ভুক্তভোগী মাত্রই এখন জানেন যে বাংলাদেশের ইতিহাসে এখনকার মতো শাকসব্জির উচ্চ দাম কখনোই ছিল না। বেশীর ভাগ শাক সব্জির দামই এখন কেজি প্রতি ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকার মধ্যে আছে। যদিও আলুর দাম এর প্রায় অর্ধেক (৫০/৬০ টাকা কেজি) তারপরও আলুর দামও ইতিহাসের সর্বোচ্চ এখন। কিছু দিন আগে কাচা মরিচের কেজিও ১০০০ টাকা ছুঁয়েছিল।
বাংলাদেশে শাকসব্জির দাম অনেক বেড়েছে। এটা খুবই সত্যি কথা। সাধারণ মানুষ এখন এগুলো কিনতে হিমশিম খায়। তবে আমার কাছে একটি ব্যাপার খুবই আশ্চর্য লাগে যে, এখন গ্রামেও নাকি বেশীর ভাগ মানুষ শাকসব্জি কিনে খেতে আরামবোধ করে। অথচ একটু ইচ্ছা করলেই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে শাকসব্জি চাষ করে বাড়ির চাহিদা মিটিয়ে বিক্রিও করা সম্ভব।
গ্রামেও অনেক পয়সাওয়ালা লোকজন বসবাস করেন। তারা এটা কিনে খেতেই পারেন। কিন্তু যাদের খুব বেশী পয়সা নেই তার শাকসব্জি কিনে খেলে বিষয়টা খুব একটা ভালো লাগে না।
এমন একটা সময় ছিল যখন গ্রামের মানুষ সরিষার তেল, লবণ এই জাতীয় জিনিস ছাড়া খুব একটা বাজার নির্ভর ছিল না। উল্টা প্রতিটি বাড়ি থেকেই শাকসব্জি হাটে বাজারে বিক্রি হতো।
এখন মানুষের প্রেস্টিজ একটা বিরাট ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ চাষবাস করতে লজ্জা পায়। এমনকি শখের কৃষিও অনেকে কাছে প্রেস্টিজের ব্যাপার হয়ে গেছে। কিন্তু শহরে কিন্তু যাদের নিজস্ব দালান আছে তারা ছাদ কৃষি করে উপকৃত হচ্ছেন।
গ্রামেও মানুষ এখন আবার হাটতেও লজ্জা পায়। সামান্য একটু পথও তারা হেঁটে যেতে চায় না। রিক্সা বা ব্যাটারি নির্ভর মোটর চালিতে ইজি বাইকে চলতে তারা খুবই আরামবোধ করে। এমনও হয়েছে যে, বিকাল বেলায় থানার মোড়ের চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে যাবে তখনও হেঁটে যেতে শরম লাগে। অথচ সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য হাঁটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




