somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আরব এবং আরব বংশোদ্ভূত লেখিকাদের প্রেম এবং কাম নিয়ে সাহিত্যচর্চা

০৮ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কবিতা ও সাহিত্যে প্রেম ও যৌনতা প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে যাকে দেশ কালের গণ্ডিতে বন্দি করা যায় না। যে কবিতা বা উপন্যাসে প্রেম ও যৌনতা থাকে তার জন্য পাঠকের অভাব হয় না। সাধারনত দেখা যায় যে মুল ধারার কবিতা বা উপন্যাসের চেয়ে এই ধরনের কামোদ্দীপক (Erotic) কবিতা বা গদ্যের চাহিদা বেশী থাকে। অনেকে পর্ণগ্রাফি এড়িয়ে চলে কিন্তু এই ধরনের কামোদ্দীপক সাহিত্য দ্বারা ভীষণভাবে আকৃষ্ট হয়। এটার একটা কারণ হতে পারে যে পর্ণতে কোন শিল্পের ছোঁয়া থাকে না। কিন্তু কামোদ্দীপক কবিতা বা গল্পে যৌনতাকে এক ধরনের শিল্পের মোড়কে পাঠকের কাছে উপস্থাপন করা হয়। ফলে পর্ণ পড়া বা দেখার ক্ষেত্রে যে অপরাধবোধ অনেকের মধ্যে কাজ করে সেটা এই ধরনের কামোদ্দীপক সাহিত্যকর্মের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে দেখা যায় না। ফলে তারা এই ধরনের লেখা পাঠ করে একটা নির্ভেজাল স্বর্গীয় পুলক অনুভব করে। অনেক ক্ষেত্রে কোনটা Erotic কবিতা আর কোনটা মুলধারার কবিতা এটা নির্ণয় করাও কঠিন।

দ্যা নিউ অ্যারাব (The New Arab - আরবিতে Al-Araby Al-Jadeed। বিস্তারিত জানতে দ্যা নিউ অ্যারাব ) লন্ডন ভিত্তিক একটা অনলাইন প্রচার মাধ্যম যা সমগ্র আরব বিশ্বে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এদের অনলাইন পত্রিকা, দৈনিক সংবাদপত্র আছে ও টিভি চ্যানেল আছে। ৩০ জুন ২০২১ তারিখে দ্যা নিউ অ্যারাবের অনলাইন সংস্করণে প্যালেস্টাইনিয়ান-ব্রিটিশ লেখিকা সেলমা দাব্বাঘ ও লন্ডন ভিত্তিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘সাকি’ প্রকাশনীর প্রতিনিধির একটা সাক্ষাতকার প্রকাশিত হয়। এই সাক্ষাতকারে তারা বর্ণনা করেন কিভাবে তাদের নতুন ধাঁচের সাহিত্য সংকলন ‘We Wrote in Symbols: Love and Lust by Arab Women Writers’ বইটি আরব লেখিকাদের প্রেম ও কামনা নিয়ে লেখা সাহিত্য কর্মগুলিকে পুনরায় সামনে নিয়ে এসেছে। সাক্ষাতকারটা আগ্রহ সৃষ্টি করলো তাই ব্লগারদের উদ্দেশ্যে লেখাটার বাংলা অনুবাদ উপস্থাপন করলাম। অনুবাদ আমি করেছি তাই ত্রুটি মুক্ত না। আবার অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি অনুবাদের বদলে ভাবানুবাদ করা হয়েছে। লেখাটা এখান থেকে শুরু -



উই রোট ইন সিম্বলসঃ নতুন ধাঁচের সাহিত্য সংকলন যা আরব নারীদের কামোদ্দীপক সাহিত্যের হাজার বছরের ঐতিহ্যকে নবায়ন করছে
- ইউসরা সামির ইমরান

(‘We Wrote in Symbol: Love and Lust by Arab Women Writers’ নামের এই বইটা ৭৫ জন আরব লেখিকা/ মহিলা কবির সাহিত্য কর্মের একটি সংকলন যেখানে প্রেম ও কামকে তারা দক্ষতার সাথে শৈল্পিকভাবে উপস্থাপন করেছেন।)

প্রেম, কাম এবং যৌনতা নিয়ে আরবের নারীদের সাহিত্য চর্চা কোন সমকালিন প্রবনতা না। এটাকে পাশ্চাত্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত কোন বিষয়ও বলা যাবে না। প্রকৃতপক্ষে, প্রাক-ইসলামী যুগ থেকে আরবের নারীরা কামোদ্দীপক (Erotic) সাহিত্য চর্চা করে আসছে। ‘সাকি’ প্রকাশনী অতীত ও বর্তমানের আরব নারী সাহিত্যিকদের প্রেম, কাম এবং যৌনতা সংক্রান্ত লেখাসমুহ নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশ করেছে তাদের প্রকাশিত বই ‘We Wrote in Symbol: Love and Lust by Arab Women Writers’ এর মাধ্যমে।

