আমার ইশতেহার
প্রিয় ব্লগবাসী,
আসসালামু আলাইকুম। সবাই আমার শুভেচ্ছা নিন।
আগামী ৩০ শে ডিসেম্বর ২০১৮ বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ব্লগার কাল্পনিক ভালোবাসার আহ্বানে আমি সংক্ষিপ্ত আকারে আমার দলের ইশতেহার প্রকাশ করছি।
আমার দলের প্রতীক জোনাকী পোকা মার্কায় আপনাদের মহামূল্যবান ভোটের রায় নিয়ে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে আমার দল নিম্নবর্ণিত কর্মসূচীসমূহ বাস্তবায়ন করবে।
১। শিক্ষাকে সবার আগে স্থান দিয়ে সব নাগরিকের জন্য প্রকৃত শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান এই সব দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অনুসরণ করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক আর যুগের উপযোগী করা হবে। এসএসসিকে ও লেভেল এবং এইচ এসসিকে এ লেভেল ঘোষণা করা হবে। এ লেভেল পর্যন্ত সরকারী খরচে পড়ানো হবে। শিক্ষকরা কোন ভাবেই কোচিং পেশায় আসতে পারবেন না। বিজ্ঞান ও গণিত ইংরেজিতে পড়া বাধ্যতামূলক হবে। যে কোন নাগরিক যাদের পেশাগতভাবে বাংলাদেশেই থাকতে হয় তারা এ লেভেল পর্যন্ত দেশেই ছেলে মেয়েদেরকে পড়াতে বাধ্য থাকবেন।
২। জনপ্রতিনিধিদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণীতে স্নাতক পাস। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদেরকে মন্ত্রী নিয়োগ করা হবে। কৃষি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি থাকতে হবে। অন্যান্য মন্ত্রণালয়েও এটা বাস্তবায়ন করা হবে।
৩। স্বজনপ্রীতি, ঘুষ ও দূর্নীতি সমূলে উচ্ছেদ করা হবে। যে সব অফিসে বেশী বেশী দূনীর্তি হয় সেই সব অফিসে র্যাব মোতায়েন করা হবে। এসব অফিসে নিয়মিত সেনা অভিযান পরিচালনা করা হবে।
৪। শ্রমজীবী মানুষদের জন্য জেলা পর্যায়ে শিল্পায়ন করা হবে। রাজধানী থেকে সব কারখানা গ্রামাঞ্চলে নেয়া হবে। কোন শ্রমিককেই কাজ করার জন্য বিদেশ যেতে হবে না। তবে পেশাজীবীরা চাইলে বিদেশে কোন উন্নত কাজ করতে যেতে পারেন। পারিবারিক জীবন দরকার আছে। বর্তমানে প্রবাসী শ্রমিক রা পারিবারিক জীবন হতে বঞ্চিত। এটার অবসান করা হবে।
৫। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। যারা যান বাহন, ও সেবা খাতে বিশেষ সুবিধা লাভ করবেন। সর্বত্র তারা সম্মানিত হবেন।
৬। চিকিৎসা ব্যবস্থার আমূল উন্নয়ন করা হবে। ব্যবসা নয় সেবাই হবে মূল মন্ত্র। চিকিৎসার জন্য কোন রোগীকে দেশের বাইরে যেতে হবে না। প্রয়োজনে বিদেশী ডাক্তার এনে দেশের চিকিৎসকদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
৭। টেকনাফ ও অন্যান্য সীমান্ত এলাকার মাদক সম্রাটদেরকে কঠোর ভাবে দমন করা হবে। মাদক নয় নির্মল বিনোদনের জন্য সব ধরনের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।
৮। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে ২ সন্তানের পরিবার গঠনকে উৎসাহিত করা হবে। অতিরিক্ত জনসংখ্যা এখন দেশের আপদ। দেশকে এগিয়ে নেয়াই লক্ষ্য।
৯। ঘরে ঘরে সেৌর বিদ্যুতকে সহজলভ্য করা হবে। বিকল্প জ্বালানীর ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে।
১০। জাতীয় সংসদে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য ২০টি আসন সংরক্ষণ করা হবে। এতে সংসদ হবে সুষম। বিদ্যজনেরা সংসদে এলে জনগণের লাভ হবে।
১১। যারা বাড়ি ভাড়া করে থাকেন তাদের অধিকার সংরক্ষণ করার জন্য বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠন করা হবে। বাড়িঅলারারা যাতে ট্রাক্স দেয় সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
১২। সরকারী কর্মকর্তাদের অহেতুক প্রশিক্ষণের নামে অহেতুক প্রমোদ ভ্রমণ বন্ধ করা হবে। শপিং ও বেড়ানোর এই আয়োজন চলতে দেয়া হবে না। প্রশিক্ষক এনে দেশেই প্রশিক্ষ দেয়া হবে। সরকারী কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ প্রমোশন হবে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত। যোগ্যতা বিবেচনায় চুক্তি ভিত্তিক সচিব নিয়োগ করা হবে।
১৩। সারাদেশে দুই লেন বিশিষ্ট রেলপথ স্থাপন করা হবে। সময়সূচী কঠোরভাবে মেনে চলা হবে। যাত্রী সেবাই লক্ষ্য।
১৪। ইন্টারনেট সবার জন্য সহজলভ্য করা হবে। প্রাপ্ত বয়স্ক সাইটগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সংস্কৃতি চর্চা ও ক্রীড়া চর্চাকে উৎসাহিত করা হবে। অফিস চলাকালীন ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করা হবে। কাজই হোক ব্রত।
১৫। ভিভি আইপিদের চিকিৎসা, চেকআপ এই সব কাজের জন্য দেশেই বিশেষ চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হবে। এই খাতে অর্থের অপচয় রোধ করা হবে। অপচয় নয়, সুষম বন্টনই হবে নীতি। সর্দি জ্বর হলেই বিদেশ চিকিৎসা আর নয়।
১৬। সকল নাগরিক যাতে মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হবে। সবাই থাকবেন জবাবদিহিতার অধীনে। কোন মাফ নেই।
১৭। বিদেশ ভ্রমণের জন্য যারা যাবেন তাদের এবং প্রবাসী শ্রমিকদের অহেতুক ঝামেলা কমানোর জন্য বর্তমানে বিদ্যমান পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করা হবে।
এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে ইশতেহার দেয়া হলো। আমাদের ইশতেহারের পুস্তিকায় বিস্তারিত দেয়া আছে। সবাই কে আমাদের ওয়েব সাইটে গিয়ে পুস্তিকাটি পাঠ করার অনুরোধ করছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