অসহ্য লাগে। এই সব নৃশংসতার ছবি দেখে খবর পড়ে মনটা বিষিয়ে যাচ্ছে। মনের কোমলতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
যদিও সবাই নয় তারপর চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা ওই বাংলাদেশের মানুষ, তোরা আর কত খারাপ হবি? তোরা কি জানিস, তোদের নৃশংসতার খবরও বিশ্বের প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হয়। সারা বিশ্বের বিবেকবান মানুষ তোদের নৃশংসতার বিবরণ দেখে আতঙ্কিত হয়। মানুষ পোড়ানো, ধর্ষণ করা, ছিনতাই করা, খুন করা, খারাপ কাজ করা এ ই সব না করলে তোদের কি পেটের ভাত হজম হয় না? তোরা কি জানিস না, তোদের কর্মকান্ডের জন্য বাংলাদেশের মান সম্মান দিনে দিনে কমে যেতে বসেছে?
অনেক মানুষ এতোটাই আত্নকেন্দ্রিক হয়ে গেছে যে, স্বার্থ ছাড়া এখন আর কেউ এক কদমও এগোয় না। নিজের লাভ ষোলো আনা বুঝে নেবে। দরকার পড়লে বাশের লাঠি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেবে। বিনয়, পরোপকার, সহমর্মিতা, সম্মান করা এই সব মানুষ এখন আর নিজের মধ্যে লালন করতে চায় না। মানুষ এখন লাখ লাখ টাকা খরচ করে করে সনদপত্র নেয় কিন্তু শিক্ষিত হতে চায় না। কিন্তু কেন এমন হবে। বাংলাদেশের মানুষ তো এমন ছিল না। বাংলাদেশের মানুষ কেন উগ্র হয়ে যাচ্ছে? বাংলাদেেশের মানুষ কেন হিংস্র হয়ে যাবে? আমরা কি পারি না পৃথিবীর সেরা মানুষ হতে?
আমাদের এলাকায় আমরা যখন কলেজে পড়তাম তখন কোন গুরুজন দেখলে সালাম দিয়ে দ্রুত মাথা নিচু করে চলে যেতাম যাতে বেয়াদবী না হয়। এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। এখন আর কেউ গুরু জনদের দেখলে সালাম দিতে চায় না। হাতের সিগারেট লুকায় না। পারলে মুখভর্তি ধোয়া ছেড়ে দিতে চায় চায় গুরুজনদের চোখে মুখে। একটি অপ্রিয় সত্য কথা হচ্ছে, অনেক বিপথগামী তরুণের পিতামাতাও সন্তানের পরিচয় দিয়ে চলেন। তাদের কথাটা এমন, তুমি জানো, আমি কানকাটা রমজান আমার ছেলে!
যারা বিপথে চলে গেছেন তাদের প্রতি আমার সবিনয় নিবেদন, একটাই তো জীবন আমাদের।
এই পৃথিবীতে আমরা একবারের জন্যই এসেছি। আর আসা হবে না। সবাই সম্মান নিয়ে বাঁচি। অন্যকে সম্মান নিয়ে বাঁচার সুযোগ দিই। খারাপ মানুষ হবার মাঝে আনন্দের কিছু নেই। গর্ব করার কিছু নেই। ভালো মানুষ হবার মাঝে অনেক আনন্দ আছে, সম্মান আছে, গৌরব আছে। এখনো সময় আছে। আমরা সবাই যেন মানুষ হই।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:০৪