বেশ কিছু দিন আগের কথা। ডাক্তার সাহেব আমাকে লিভারের একটি টেস্ট দিলেন। পরিচিত অনেক জনের সাথে আলাপ করলাম- কোন সেন্টারে টেস্টটি করালে ভালো হয়। কয়েক জনই বললেন- ইবনে সিনায় করাতে পারেন। জামাতী প্রতিষ্ঠান। লীগের আমলে দুই নম্বরী কাম নাও করতে পারে। কথাটি আমার মনে ধরলো।
সেই মোতাবেক এক দিন গেলাম ধানমন্ডির ইবনে সিনায়। গিয়ে দেখি প্রচুর রোগী । গিজ গিজ করছে। টাকা পরিশোধ কাউন্টারে গেলাম এবং টাকা পরিশোধ করে রশিদ নিলাম। কাউন্টারের ভদ্রলোক বলে দিলেন টেস্টটি করাতে পাশের ভবনে যেতে হবে।
দৌড় দিলাম পাশের ভবনে। সেখানেও অনেক লোক। আমার টেস্টের মেশিন নাকি উপরের কোন তলায়। গেলাম সেখানে। গিয়ে দেখি মেশিনের অপারেটর ভদ্র মহিলা এক রাজ্যের বিরক্তি চোখে মুখে ধারণ করে বসে আছেন। তাঁকে বিনয় সহকারে আমার আর্জি পেশ করলাম।
তিনি জানালেন তার মেশিনে সমস্যা আছে। এখন টেস্ট হবে না। বিকালে যেতে হবে। হতাশ হলাম। বিকালে আবার যেতে হবে। আবার রিক্সা ভাড়া। আবার বিরক্তি। কি আর করা দায় যখন আমার দায়িত্বও তো নিতে হবে।
বিকাল প্রচুর সময় নিয়ে রওনা দিলাম। কমপক্ষে আধাঘন্টা আগেই পৌছে গেলাম। গিয়ে অসহায়ের মতো বসে রইলাম। কেননা, আমাকে জানানো হলে বেশ খানিকটা সময় লাগবে মেশিন রেডি করতে। সে যাই হোক। এক সময় মেশিন রেডি হয়ে গেল। আর আমি তো রেডি ছিলাম সকাল থেকে। কেননা, ফাস্টিং এর একটা ব্যাপার তো ছিলই।
কক্ষের ভেতরে একটা ছোট্ট খাটের মতো, তাতে বিছানা পাতা। কিন্তু তাতে কোন বালিশ নেই। অপারেটর মহিলা বললেন- শন, মেশিন চালু হইচে।
আমি বললাম- শুব কি করে ? কোন বালিশ তো নেই।
- বালিশ নাই তো কি অইচে। দুই হাত মাথার নিচে দিয়া শন।
কি আর করা । মাথার নিচে দুই হাত দিয়ে শুয়ে রইলাম। দায় যখন আমার দায়িত্ব তো নিতেই হবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




