somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভাষা আন্দোলন- ঘটনা প্রবাহ, বিশ্ব স্বীকৃতি; বাংলাদেশের অন্য মাতৃভাষাগুলো ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথন

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি
ছেলে হারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি

ঘটনাপ্রবাহ:
মহান ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ন ঘটনাগুলোকে দুই ধাপে ভাগ করা যায়। প্রথম ধাপে নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পরপরই স্বার্থের সাথে যৌক্তিকতার লড়াই:

জুন, ১৯৪৭:
আবুল মনসুর আহমেদ সম্পাদিত সাপ্তাহিক "মিল্লাতে " বাংলাকে সম্ভাব্য রাষ্ট্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে মত দেয়া হয়।

জুলাই,১৯৪৭:
আবদুল হক জুন-জুলাই মাসে বাংলা , পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হওয়া উচিৎ বলে বিভিন্ন কলামে লেখেন। অন্যদিকে মুসলিম লীগ ও মুসলীম লীগের বাইরের উর্দুভাষিরা উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা করার জন্য সমর্থন দিতে থাকেন। আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জিয়াউদ্দীন আহমেদ এক কনফারেন্সে বলেন " Only Urdu deserves to be the state language of a Muslim nation."
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তৎকালিন প্রধান ও প্রখ্যাত ভাষাবিদ ড.মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এর তিব্র প্রতিবাদ করেন। ১৯৪৭ সালের ২৯ জুলাই, দৈনিক আজাদে "পাকিস্তানের ভাষা সমস্যা" শিরোনামে এক কলামে ড। জিয়াউদ্দীন আহমদের বক্তব্য খন্ডন করে বলেন, পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৫৫ ভাগ লোকের মাতৃভাষা হিসেবে বাংলাই নতুন জাতির রাষ্ট্রভাষা হওয়ার যোগ্যতা রাখে । প্রথমে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে গ্রহন করার পর উর্দু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হতে পারে কি না তা বিবেচনা করা উচিৎ।
পূর্ব বাংলার "গণ আজাদি লীগ" নেতা কামরুদ্দিন একই মাসে এক ম্যানিফেস্টে দাবি করেন, বাংলাই হবে আমাদের রাষ্ট্রভাষা। পাকিস্তানের সব জায়গায় বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার।পুর্ব পাকিস্তানের একমাত্র আনুষ্ঠানিক ভাষা হবে বাংলা।
ইতিপুর্বে ১৯৪৬ সালের নিবার্চনি ম্যানুফেস্টে মুসলীম লীগ নেতা আবুল হাশেমও এরকম দাবী জানান।

আগষ্ট,১৯৪৭
৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্ররা Democratic Youth League (DYL) প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটি শুরু থেকেই সরকারের উর্দুপ্রীতিসহ বিভিন্ন অসংগতিতে প্রতিবাদ করে।
১৪ আগস্ট, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার উর্দুর অনাষ্ঠানিক ব্যবহার শুরু করে দেয়।

সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭:
১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭, ইসলামিক সংস্কৃতি ও চেতনাকে সামনে রেখে সমমনা শিক্ষাবিদ, লেখক ও সাংবাদিকদের সমন্বয়ে "তমুদ্দিন মজলিস" প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭, তমুদ্দিন মজলিস "পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা:বাংলা না উর্দু?" শিরোনামে একটি বুকলেট বের করে। যার গ্রন্থকার কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল মনসুর আহমেদ এবং আবুল কাসেম বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানে অফিস- আদালতে একমাত্র ভাষা হিসেবে ব্যবহারের উপর জোড় দেন। পাশাপাশি বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে প্রচারনা চালান।

নভেম্বর, ১৯৪৭:
করাচিতে শিক্ষামন্ত্রী পূর্ব বাংলার প্রতিনিধি দল সহ "পাকিস্তান শিক্ষা সম্মেলন" ডাকেন। শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব গৃহিত হয়।

ডিসেম্বর, ১৯৪৭:
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ছাত্ররা সংগঠিত হতে থাকে।

জানুয়ারি, ১৯৪৮
৪ জানুয়ারি ১৯৪৮, East Pakistan Student' League(EPSL) প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটি বাংলা ও বাঙালীর অধিকার আদায়ে সোচ্চার থাকে।

ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮:
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮, পাকিস্তানের সংবিধান গঠনের প্রথম অধিবেশনে পূর্ব বাংলার কুমিল্লার সদস্য ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও রাষ্ট্র ভাষা করার পক্ষে প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন,
Sir, in moving this- the motion that stands in my name- I can assure the House that I so not in a spirit of narrow Provincialism, but, Sir, in the spirit that this motion receives the fullest consideration at the hands of the members. I know, Sir, that Bengali is a provincial language, but as it is the language of the majority of the people of the State so although it is a provincial language, but as it is language of the majority of the people of the State and it stands on a different footing therefore. Out of six crores and ninety lakhs of inhabiting this State, 4 crores and 40 lakhs of people speak the Bengali language. So, Sir, what should be the State language of the State? The State language of the state should be the language which is used by the majority of the people of the State, and for that, Sir, I consider that Bengali language is a lingua franca of our State. It may be contender with a certain amount of force that even in our sister dominion the provincial language have not got the status of a lingua franca because in her sister dominion of India the proceedings of constituent Assembly is conducted in Hindustani, Hindi or Urdu or English. It is not conducted in the Bengali language but so far as the Bengali is concerned out of 30 crores of people inhabiting that sister dominion two and a half crores speak the Bengali language. Hindustani, Hindi or Urdu has been given and honored place in the sister dominion because the majority of the people of the Indian Dominion speak that language. So we are to consider that in our State it is found that the majority of people the of the State do speak the Bengali language than Bengali should have an honoured place even in the Central Government.

I know, Sir, I voice the sentiments of the vast millions of our State. In the meantime I wand to let the House know the feelings of the vastest millions of our State. Even , Sir, in the Eastern Pakistan where the people numbering four crores and forty lakhs the Bengali language the common man even if he goes to a Post office and wants to have a money order form finds that the money order is printed Urdu language and is not printer in Bengali language or it is printed in English. A poor cultivator, who has got his son, Sir, as a student in the Dacca University and who wants to send money to him, goes to a village Post office and he asked for a money order form, finds that the money order form is printed in Urdu language. He can not send the money order but shall have to rush to a distant town and have this money order form translated for him and then the money order, Sir, that is necessary for his boy can be sent. The poor cultivator, Sir, sells a certain plot of land or a poor cultivator purchases a plot of land and goes the stamp vendor and pays him money but cannot say whether he has received the value of the money is stamps. The value of the stamp, Sir, is written not in Bengali but is written in Urdu and English. But he cannot say, Sir, whether he has got the real value of the stamp. These are the difficulties experienced by the common man of our State. The language of the State should be such which can be understood by the common man of the State. The common man of the State numbering four crores and forty millions find that the proceedings of this Assembly which is their mother of parliaments is being conduct in a language, Sir , which is unknown to them. Then, Sir, English has got an honoured place, Sir , in Pule 29. I know, Sir, English has got an honoured place because of the International Character.

But, Sir, if English can have an honoured place in Rule 29 that the proceedings of the assembly should be conducted in Urdu or English why Bengali which spoken by four crores forty lakhs of people should not have an honoured place, Sir, in Rule 29 of the procedure Rules. So, Sir, I know I am voicing the sentiments of the vast million of our state and therefore Bengali should not treated as a Provinicial Language. It should be treated as the language of the State and therefore, Sir, I suggest that after the word 'English' , the words 'Bengali' be inserted in Rule 29. I do not wish to detain the House but I wish that the members present here should give a consideration to the sentiments of the vast millions over state, Sir, and should accept the amendment that has been moved by me.

ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বক্তিতা শেষে তার সমর্থনে বক্তব্য দেন প্রেম হারি বর্মা।
এই প্রস্তাবের তিব্র বিরোধিতা করেন - পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান, কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী সর্দার আবদুর রব খান, কেন্দ্রীয় ত্রান ও পুর্নবাসন মন্ত্রী আলী খান, পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দীন, কাপ (CAP) সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাসিম এবং তমিজুদ্দিন খান।
২৫ফেব্রুয়ারী ১৯৪৮, ধীরেন্দ্র নাথ দত্তর প্রস্তাবকে সমর্থন করে বক্তব্য দেন ভুপেন্দ্র কুমার ও শ্রী চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

