শুভ শুচিকে ঘারে করে হাটছে, মেয়েটা বাবার কলার আটকে ধরে আছে, চিত্রা শুচিকে নিজের কোলে নিয়ে ওপরে ছুড়ে দিচ্ছে আর ধরছে ; মেয়েটা খুব মজা পাচ্ছে আর শুভ্র ভয়, চিত্রা ওরকম করেনা অত কিনারে যেওনা ....
হঠাৎ হাত ফসকে গেলো ;শুভর নীল শার্টের মত উড়ছে শুচি ....
ঘুম ভেঙে ধরমর করে উঠে বসলো চিত্রা সাথে পাসে শুয়ে থাকা অনন্য
কি হলো আবার দু:স্বপ্ন দেখেছো ? পানি খাবে? ইশ এই শীতে ঘামে একদম ভিঁজে গেছো? ফ্যান দেবো?
কিছুনা তুমি ঘুমাও বলে চিত্রা পাশফিরে শুয়ে পরে।এলোমেলো অনেক কিছুই ভাবে ও কি সেদিন কোনো ভুল করেছিলো, বিয়ের পর সে এই স্বপ্ন কেন বার বার দেখে, শুভ ঠিক করেছিলো ওদের মেয়ের নাম হবে শুচি শুভর শু আর চিত্রার চি; চিত্রার জন্যই কি মেয়েটা স্বপ্ন থেকে গেলো, ভেঙে গেলো শুভর সব কল্পনা, কেন সেদিন ভুতগ্রস্ত বালিকার মত সে অনন্যর কাছে চলে এসেছিলো, সেটাকি ভুল ছিলো, .............
লাইফে যদি আনডু অপশন থাকতো
অথবা...
ছেলেটা অবাক হয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে কিরে এত সকালে তুই
আজ তোর হলুদ না, কিছু কেনার বাকি আছে ,তুই এসেছিস কেন আমাকে ফোনে বললেই তো আমি দিয়ে আসতাম।
হুমম বিয়ে না সংসারের জিনিষপত্র কিনতে হবে , আমি চলে এসেছি, তুই তোর বন্ধুদের খবর দে আজ আমাদের বিয়ে
পাগল হলি শুভর সাথে ঝগড়া করেছিস
উহু তোর সাথে ঝগড়া করবো আয় তোর চুল আচরে দেই...
দুলতে থাকে ছাদ, চিলেকোঠা ঘর , আশেপাসের সবকিছু বিলীন হয়ে যায়
গোঙাতে গোঙাতে ঘুম ভাঙে চিত্রার আর পাশে শুয়ে থাকা শুভর।
কি হলো আবার দু:স্বপ্ন দেখেছো ? পানি খাবে? কতদিন বলছি সাইক্রিয়েটিস্ট দেখাতে কথা শুনবে না...
আমাকে পাগল বানানোর চেষ্টা না! ঘুমাও বলে পাস ফিরে শুয়ে পরে চিত্রা
সেদিন কেন শুভকে চিঠিটা দিতে পারলো না, কেন অনন্যর কাছে চলে গেলো না, কেন আবেগ আর যুক্তির যুদ্ধে আবেগ কে হারিয়ে দিয়েছিলো.।
সেদিন কেন সে ভুলটা করেছিলো, কেন প্রিয়র চেয়ে শ্রেয় কে বড় করে দেখেছিলো
যদি আরেকবার সে দিনটায় ফিরে যাওয়া যেত পুরো পৃথিবীকে উপেক্ষা করে সে অনন্যর চিলকোঠা ঘরে চলে যেত......
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:১০