somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের কথা-৪২

১১ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চলছে.....
দুদিন পর রানা এলো বললো চলো বাসায় চলো, এটা কি খেলা,
আমি বললাম না যাবো না এটাতো খেলা না, আমি আর যাবো না,
রানা রেগে গেলো-যাবে না মানে যেতেই হবে,
রাগ হলো আমার বললাম-তোমার ইচ্ছামত....? গলায় যতটুকু জোড় আছে চিৎকার করেছিলাম সেদিন আমি যাবো না, এটা আমার শেষ কথা, কি করতে পারো করো,
রানাও চিৎকার করে আমাকে অনেক আজেবাজে কথা বললো, অনেকক্ষণ প্রায় এক ঘণ্টা চললো, আসে পাশের বিল্ডিং থেকে সবাই শুনতে পাচ্ছে আমাদের ঝগড়া, আমি কোনো দিকে কেয়ার করিনি সেদিন, ওদিকে আম্মা বিব্রত। সমাধান কিছুতেই হচ্ছে না, শেষ পর্যন্ত রানাকে বললাম এই মুহূর্তে আমার বাসা থেকে বের হয়ে যাও আর কোনোদিন আসবা না যাও....
রানা গজ গজ করতে করতে বাসা থেকে বের হয় গেলো....
এতকিছুর পরও হায়রে মায়ের জাতি তবু আমাকে বললো এটা তুই কি করলি? বাসা থেকে বের করে দিলি, নিতে আসছিলো চলে যাওয়াই উচিত ছিলো, সব মেয়েদের জীবনই এমন, মেয়েদের অনেক কিছুই মেনে নিতে হয়। মনে মনে বললাম মা তুমি জানো না কি জটিল সে আমার কাহিনী, কিন্তু বলতে পারলাম না মুখ ফুটে এ কথা কি বলা যায়? শুধু কাঁদতে থাকলাম।
শুধু বললাম মা সমস্যাটা অনেক জটিল, আম্মা বুঝতে চাইলো না, আমার সাথে কথা বন্ধ করে দিলো।
দুতিন দিন কেটে গেলো আম্মা কথা বলে না, আব্বা আমাকে ডেকে বললো তোমার আম্মার সাথে কথা বলে সমাধান করো.... কি কথা বলবো, আম্মা কোনো কথাই শুনতে চায় না সরাসরি বললো আমি কোনো কথাই শুনতে চাই না, যত কষ্টই হোক রানার বাসায়ই তোমাকে থাকতে হবে, মানুেষ কি বলবে? সব মেয়েকেই কষ্ট করেই সংসার করতে হয়। খেয়ে দেয়ে রেডি হও আমি নিজে যেয়ে দিয়ে আসবো।
বুকের মধ্যে প্রচন্ড অভিমানে বুকটা ফেটে যাচ্ছিলো..মা হয়েও তুমি বুঝলে না? কোনো কথা বললাম না,
আম্মার প্রতি জেদ হলো-কিছু বলবো না যত কষ্টই হোক সংসার করবো, যন্ত্র হবো রানা যা বলে তাই করবো। আম্মার প্রতি প্রচন্ড অভিমান বুকে নিয়ে সর্বনাশের পথে চললাম।
আম্মা দিয়ে আসলো রানার বাসায়, আরো ছোট হয়ে গেলাম আমি, তখনও পড়া লেখা শেষ হয় নাই কোথায় যাবো কি করবো মাথায় আসলো না। নিজ গৃহে পরবাসী হলাম আমি, নিজের অস্তিত্বকে বিলীন করে শুরু হলো অন্য জীবন।

তখন আর জীবনের উঠা নামা ছিলো না নির্বিকার চলছে জীবন, বরফ হয়ে শক্ত হয়ে গেছি আমি, এতটুকু উত্তাপ নিয়ে কেউ এলো না আমাকে স্বাভাবিক করতে। এমন কারো দেখা কি আমি পেতে পারতাম না? যে আমার চোখ দেখে আমার কষ্ট বুঝতে পারে! আমার কষ্টের ভাগ নিতে পারে!

স্বপ্ন ছাড়া বাস্তবে ভুলে গিয়েছিলাম জীবনের সব চাওয়া। কখোনো ভাবিনি কারো সাথে শেয়ার করা যায় আমার কষ্টগুলো।
কেনো ভাবিনি বলতো পারি না হয়তো তেমন নির্ভরশীল কারো দেখাই পাইনি।

পড়াশোনাটা যে ভাবেই হোক চালিয়ে যেতে হবে। সব কিছুর মধ্যেও ক্লাস মিস করিনি কখোনো। পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করবো তবুওতো একটা জগৎ হবে আমার সময় কাটানোর তারপর টাকার সমস্যাটাও একটা বড় সমস্যা ছিলো সেটারও সমাধান হবে।
চারুকলার সময়গুলি মোটামুটি কাটছে। ভালো খারাপের ভেদাভেদটা ইদানিং ভুলেই গেছি।

চলবে.......
২০টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×