বাসার গ্যাসলাইনে সংযুক্ত করা হবে সেন্সর। যেটি গ্যাস সংযোগ লাইনে কোনো ফুটো হলে সংকেত দিয়ে জানিয়ে দেবে। একই সঙ্গে চালু হয়ে যাবে রান্নাঘরের কুলিং ফ্যান। ‘মিথেন ডিটেক্টর অ্যান্ড অবজারভার’ নামের এমনই একটি প্রকল্প তৈরি করেছে ঢাকা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জুনাইদ ধীমান, মেহরাব খান, রাশ্হা রাব্বানী ও মাহ্দী হাসান। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (আইইউবি) ‘ন্যাশনাল প্রজেক্ট কমপিটিশন অন গ্রিন এনার্জি অ্যান্ড টেকনোলজি ২০১৬’ নামের প্রতিযোগিতায় কলেজ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এই প্রকল্প। এর দলনেতা জুনাইদ ধীমান বলেন, ‘গ্যাস দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনার উদ্দেশে প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে।’
সৌরবিদ্যুৎ-চালিত ধান ভানার যন্ত্র তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আইইউবি। এ দলের সদস্যরা হলেন মোহাম্মদ রেজোয়ান উদ্দীন, মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন ও জাইমা তাসনিম।
প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ৬০টি দল অংশ নেয়। সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে
পুরস্কার তুলে দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, সাশ্রয়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন করা আমাদের চ্যালেঞ্জ। এ জন্য তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণা দরকার আমাদের।
আইইউবির উপাচার্য এম ওমর এজাজ রহমান বলেন, জ্বালানি-সাশ্রয় এখন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তরুণেরা এ বিষয়ে অনুপ্রাণিত হতে পারবে। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতার সমন্বয়ক খসরু মো. সেলিম, আইইউবির স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পিউটার সায়েন্সের ডিন শাহরিয়ার খান এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের প্রধান আবদুর রাজ্জাক বক্তব্য দেন। প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিল আইইউবির তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের গ্রিন এনার্জি রিসার্চ সেন্টার।
কলেজ পর্যায়ে প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড স্কুলের রিনিয়েবল এনার্জি ও গ্রাভিটি লাইট প্রকল্প। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সোলার কার ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যমুখী প্রকল্প। পুরস্কার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের চ্যাম্পিয়নরা এক লাখ টাকা এবং কলেজ পর্যায়ের চ্যাম্পিয়নরা পেয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
সূএ:prothom-alo.
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