আমার এই কথাটি অনেকের কাছে মনে হতে পারে খুবই সাধারণ কথা। কিন্তু বিশ্বাস করুন এটা আমার মনের কথা। প্রাণের গভীর থেকে নিংড়ানো সত্যি কথা।
আমি জানি, ভাত খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি নিজে এক গরীব পরিবারের সদস্য হিসাবে এবং গ্রামে বসবাস করার সুবাদে সাধারণ মানুষদেরকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। এখনো দেখছি। আমার এবং তাদের কাছে ভাত খুবই উপাদেয় খাদ্য। আমরা অনেক আয়েস করে ভাত খাই। অনেক উপাদেয় কোন মাছ মাংস লাগে না। কেবল ১টি মরিচ আর পেয়াজ,লবণ আর একটু পানি হলেই অনেক মজা করে ভাত যারা খায় আমি তাদেরই এক জন। কেএফসি কিংবা ম্যাগডোনালডস নয়; আমরা সামান্য ভাতেই মহাখুশী।
আমাদের সব কিছু তাই বিবেচিত হয় চালের দামের সুচকে। নেতারাও এটা জানেন। তাই তারা ভোটের মৌসুম এলে ৪০ টাকা দামের চাল চার ভাগের এক ভাগ দামে খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ভোট নিতে চান। ভোট আর ভাত একই কাতারে চলে আসে।
মাঝে মাঝে কোন জামাকাপড় কিংবা একটু দামী জিনিস যা না হলেই নয় কিনতে গেলে দাম শুনে অবাক হলে দোকানী বলে উঠে--- চালের মন কত কইরা জানো মিয়া?
সারাটা জীবনই তো আমাদের কাটে চালের দামের হিসাব করে। কারণ- আমাদের সব কিছু তাই বিবেচিত হয় চালের দামের সুচকে। আমরা ভাত খেতে চাই। কেননা. ভাত খেতে আমাদের খুবই ভালো লাগে।
****এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি মূলত বাংলাদেশের নিম্নে আয়ের সাধারণ মানুষের আবেগ অনুভূতির কথা বলতে চেয়েছি। সমাজের যারা উচ্চ আয়ের মানুষ তাদের কথা এখানে আমি বলিনি । আমি জানি, সমাজের ওপর তলার মানুষেরা ভাত খেতে পছন্দ করে না বা ভাত খেলে তাদের আত্মসম্মানে ঘা লাগে । তারা খায় পোলাও বিরানি কাচ্চি বার্গার পিজা ইত্যাদি। কিন্তু সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষরা ভাত পেলে ধন্য হয়ে যায় । সেই কথাটাই মূলত আমি এখানে বলতে চেয়েছি অন্য কিছু নয়। পোলাও বিরিয়ানি সবার ভালো লাগবে না
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৮