াটি নেমে দেখার সময় সাবধানে হাঁটতে হবে। তা নাহলে চিতপটাং হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমাদের সামনে এক পিচ্ছি তার মা সহ চিতপটাং হয়েছিল।

শৈলপ্রপাত।

সাঙ্গু নদীটি প্রায় পুরো বান্দরবান জেলার বুক চিরে চলেছে যেন।

এক নজরে সাঙ্গু নদী।

আমাদের সর্বশেষ দেখা স্পট হচ্ছে স্বর্ণমন্দির যা বৌদ্ধদের মন্দির। স্বর্ণবাঁধানো মন্দির ভাবলে ভুল হবে! কালারটা সোনালী কিনা - তাই এই নাম। অন্য কোন ইতিহাস থাকলে জানিনা।

স্বর্ণমন্দির।


স্বর্ণমন্দিরে মূর্তি খঁচিত খুটি।

বগালেক দেখতে চাইলে
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:০৬
৪৫টি মন্তব্য ৪৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×