মার্চ, ১৯৪৮:
২ মার্চ ১৯৪৮, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডান, বাম ও মধ্যপন্থীদের নিয়ে "রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদ" গঠিত হয়।
১১মার্চ ১৯৪৮, বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবিতে সংগঠনটি প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। ঢাকায় পুলিশ আন্দোলনকারিদের লাঠিপেটা ও গ্রেফতার করে। ১১মার্চ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে প্রথম সংগঠিত গনবিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সিদ্বান্তে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এই বিক্ষোভ ও আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে নাজিমুদ্দিন সরকারের সাথে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের ৭ দফা চুক্তি হয়।
২১ মার্চ ১৯৪৮, পাকিস্তানের তৎকালিন গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশনে বলেন,
"State language of Pakistan is going to be Urdu and no other language. Any one who tries to mislead you is really an enemy of Pakistan "
সমাবেত ছাত্ররা এর প্রতিবাদ জানায়।
মার্চের শেষ সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার হলের ভি,পি এবং জি, এস সহ ১০ জন ছাত্রের একটি প্রতিনিধি দল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে দেখা করে।

নাজিমুদ্দীনের সাথে চুক্তির পর থেকে ভাষা সংগ্রাম খানিকটা ঝিমিয়ে পড়ে। এর পুনর্জাগরন, ভাষা আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায় আবার শুরু হয় ১৯৫২ সালের জানুয়ারীতে।
জানুয়ারী ১৯৫২:
২৭ জানুয়ারী ১৯৫২, খাজা নাজিমুদ্দীন পল্টনের এক জনসভায় জিন্নাহর ঘোসনার পুনারক্তি করেন। এছাড়া পাকিস্তান সংবিধান গঠন পরিষদের এক অধিবেশনে উর্দুকেই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রাভাষা হিসেবে সুপারিশ করা হয়।
একই তারিখে পূর্ব পাকিস্তান যুব লীগ এবং পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় একটি প্রতিবাদ সভা ও মিছিলের আয়োজন করে।
২৮জানুয়ারী ১৯৫২, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এক প্রতিবাদ সভায় প্রধানমন্ত্রী ও মূখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে।
৩০জানুয়ারী ১৯৫২, পূর্ব পাকিস্তান যুব লীগ, পূর্ব পাকিস্তান স্টুডেন্টস লীগ এবং সম্মিলিত ছাত্র সংগ্রাম কাউন্সিলের ডাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট পালিত হয়।
৩১জানুয়ারী ১৯৫২, পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের প্রধান মাওলানা ভাষানী ঢাকা বার কাউন্সিল লাইব্রেরীতে বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে এক সভা আহবান করেন। খিলাফত- ই-রব্বানী, তমুদ্দিন মজলিস, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগ, পূর্ব পাকিস্তান যুব লীগ সভায় অংশ গ্রহন করে। সভায় মাওলানা ভাষানীকে সভাপতি ও কাজী গোলাম মাহবুবকে আহবায়ক করে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।

