একজন ছাত্রের সুই*সাইড নোটঃ
আগামি বছর আবার পরীক্ষা দিবো। মা, বাবাকে বুঝাইছি। সবাই স্বাভাবিক ছিলো, আমিও। কিন্তু একের পর এক প্রতিবেশী সহপাঠীরা মিষ্টি আর কথার খোঁচা নিয়ে হাজির হতে লাগলো। আমার মায়ের মাথা খারাপ হয়ে গেলো।
বাবাও আমাকে গালিগালাজ করলো। যে মা বাবা গতকাল আমার মাথায় হাত রেখে বলছিলো চিন্তা করিস না, বুড়ো হয়ে যাস নাই। সামনের বার আবার পরীক্ষা দিস, বছর যাইতে কয়দিন। অথচ, প্রতিবেশীদের মিষ্টি পেয়ে সেই বাবা মা আমাকে জুতা দিয়ে পিটালো। শুধু তাই নয়, আমার উপর রাগ করে বাবা পাতের ভাত লাথি মেরে ফেলে দিলো।
অনেক চেষ্টা করেছি লুকিয়ে থাকার, পারলাম না। প্রতিবেশীরা এক হাত জিহ্বা বের করে অনুশোচনা করলো। শুধু অনুশোচনা নয়, আমার জন্য নাকি আমার মা দায়ী। মায়ের আস্কারা পেয়ে আমি নষ্ট হয়ে গেছি।
তাদের কৈফিয়ত পেয়ে আমার বাবা মাকে উঠানে প্রচুর মেরেছে। মা এখনো বেহুঁশ। মার জ্ঞান ফিরার আগেই পৃথিবীকে বিদায় জানালাম...!
ভালো থাকবেন প্রতিবেশীরা...!
ভালো থেকো সহপাঠী বন্ধুরা...!
পিতামাতাদের উপদেশ আমাদের মানায় না...!
তবু ও বলছি সমাজ কি বললো...!
প্রতিবেশী কি বললো সেটা শুনে,
নিজের ছেলে মেয়েকে অপমান করে,
মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিবেন না...!
মনে রাখবেন ছেলেমেয়েটা আপনার তাদের নয়
(প্রতিবেশীর নয়)...….....!!!!
সংগৃহীত।
খুব সম্ভবত এই নোটটা অনেক আগের, কিন্তু এর রেশ এখনও রয়ে গেছে।
প্রতিবারই রেজাল্ট বের হলে এমন করুণ ঘটনার খবর পাই আমরা।
বাবা, মায়েরা - সন্তান আপনার। আপনার সন্তানের সবচে ভরসার জায়গা আপনারা। সেটাই যখন তার থাকে না, তখন তার আর কিছুই মূলত থাকে না। তাই শুধু অন্যদের সাথে তুলনা করে, কটু কথা শুনে নিজের ও নিজের সন্তানের ক্ষতি করবেন না। তারা কেউই আপনার বিপদে আসবে না; কিন্তু আপনায় বিপদে ফেলতে ত তারাই এগিয়ে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৪