somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তথ্য অধিকার
তথ্য চাই তথ্য চাই !! আমি ভালোবাসি তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ এবং এর বাস্তবায়নে যাতে সরকারী-বেসরকারী প্রশাসনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সততা-ন্যাপরায়নতা ফিরে আসে, সেটাই আমার কামনা এবং আন্দোলন।

ফরমালিন বিষয়ক ইনফরমাল এবং নতুন তথ্য

২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


“প্রচলিত শনাক্তকরনের প্রক্রিয়ায় ফরমালিনের আসল চিত্র উঠে আসছে কিনা এনিয়ে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই সন্দিহান। তাদের অনেকে আবার এও মনে করছেন, খুচরা বাজারে ফরমালিন বিক্রি নিষিদ্ধ না করে কেবল অভিযান চালিয়ে এটি নির্মূল করা সম্ভব নয়। ফরমালিন নামটি প্রচলিত হলেও এটি বিশেষজ্ঞদের কাছে বেশী পরিচিত ফরমালডিহাইড নামে। এবছর ভেজাল বিরোধী অভিযানে ফরমালিন মাছের চেয়ে অনেক বেশী পাওয়া যাচ্ছে ফল এবং সবজিতে। অথচ বিজ্ঞান বলছে প্রোটিনের কারনে মাছের মত প্রানীতে ফরমালিন প্রিজারভেটিভ হিসাবে কাজ করলেও তা ফলে বা সবজিতে কাজ করার কথা না। সরকারী সংস্থা বিএসটিআই মূলত ফলে বা সবজিতে ফরমালিন শনাক্তকরনের কাজটি করে থাকে। অভিযান চলাকালে তাতক্ষনিক পরীক্ষায় একধরনের সংকেত পেলেই বিএসটিআই নিশ্চিত হয় ফরমালিন আছে কি নেই। কিন্তু কথা উঠেছে ফলে বা সবজিতে অন্য কোন উপাদান থাকলেও ঐ সংকেত দিতে পারে। আবার বিজ্ঞান এও বলছে ফলে প্রাকৃতিকভাবে কিছু ফরমালিন থাকে। এই অবস্থায় বিএসটিআই ফলে যে ফরমালিন শনাক্ত করছে তা মানুষের দেয়া না প্রাকৃতিক সেই বিষয়টি সম্পর্কে তারা কতটা নিশ্চিত,তবে বাতাসে ফরমালিন শনাক্তকরনে মতস্য অধিদ্প্তর যে মেশিন এনেছে সে বেপারে কর্মকর্তারা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। ফরমালিনের একটি বৈশিষ্ট হল এটি যদি ফলে বা অন্যকিছুতে দেয়া হয় তবে তা খুব দ্রুত বাতাসে হারিয়ে যায়। এই অবস্থায় ফলের কাছের বাতাসে ঐ মেশিন যে ফরমালিন পাচ্ছে সেটাইবা কতটা সঠিক তা নিয়েও অনেকেই আপত্তি করছেন। ফরমালিন শনাক্তকরনের প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান তারা এও বলছেন ফরমালিনের চিত্রটি যদি বাস্তবে আরো ভয়াবহও হয়ে থাকে তবে তা এই প্রক্রিয়ায় উঠে আসবেনা। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মত যৌক্তিক কিছু কারনে ফরমালিনের ব্যবহার এতটাই সীমিত যে এক্ষেত্রে ব্যবহারীরা অনুমোদন নিয়ে আমদানী করে চাহিদা মেটাতে পারেন। তাসত্ত্বেও কেন খুচরা বাজারে ফরমালিন কেনাবেচা নিষিদ্ধ না করে কেবল বাজারে ফরমালিন খোজা হচ্ছে তা নিয়েও তৈরী হয়েছে বিতর্ক।”

আগের বিভিন্ন নিউজের সুত্র ধরে আমার কিছু কথা?
১) ফরমালিন তথা ফরমাল ডিহাইট বিক্রিয়া করে প্রোটিনের সাথে তার মানে এটা মাছের পছন রোধ করে। তাহলে সেটা সুগার, ওয়াটার এবং শর্করা সমৃদ্ধ ফলে প্রয়োগে লাভটা কি? কেন এই ব্যাপারে সচেতনাতা কার্যক্রম নেই?

২) বিভিন্ন ভাবে প্রমাণীত হয়েছে যে ফরমালিন সনাক্তের যন্ত্রটিতে(সম্ভবত থাইল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত) কাঁচা আম দিলেও সে ফরমালিন সনাক্তের রিডিং করে। এবং এই যন্ত্রটি মুলত ফলের আশে পাশের বাতাসকে ইভালুয়েট করে। তার মানে যন্ত্রটি কেবল মাত্র ফলে বা মাছে থাকা ফরমাল ডিহাইডকেই কেবল সনাক্ত করে না সেটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ভাবে থাকা ফরমালিনকেও রিড়িং এ নিয়ে আসে। ntv report

৩)আমেরিকাতে বেশীর ভাগ ফল যায় আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে। কলা গুলা এক ধরণের গ্যাস দিয়ে পাকানো হয়। পলিথিনে ভরে সেখানে চিপসের প্যাকেটের মত গ্যাস ভরে তার পর মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ছাড়াও তারা বেশীর ভাগ প্যাকেট জাত খাবারের উপর নির্ভরশীল যেমন টিন জাত মাছ, প্যাকেট জাত মুরগী/মাংস ইত্যাদি যে গুলাতে প্রিজারভেটিভ অবশ্যই দেয়া হয়। কিন্তু সে সব বিষয়ে তেমন আলোচনা আসে না কেন?

৪) ফরমালিন বিষয়ে আলোচনা হয় কিন্তু এনার্জি ড্রিংকের নামে কি বিক্রী হচ্ছে দেশে? সেটাতো একদিনে বন্ধ করা যায় অথবা এই সব কোম্পানীর দেয়া এড গুলাও বন্ধ করা যায় ।

আমার মনে হচ্ছে ফরমালিন নিয়ে আমাদের দেশে ব্যাপক সমীক্ষা এবং পরীক্ষা নিরিক্ষা চালানো হয়নি। ফরমালিন বিষয়ক কার্যক্রম গুলা যারা পরিচালনা করছেন তারাও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আম/লিচু গুলা নালায় ফেলে দেয়ার মাধ্যমে তাদের সর্বসান্ত করে লাভ কি ? আর ঢাকার মানুষকেই কেবল ফরমালিন মুক্ত রাখলেই কি চলবে? ডিএমপির লোক দেখানো অদক্ষ কার্যক্রমের নিন্দা জানাই। আসলেই ফলে ফরমালিন প্রয়োগ হয় না অন্য কিছু প্রয়োগ করা হয় সে সব নিয়ে ভালো পরীক্ষা চালানো হয়নি। ফরমালিন বিষয়ে ভুল ধারণা নিয়ে আর যাই হোক সেটা বন্ধ করা যাবে কি?
সূত্রঃ Arshad
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×