ফেব্রুয়ারী ১৯৫২:
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ৪ ফেব্রুয়ারী ঢাকা শহরে ছাত্র ধর্মঘট, মিছিলের ও ২১ ফেব্রুয়ারী সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল ও বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোসনা করে।
২০ফেব্রুয়ারী পরের দিনের কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য ঢাকাতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ফকির সাহবুদ্দিনের সভাপত্বিতে এক মিটিং এ ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সরকারের এই সিদ্ধান্তে সর্ব দলীয় রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম কার্যকরি কমিটি পরের দিনের হরতাল প্রত্যাহার করে।
২১ফেব্রুয়ারী ১৯৫২:
সকাল ৮টা থেকেই ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হতে থাকে। সকাল ১১.৩০ নাগদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, মেডিক্যাল কলেজ, বুয়েট ও বহিরাগত হাজার হাজার ছাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেত হয়ে "রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই" শ্লোগান দিতে থাকে।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা সম্পদাক শামসুল হক প্রথমে উপস্থিত ছাত্রদের উদ্দেশ্য বক্তিতা দেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্র ভাষা কার্যকরি পরিষদের আহবায়ক আব্দুল মতিন ও সভাপতি গাজিউল হক ১৪৪ ধারা ভঙ্গের ঘোসনা দিয়ে ভাষন দেন।
আব্দুস সামাদ আজাদের পরিকল্পনা অনুসারে সিদ্বান্ত হয় ছাত্ররা দশ জন করে মিছিল করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করবে। হাবিবুর রহমান শেলীর নেতৃত্বে প্রথম দল, আব্দুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে দ্বিতিয় দল, আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তৃতীয় দল এবং ছাত্রীদের দ্বারা চতুর্থ দল মিছিল করে এগিয়ে যায়।শান্তিপূর্ন এই মিছিলে পুলিশের হামলা পরিস্থিতি জটিল করে তোলে। একদিকে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়তে থাকে, ইট মেরে ছাত্ররা পাল্টা জবার দেয়। একটি টিয়ার শেল গাজিউল হককে আঘাত করলে তাকে অচেতন অবস্থায় ছাত্রীদের কমনরুমে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুপর ৩ টায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সশ্রস্ত্র পুলিশের একটি গ্রুপ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের বিপরীত দিকে অবস্থান নিয়ে গুলি ছোড়ে। শহিদদের পবিত্র রক্তে সিক্ত হয় বাংলার মাটি।
আহতদের মেডিক্যালে ও মৃতদেহ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতের আঁধারে সেনাবাহীনির একটি দল মর্গ থেকে লাশ নিয়ে নিকটস্থ আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করে। শহিদদের প্রকৃত সংখ্যা সম্পর্কে মতভেদ আছে , তবে আহতদের সংখ্যা ২ শতাধিক ছিল।
২২ফেব্রুয়ারী ১৯৫২, হাজার হাজার নারী-পুরুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসে। সমবেত জনতা মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি চালায়। ধারনা করে হয় এতে চার জন নিহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সেনাবাহিনী তলব করা হয়।
অবশেষে জনতার চাপে নতি স্বিকার করে প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিন বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সংবিধানে অন্তরভুক্ত করার প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।
২৩ফেব্রুয়ারী ১৯৫২, সারা দেশে স্বতস্পুর্ত হরতাল পালিত হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থিরা বরকত শহিদ হওয়ার স্থানে শহিদ মিনার তৈরি করে।
২৪ফেব্রুয়ারী ১৯৫২, সরকার পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ৪৮ঘন্টার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার আদেশ দেয়। এই সময়ে পুলিশ বহু সংখ্যক ছাত্র ও রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করে।

৭মে ১৯৫৪:
পাকিস্তানের সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেয়।

২৬ফেব্রুয়ারী ১৯৫৬:
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিয়ে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান পাশ হয়।


ভাষা শহিদ:

রফিক:
রফিক উদ্দিন আহমেদ ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। আব্দুল লতিফ ও রাফিজা খাতুনের জোষ্ঠ পুত্র রফিক দেবেন্দ্র কলেজে পড়াশোনা করেন। ছোট কাল থেকেই উদ্যোমী, সামাজিক কর্মকান্ডে উৎসাহি রফিককে সবার থেকে আলাদা করতো।
তার বাগদত্তা ও প্রন্বয়ী রাহেলা খানমের সাথে বিয়ে ঠিক হবার পর তিনি ঢাকায় বিয়ের কেনা-কাটা করতে আসেন।২১ফেব্রুয়ারী বাড়ি ফিরে যাবার বদলে তিনি মিছিলে যোগ দেন এবং ঘাতকের বুলেটে শহিদ হন।রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি দল বন্দুকে নলের জোরে তার লাশ মর্গ থেকে ছিনতাই করে আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করে।

বরকত:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের এম, এ বর্ষের ছাত্র আবুল বরকত ১৯২৭ সালের ১৬ জুন পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদের বাবলা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।

সালাম:
ভাষা শহীদ আব্দুস সালম ২১ ফেব্রুয়ারী পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৭ এপ্রিল ১৯৫২ তে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

