না দেখেই যুক্তি সংগত মুগ্ধ হওয়ার মতো
সেই একজনই আছে যেন ধরাতে ।
মুখে যেন তার ছোটে হাসির ফোয়ারা
নদীর কলকল ছলছল ধ্বনিতে
দুচোখে খুশির ঝিলিক তাতে দিক্বিদিক
জ্ঞানশূন্য প্রেমিক আমি ।
দুঃখে আমার দুচোখে তার যেন বহে শ্রাবণ ধারা
তিনি এক নিমগ্ন শিল্পী রং তুলি হাতে।
পৃথিবী জয়ের দীপ্তি তার চোখে মুখে লেগে থাকে
কিন্নরী কন্ঠে তার, অপরাজিতার প্রতিশ্রুতি
রবীন্দ্র নজরুলগীতি যেন সুর লহরী
ধিনত ধিনতা নাচে প্রণয়ের বীণটা মোর বাজে
সঙ্গম রচনায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি লয়ে।
রান্নাঘরে রন্ধন শিল্পে পাঠশালায় কাব্য হাতে
তার মতো এমন নিপুণ রাঁধুনি আমার জানা নেই
এমন আর একজন ও যেন নেই এই ধরাতে।
কোথাও আর পাবে না খুঁজে এর একটি ও
এমন প্রেম লয়ে বুকে মত্ত অপ্রেমের খেলাতে।
এমন মেয়ের প্রেমে পড়া বারণ যেন চিরো নিষিদ্ধ
গন্দমের মতো অকারণ অনিবার্য চিরো ধ্বংসযজ্ঞ
তা ডেকে আনতে পারে ধরাতে ,
যেমন করে মরে পোকা আগুনে।
এমন গুণবতীর প্রেমে পড়া যে নামুঙ্কিম ফাগুনের আগুনে।
সে এমনই উচ্ছ্বল একজন যে প্রেমে মরা
অবলা এক মনে
ঢেলে দিয়েছে কবিতার ঐশ্বর্য
হাতে তুলে দিতে পারে প্রেম বীণা যৌবনের অনুরাগে
সে বেমালুম ভুলিয়ে দিতে পারে
সব অতীত রক্ত ক্ষরণ এই ভগ্নহৃদয় হতে
যেন এক নিমেষে ।
সেই নিঠুরিয়া যে চির অভিমানী, প্রতীক্ষীত
প্রেমিক হৃদয় তার সব জেনেও বার বার
করে সীমা লংঘন,
তা যেন ভীষণ দরকারি
এমন অপ্রেমে তা টনিকের মতো কাজ করে।
অভিমানী দূরে থেকে বার বার টেনে তুলে
নিমজ্জিত প্রেমিকের হাত অসীম প্রেমে
তা যেন এক মায়াবতীর প্রণয়ের দ্বার খুলে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