বইটি লন্ডন ভিত্তিক প্রকাশনী ‘সাকি’ এবং প্যালেস্টাইনী বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ লেখিকা সেলমা দাব্বাগের ( যিনি সুখ্যাতি পাওয়া নভেল ‘Out of it’ এর লেখিকা) যৌথ প্রচেষ্টায় প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ের মাধ্যমে ক্লাসিক্যাল যুগ, বিংশ এবং একবিংশ শতাব্দীর আরব লেখিকাদের বৈচিত্র্যময় এবং উঁচু মানের নির্বাচিত ৭৫ টি কাব্য ও গদ্যরচনা পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। সাহিত্য সংকলনের এই নতুন উদ্যোগের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে সাকি প্রকাশনীর আরেকটি বিখ্যাত বই যেটার নাম 'Classical Poems by Arab Women', যেটার সম্পাদনা করেছেন আবদুল্লাহ আল উধারি।

সেলমা দাব্বাগ ‘The New Arab’ কে বলেন “আমি আমার নভেল ‘Out of it’ এ We Wrote in Symbol বইয়ের কিছু কবিতার উদ্ধৃতি দিয়েছিলাম। আমি যে কবিতার উদ্ধৃতি দিয়েছিলাম সেটা ছিল বাচ্চা প্রসব সংক্রান্ত। কিন্তু আমি তারচেয়েও বেশী অভিভুত হয়েছিলাম এই সংকলনের প্রেম, কাম এবং কামোদ্দীপনা নিয়ে লেখা কবিতাগুলির দ্বারা যেগুলি লেখা হয়েছিল অন্ধকার যুগ, উমাইয়া, আব্বাসি এবং আন্দালুসিয়ান যুগে। এই লেখাগুলিতে এক ধরণের আত্মবিশ্বাস ছিল। কয়েকটি কবিতাকে মনে হয়েছে এগুলি যেন ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী। আবার কিছু কবিতায় পরিষ্কারভাবে কামনা প্রকাশ পেয়েছে।

আমি ‘সাকি’ প্রকাশনীকে পরামর্শ দিয়েছিলাম যে, ক্লাসিক্যাল এবং সমকালীন লেখার সংমিশ্রণ ঘটানোর জন্য যেন দেহ ও মন নিয়ে বিভিন্ন ধরণের লেখা প্রকাশ পায় যে লেখার বক্তব্য আত্মবিশ্বাসী, স্বতন্ত্র, রসাত্মক এবং যা সুপাঠ্য। আমি চেয়েছিলাম এমন একটা সংকলন যেখানে আরব বিশ্বের বিচিত্রতার প্রতিফলন ঘটবে। কয়েকজন লেখিকার লেখার শক্তি ও অদম্য সাহসকে আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে অনুপ্রেরণামূলক মনে হয়েছে যা চোখ খুলে দেয়। আমার মনে হয় অন্যরাও এই ব্যাপারে একমত হবেন।“

সংকলক দাব্বাগের উদ্যোগে বিখ্যাত আরব লেখিকা হানান আল শাইখ, লাইলা স্লিমানি, আদানিয়া শিবলি এবং আধাফ সউইফের পাশাপাশি নতুন কিছু লেখিকার লেখা We Wrote in Symbol বইয়ে সংযোজন করা হয়েছে। এই উদ্যোগের দ্বারা নতুন লেখিকাদের আহবান করা হয়েছে যাদের লেখা আগে কোথাও প্রকাশিত হয়নি। দাব্বাগ বলেন “ আমার খুব আগ্রহ ছিল বইটি যেন কেলেঙ্কারির বদলে একটা চমক সৃষ্টি করে। যেন যাচ্ছেতাই না হয়ে আলোকোজ্জ্বল হয়।“