জব্বার:
১৯২৬ বঙ্গাব্দের ২৬ অশ্বিন ময়মনসিংহের গাফুরগঞ্জে জন্মগ্রহন করেন। হাসান আলী ও সফিতুন নেসার বড় ছেলে আব্দুল জব্বার ধোপাঘআট কৃষিবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পনের বছর বয়সে ভাগ্যের সন্ধানে বাড়ি ছেড়ে বার্মা চলে যান।
পরবর্তিতে দেশে ফিরে ১৯৪৯ সালে আমেনা খাতুনকে বিয়ে করেন। ১৯৫২ সালে এক পুত্র সন্তানের জনক জব্বার অসুস্থ শাশুড়ির চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন।২১ফেব্রুয়ারী অসুস্থ শাশুড়িকে দেখে বের হয়ে মিছিলে যোগ দেন। গুলি বিদ্ধ জব্বারকে দ্রুত ইমারজেন্সি এবং ইমারজেন্সি থেকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলেও বাচানো যায় নি।

শফিউর রহমান:
শফিউর রহমান ২৪ জানুয়ারী ১৯১৮ সালে পশ্চিম বঙ্গের চব্বিশ পরগনায় জন্মগ্রহন করেন। পেশা জীবনে ঢাকা হাই কোর্টের চাকরিজীবী শফিউর ২২ফেব্রুয়ারী শোক মিছিলে পুলিশের গুলিতে মারা যান। শেষ নিশ্বাস ত্যাগের সময় তিনি এক কন্যা সন্তান, সন্তান সম্ভবা স্ত্রী , পিতা-মাতা সহ একমাত্র তার আয়ের উপর নির্ভর একটি পরিবার রেখে যান।

অহি উল্লাহ:
হাবিবুর রহমানের পুত্র অহি উল্লাহর লাশ পুলিশ গোপনে সমাহিত করে।

আব্দুল আউয়াল:
২১ফেব্রুয়ারী শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে আয়োজিত শোক মিছিলে পুলিশের ট্রাকের নিচে প্রান হারান।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িত অনেককেই মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা করা হয়।
যেমন ২৮মার্চ ১৯৭১ , ধীরেন্দ্রনাথকে তার ছোট ছেলেসহ পাকিস্তান সেনাবাহিনী তার কুমিল্লার বাসভবন থেকে গ্রেফতার কর এবং পরবর্তিতে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে।

ভাষা আন্দোলন যাদের কাছে ঋনী:

* ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ )
*ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৯৭-১৯৭১)
* আবুল হাশিম (১৯০৫-৯৮)
*তোফাজ্জল হোসেন মানিক
*মুহাম্মদ আব্দুল হাই
* আব্দুস সামাদ আজাদ
*মাওলানা ভাষানী
*শওকত আলী
*কাজী গোলাম মাহবুব
* অলি আহাদ
* আব্দুল মতিন
* আব্দুল মালেক
*মুহাম্মদ তোহা
সহ আরো অনেকে


বিশ্ব স্বীকৃতি:
১৯৫৩ সাল থেকেই প্রতিবছর বাঙ্গালীরা ২১ ফেব্রুয়ারী দিনটি বিশেষ ভাবে পালন করে আসছে। তবে এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ আসে ১৯৯৮ তে।
*৯ জানুয়ারী ১৯৯৮, কানাডা প্রবাসী রফিকুল ইসলাম বিশ্বের ভাষাসমূহের বিলুপ্তি রোধে ২১ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের অনুরোধ জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনানকে চিঠি লেখেন।
*২০জানুয়ারী ১৯৯৮, মহাসচিব অফিসের চিফ ইনফরমেশন অফিসার হাসান ফেরদৌস, রফিককে প্রস্তাবটি জাতিসংঘের কোন সদস্য দেশের মাধ্যমে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
*রফিক আব্দুস সালমকে সঙ্গে নিয়ে এই উদ্দেশ্যে একটি দল গঠন করেন।
* ১৯৯৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে রফিক UNESCO (United Nation Educational Scientific and Cultural Organization) এর এনা মারিয়ার সাথে যোগাযোগ করেন।
* প্রস্তাবটি তৎকালিন শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, ইউনেস্কোর একাধিক বাঙালী কর্মকর্তার কাছে পৌছায় এবং প্রস্তাবটি বাস্তবায়নে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চলতে থাকে।
*৯ সেপ্টেবর ১৯৯৯, ইউনোস্কোতে প্রস্তাব দাখিলের শেষ সময়ের মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্যারিসের সদর দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়।
*১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ সালে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়।

UNESCO এর স্বীকৃতিতে বলে,
"The recognition was given bearing in mind that all moves to promote the dissemination of mother tongues will serve not only to encourage linguistic diversity and multilingual education but also to develop fuller awareness about linguistic and cultural traditions throughout the world and to inspire solidarity based on understanding , tolerance and dialogue."

