প্রতিদিন বিকেলে হাটতে বের হই। সন্ধ্যায় স্কুলে যেতে হয় কয়েক বার। বাচ্চারা সেখানে কোচিং করে । তাদেরকে দিয়ে আসতে হয়। আবার নিয়ে আসতে হয়। তাই বার বার যেতে হয়। আসতে হয়।
এই সময় দেখি ফুটপাথ আটকে রেখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ বিড়ি ফুঁকছে। ধোঁয়ার বাজে গন্ধে ঢাকার দূষিত বায়ু আরো দূষিত হয়ে যাচ্ছে। সেই পচা ধোঁয়া নাকে আসতেই পচা গন্ধে পেটের নাড়িভূড়ি শুদ্ধ বের হয়ে আসার উপক্রম।
তারপর ও কেউ থামে না। বিড়ি তাদেরকে খেতেই হবে। আমি বুঝি না বাসায় বিড়ি না খেয়ে রাস্তায় এসে খেতে হবে কেন? উঠতি বয়সের তরুণদের তো দেখি আরেক সমস্যা। সাথে থাকে তরুণী। আর হাতে থাকে জ্বলন্ত বিড়ি।
মেয়ে মানুষ সাথে থাকলে কি বিড়ি ধরাতেই হবে? প্রায়ই দেখি কোন তরুণের সাথে তরুণী থাকলে অবধারিতভাবে তাদের হাতে বিড়ি ধরানো থাকবেই। এটা কি তারা ভয় কাটানোর জন্য করে? নাকি আজকালের মেয়েরা বিড়ি পছন্দ করে ? তরুণরা হয়তো ভাবছে হাতে একটা বিড়ি ধরানো থাকলে তারেকে স্মার্ট লাগে। মেয়েরা হয়তো স্মার্ট পোলা বেশী পছন্দ করে।
সেই যাই হোক। এই সব বিড়িখোর লোকদের উপর আমি মহাক্ষিপ্ত। আমি যদি সরকারের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কোন লোক হতাম তাহলে এদেরকে আচ্ছা করে ধোলাই দেবার ব্যবস্থা করতাম। কেননা- বাংলাদেশের আইনেই আছে পাবলিক প্লেসে (প্রকাশ্য জায়গায় যেখানে জনসাধারণ চলাচল করে) ধূমপান করা যাবে না। করলে ৫০ টাকা নগদ জরিমানা।
আমি যেহেতু আইনের লোক নই তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিড়িখোর আবালদেরকে কিছু বলতে পারছি না।
কিন্তু আমি যা বলতে পারিনি সেটা করে দেখালেন এক ভদ্র মহিলা। কয়েক টি ছোকরা ফুটপাথ আটেকে রেখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিড়ি ফুঁকছিল আর মুখ অদ্ভত ভাবে কুঁচকে চারদিকে ধোঁয়া ছাড়ছিল। বিরাট আমেজে ছিল তারা। ঠিক এই সময় ভদ্রমহিলা ফুটপাথ দিয়ে আসছিলেন। তাকে দেখে তারা (আজকাল কেউ ই ফুটপাথ আগলে রাখলে পথ ছাড়তে চায় না।) পথ ছাড়লো না।
তাঁর মেজাজ খেল খারাপ হয়ে। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন- গু খাবি বাসায় যায়া খা! রাস্তা আসিস ক্যান। বাসায় জায়গা নাই!
ভদ্র মহিলার পরামর্শ আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। কারণ তার কথার মধ্যে নীচের তথ্যগুলো রয়েছেঃ
১। রাস্তায় বিড়ি খাওয়া যাবে না।
২। নেহাত যদি খেতেই হয় তাহলে বাসায় গিয়ে খেতে হবে।
৩। বিড়ি খাওয়া আর গু খাওয়া সমান।
তার এই কথার সূত্র ধরে পাবলিক প্লেসে ধূমপান বিষয়ক আইনের কিছু সংশোধনী আনা যায়।
৫০ টাকা জরিমানার বিধান পরিবর্তনঃ এখন এক কেজি আলু কিনতে লাগে ৬০ টাকার উপরে। সেই বিবেচনায় ৫০ টাকা জরিমানা কোন দন্ডই নয়। তার চেয়ে ৫,০০০ টাকা জরিমানা ধরলে সেটা দেখতে ও শুনতে ভালো লাগে।
তাই বিধান করা হোক-” প্রকাশ্য পাবলিক প্লেসে ধূমপান করলে ৫,০০০ টাকা জরিমানা কিংবা মনুষ্য বিষ্ঠা ভক্ষণ অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।”
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