দাব্বাগের সাথে একত্রে কাজ করেছেন ‘সাকি’র জ্যেষ্ঠ সম্পাদক এলিজাবেথ ব্রিগস। তিনি বলেন যে প্রেম ও যৌনতার উপর আরব নারী সাহিত্যিকদের লেখার ব্যাপারে পাঠকের দিক থেকে একটা ক্ষুধা ছিল। ২০১৮ সালের ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সাকি যার বিষয় ছিল ‘Arabic Poetry of Love and Lust: 7000 Years of Female Desire Sold Out’ ( প্রেম ও লালসা নিয়ে আরবি কাব্যঃ ৭০০০ বছরের নারীর কামনা বিক্রি হয়ে গেছে)। এই অনুষ্ঠানে আরব ঐতিহ্য ধারণকারী তরুণীরা প্রকাশনা সংস্থাকে বলে যে তারা এই ধরণের সাহিত্যকর্ম আরও চায়।

ব্রিগস বলেন “অনুষ্ঠানটির ব্রিটিশ-বাহরাইনী ব্যবস্থাপক তাকে বলেন যে তিনি জানতেন না যে আমরা যৌথভাবে এই অনুষ্ঠান নিয়ে কাজ করছি। ঐ ব্যবস্থাপক বলেন, অনেক আরব নারী এই ধরণের প্রেম ও কাম নিয়ে লেখালেখি করে। তিনি আরও বলেন যে এই কবিতাগুলি পড়ে আমি নিজের ঐতিহ্যের সাথে যোগাযোগের একটি নতুন উপায় পেয়েছি।“

ব্রিগস বলেন “আমরা জানতাম আরও কাজ বাকি আছে। আমরা জানতাম যে বর্তমান সময়ে অসংখ্য মেধাবী গদ্য ও পদ্য লেখিকা আছেন যাদের সাহিত্যকর্ম তেমন প্রকাশিত বা আলোচিত হয়নি এবং অনেক পাঠক আছেন যাদের এই লেখিকাদের সাহিত্যকর্ম প্রয়োজন এবং তারা এদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আমাদের একটা বড় প্রশ্ন ছিল – ক্লাসিক্যাল যুগ ও বর্তমান যুগের মধ্যবর্তী সময়ে কি এমন ঘটনা ঘটেছে যার কারণে নারী লেখিকাদের প্রেম ও কাম নিয়ে লেখা গুরুত্ব হারিয়েছিল? আমরা কি এগুলি নিয়ে আলাপ করে মূল ব্যাপারটার সমাধান করতে পারি?”

ধারণা করা যাচ্ছে যে আরব নারীদের প্রেম ও কাম নিয়ে কাব্য ও সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে একটা বিরতি এসেছিল আন্দুলেসিয়ান যুগের ( ১৪৯২ খ্রিস্টাব্দ) পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত সময়ে। ইতিহাস থেকে আমরা অনুধাবন করতে পারি যে এটার কারণ ছিল সমাজে নারীদের ব্যাপারে পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন যার কারণে নারীদেরকে পৃথক রাখা হয়েছিল। এছাড়া আরেকটা কারণ ছিল ঐ সময়ের কিছু পরে ইউরোপীয় উপনিবেশিক শাসন, যখন ফ্রেঞ্চ ও ব্রিটিশরা যৌনতা সংক্রান্ত তাদের নিজেদের আদর্শ ও সংস্কারকে জোর করে উপনিবেশগুলির উপর চাপিয়ে দিয়েছিল।

দাব্বাহ ব্যাখ্যা করেন “ আমি ইসলাম ও যৌনতা সম্পর্কে মনিষীদের লেখা পরে বুঝতে পেরেছি, যে যুগে নারীদের যৌনতাকে একটা শক্তিশালী ক্ষমতা বলে গণ্য করা হতো এবং এই ব্যাপারে সমাজে সঙ্গতি ও ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হতো সেই যুগ পার করে এমন একটা যুগ আসে যখন নারীর যৌনতাকে ধরে নেয়া হয় যে এটা একটা লুকানোর জিনিস এবং এটাকে নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষা করতে হবে।“

“ক্লাসিক্যাল কাব্যের অন্যতম অনুবাদক আবদুল্লাহ আল উধারি ১৪০০ খ্রিস্টাব্দে দামাস্কাস দখলের উদাহরণ দেন, যখন তইমুর লং শহরটিতে লুটপাট ও অরাজকতা শুরু করে এবং নারীদের মসজিদের ভিতরে ধর্ষণ করা হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনার ফলশ্রুতিতে নারীদের স্বাধীনতাকে সীমিত করা হয়। আরেকটি ঘটনা হোল আন্দালুসিয়া থেকে বহিস্কারের ঘটনা, যে আন্দালুসিয়াকে ভু-স্বর্গ বলা হতো।"