আজ বিশ্বের ১৯২ টি দেশে ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের অন্যান্য মাতৃভাষা:

বাংলাদেশে মোট ৩৮টি ভাষার রয়েছে , যার মধ্যে বাংলা ৯৮% লোকের মাতৃভাষা। বাঙালী ছাড়াও এ ভুখন্ডে ৩১ টি উপজাতি রয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার ১.০৮ ভাগ, সংখ্যায় ১৪ লাখ। এদের মধ্যে -
*চাকমা - চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, রাঙামাট খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায়
*ত্রিপুরা - খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলায়
*গারো - ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলায়
*সাঁওতাল- রাজশাহি, রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর জেলায়
*খাসিয়া - সিলেট জেলার জৈয়ন্তিকা পাহাড়ে
*মারমা - বান্দরবান, কক্সবাজার ও পটুয়াখালি জেলায়
*রাজবংশী- রংপুর জেলায়
*মনিপুরী - সিলেট, মৌলভীবাজার ও পটুয়াখালি জেলায়
*রাখাইন- পটুয়াখালি জেলায়
*খুমী - বান্দরবান জেলায়
*পাংখো- বান্দরবান জেলায়
*হাজং - ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলায়
*মুয়ং - বান্দরবান জেলায়
*মগ - খাগড়াছড়ি , রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও পটুয়াখালি জেলায়
*ওঁরাও- বগুড়া ও রংপুর জেলায়
*লুসাই- রাঙ্গামাটিতে
*বনজোগী- বান্দরবান জেলায়
*বাওয়ালী- সুন্দরবন
*তনচংগা- রাঙ্গামাটি জেলায়
*চক - বান্দরবন জেলায়
*মৌয়ালী- সুন্দরবন
*হদি- নেত্রকোনা জেলায়
*কুকি- রাঙ্গামাটি জেলায়
*পাত্র - সিলেট জেলায়
*হাদুই- নেত্রকোনা জেলায়
*খ্যাং - রাঙ্গামাটি জেলায়
*মুরং- বান্দরবান জেলায় বাস করে।
যাদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি। প্রধান প্রধান অবাঙালীদের ভাষার মধ্যে
*মনিপুরি- ৪০,০০০ জন
*চাকমা- ৩০০,০০০ জন
* গারো- ১০০,০০০ জন
* ককবোরক ভাষা- ১০০,০০০জন অবাঙালি ব্যবহার করেন। এছাড়াও বাংলাদেশে হো, চুরুখ, ফার্দু ইত্যাদি ভাষার প্রচলন আছে।
নিজস্ব কারিকুলামের অভাব, নানামুখি সমস্যা অবাঙালিদের ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য এক প্রতিকুল অবস্থার সৃষ্টি করেছে। যে দেশের মাটি ভাষা শহিদদের প্রবিত্র রক্তে সিক্ত, সেই দেশ থেকেই আজ অনেকগুলো মাতৃভাষা বিলুপ্ত হতে বসেছে। যদি এই ভাষাগুলোকে আমরা বাঁচাতে না পারি , তবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উদ্দেশ্য ও স্বীকৃতিকে অবহেলা করা হবে।

কিছু প্রাসঙ্গিক- অপ্রাসঙ্গিক কথন:
জাতি হিসেবে আমরা আত্মভোলা কি না জানি না, তবে আমরা আমাদের ইতিহাসের সঠিক সংরক্ষনে বরাবরই ব্যর্থ। একুশের চেতনার দলিয়করন চলছে, অদুর ভবিষ্যতে মুক্তিযুদ্ধ কিংবা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের মত একুশের ইতিহাস ও হয়তো বিতর্কিত হয়ে উঠবে।
তবে শাসকেরা বরাবরই বাঙালি জাতিকে ভীরু আর আত্মভোলা বলে বিবেচিত করে আসছে। ইতিহাস সাক্ষি যেদিন-যখন এ জাতি জেগেছে, ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।কিন্তু তারপর পরই যেন আমরা সেই চেতনা, সাহস, শক্তি হারিয়ে ফেলি। একুশের চেতনা কি ছিল আমি জানি না , সংগ্রামী সেই বীর জনতার লক্ষ্য কি ছিল তাও জানি না; তবে তাদের উদ্দেশ্য ছিল মাতৃভাষাকে মাতৃভূমিতে প্রতিষ্ঠা করা। তাদের সফলতা আজ স্থান , কাল, সীমা ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী মানুষের বুকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা সেই সফলতা, সেই চেতনা ভুলে গেছি। আমাদের সমস্ত শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, ভক্তি আজ যেন শুধু একটি দিনের প্রতি সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।
ইংরেজি শিখেছি, জাপানিজ শিখেছি, জার্মান শিখেছি; শিখেছি হিন্দি কিংবা আরবী, অনেক বড় শিক্ষিত হয়েও বাংলা শিখি নি। আজ টোফেলের স্কোরের কথা সগৌরবে প্রচার করি, উত্তর- আধুনিক হবার প্রতিযোগীতায় পাশ্চাত্য থেকে ধার করে আনা সেকেন্ড হ্যান্ড হিন্দি ছবির সংলাপ অনর্গল বলছি, "কিয়া বাত হে" বললে কেউ না বুঝলে সময় নষ্ট না করে "ক্ষাত" উপাধি দিচ্ছি, এই অতি সচেতন আমরা। আজ কোচিং সেন্টারে ইংরেজিকে বেচতে শিক্ষক নির্লজ্জ উচ্চারন করেন ,"বাংলা হচ্ছে মাতৃভাষা, মায়ের মত, যার দরকার প্রথম পাঁচ বছর; আর ইংরেজি হচ্ছে স্ত্রীর মতন যার প্রয়োজন সারা জীবন।" আজ আমাদের ফেসবুক স্টাট্যাস- লাইফ কিতনা বোরিং হে। সেই আমাদের একদিনের লোক দেখানো শ্রদ্ধার কি মূল্য, কি প্রয়োজন? নিজের মাতৃভাষায় পৃথিবীর কয়তি জাতি উন্নতি করেছে, আর অন্যের ভাষা শিখে কয়টি জাতি উন্নতি করেছে?
আবেগের বশে অতি কথন করতে চাই না ; শুধু প্রার্থনা- বর্নমালার স্থান হোক হৃদয়ে।

পোস্ট টি পরিবর্ধনে ইচ্ছুক। সকলের সহযোগিতা কাম্য।

তথ্যসূত্রের একাংশ:
১.বাংলাপডিয়া
২.ঢাকা:স্মৃতি বিস্মৃতির নগর- মামুন মুনতাসির
৩.A Glimpse into Language Movement: Prof Abdul Gofur
৪.Ekush: The Sanctuary of Existence: Ziaban Chaudhury
৫.Children of Ekushe: Syed Shamsul Haque
৬.Neglected Politics in the History of language Movement: Mostafa Hossain
৭.Vacillating Minds: Anisuz Zaman
৮.Present Reality and 52s Language Movement: Zubaida Gulshan Ara
৯.Bangali for a month and Muslim for another month: Meer Nurul Islam
১০.একুশের কথা: শহিদুল্লাহ কায়েসার
১১.একুশের দুপুরে: ফজলে লোহানি
১২.A Forgotten Day of Language Movement: Sheikh Manabubul Alam
১৩.The Ekushe I Saw: Kazi Motahar Ali
১৪.February of 1952: What happened in Dhaka: Doctor Abdul Baset
১৫.Emotion Defied Obstruction that Day : Sufia Ahmed
১৬.Few Blood Stained Moments of 21 February 1952: Mostaque Hossain
১৭.একুশের দলিল: মি. আকতার মুকুল
১৮.e-Bangladesh
১৯.Virtual Bangladesh:History : Ekushe February: Mohammad Bari
২০.DiscoveryBangladesh.com
২১.History of Language Day : Dr. Waheeduzzaman Manik
২২.bangla2000
২৩.International Institute of Bengal Basin (IIBB)
২৪.The Daily Star
২৫.Wikipedia

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৪৫
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×