" তৃতীয় আরেকটা কারণ হোল ব্রিটিশ এবং ফ্রেঞ্চ উপনিবেশিক আইন যা যৌনতার চর্চাকে নিয়ন্ত্রণ করতো। আগের যুগের অনেক লেখা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল, পুরুষের লেখা বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছিল অথবা পরিমার্জন করা হয়েছিল। ফলে সঠিক অবস্থা সম্পর্কে জানা কঠিন। অনেক পুরুষ অবশ্য নারীদের লেখা রক্ষা করেছিলেন বা নকল করে রেখেছিলেন। যাদের এই প্রচেষ্টা না থাকলে এই লেখাগুলি হয়তো হারিয়ে যেত“।

এই বইয়ে আছে আব্বাসি, উমাইয়া এবং আন্দালুসিয়া আমলে লেখা কাব্যগুলি যেখানে খাদিজা বিনতে আল মামুন এবং উম্মে আল ওয়ারদ আল আজলানিয়া তাদের প্রেমিকদের প্রশংসা করতে এবং বর্ণনা দিতে কোন লজ্জা পান নি এবং যে প্রেমিকেরা তাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি তাদের অপমান করার বর্ণনা দিয়েছেন। আবার আছে বর্তমান যুগের ইংলিশ কান্ট্রি সাইডের তাবুতে কোন বিয়ের ঘটনা অথবা দুবাইয়ের স্কাই লাউঞ্জে কোন গোপন অভিসারের কাহিনী। আরও আছে প্যালেস্টাইনের রিফিউজি ক্যাম্পের টয়লেটকে নিয়ে কাব্য। এই বইয়ে টিপিকাল কোন যৌনতা নেই এবং এক কাহিনী থেকে অন্য কাহিনী ভিন্নতর যা প্রেমিকের কর্মকাণ্ডের সাথে বৈচিত্র্যময় হয়েছে। লেখিকাদের মধ্যে মিল হোল, তারা মন খুলে নিঃসঙ্কোচে লিখেছে। তারা সবিস্তারে কাম, প্রেমাবেগ, যৌনতা ও কামনাকে কাব্যের আবেগ দিয়ে লিখেছে।

এই ব্যাপারগুলি আরব নারীদের সম্পর্কে পশ্চিমের ধারণার বিপরীত। তারা মনে করে যে আরব নারীরা যৌনতা সম্পর্কে তেমন জানে না অথবা তারা এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলে না বা লেখে না। প্রাচ্য নিয়ে উপনিবেশ আমলে সাদা মানুষদের লেখা কিংবা আমাদের সিনেমার পর্দায় পশ্চিমারা ক্রমাগতভাবে আরব নারীদের চিত্রায়িত করেছে তাদের মনগড়া ধারণা থেকে।

এই বইটি শুধু এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে নি বরং এই বই এটা দেখিয়েছে যে আরব নারীরা প্রেম ও যৌনতা নিয়ে হাজার বছর ধরে লেখালেখি করছে এবং আরব নারীদের কামোদ্দীপক বিষয় নিয়ে লেখার প্রচলন বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। এই বইয়ে আপনি পাবেন যে আরব নারীরা অকপটে লিখেছে কিভাবে আরব নারীরা প্রেম করে এবং কার সাথে প্রেম করে।

দাব্বাঘ বলেন “প্রচলিত ধারনাকে চ্যালেঞ্জ করাকে একটা গতানুগতিক ব্যাপার মনে হতে পারে কিন্তু ইমেজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ যা কি না বৈদেশিক নীতি, অর্থনীতি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।“

“আরব নারীরা কেমন এবং আরব নারীদেরকে কেমন মনে করা হয় এই দুইটির মধ্যে একটা অসামঞ্জস্যতা আছে। এই অসামঞ্জস্যতা দূর করতে হবে। এই বইটি দেখাতে চেয়েছে যে আরব ঐতিহ্যের অনুসারী মানুষেরা হৃদয় দিয়ে ভালবাসতে পারে, কল্পনা, দক্ষতা ও নৈপুণ্যের সাথে লিখতে পারে, বেপরোয়া হতে পারে, প্রাণোচ্ছল, দৃঢ় এবং সৃষ্টিশীল হতে পারে এবং এই অঞ্চলের নারীদের সাহিত্য চর্চার একটা দীর্ঘ ইতিহাস আছে। আমি আশা করি এর দ্বারা প্রচলিত ধারণাকে অনেকখানি চ্যালেঞ্জ করা যাবে।“

সুত্র - We Wrote in Symbols: Ground-breaking anthology renews millennia-old tradition of female Arab erotic literature

ছবি - blogs.transparent.com এবং
english.alaraby.co.uk
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×