প্রখ্যাত গণসংগীত শিল্পী ভুপেন হাজারিকা ২০১১ সালের নভেম্বেরের ৫ তারিখে এই পৃথিবী ছেড়ে চিরতরে চলে যান। তার মৃত্যুর এক বছর পরে তার তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী প্রিয়ংবদা প্যাটেল একটা চাঞ্চল্যকর খবর জনসমক্ষে আনেন। কানাডা প্রবাসী প্রিয়ংবদা আসামের টিভি চ্যানেল DY365 কে বলেন যে লতা ও ভুপেন হাজারিকার মধ্যে একটা এফেয়ার ছিল। তার এবং ভুপেনের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ ছিল এই এফেয়ার। যার কারণে ১৩ বছর সংসার করার পর ১৯৬৩ সালে তারা পৃথক হয়ে যান। কলকাতার টালিগঞ্জে অবস্থিত তাদের ফ্লাটের একটা বেড রুমে লতা থাকতেন যখন তিনি কলকাতায় আসতেন।
প্রিয়ংবদা আরও বলেন লতা ভুপেনের জন্য পাগল ছিলেন। ভুপেন তার স্ত্রী প্রিয়ংবদাকে বলতেন যে, কোন মিউসিশিয়ান যদি নাম করতে চায় তাহলে তাকে লতাকে দিয়ে গান করানো উচিত। প্রিয়ংবদা ভুপেনকে তখন জিজ্ঞেস করেন যে তোমাকে কেন লতার রুমে সারা রাত কাটাতে হোল। উত্তরে ভুপেন বলেন যে অনেক সময় দরকার হয়ে যায়। আসামের অনেকেই লতা এবং ভুপেনের এই এফেয়ার সম্পর্কে জানতেন। কিন্তু এর আগে কেউ এই ব্যাপারটা জনসমক্ষে আনেন নি।
ভুপেন তার আত্মজীবনী ‘আমি এক যাযাবর’ এ মুম্বাইয়ের একজন বড় গায়িকার কথা লিখেছেন যে তার জীবনে এসেছিল। যদিও গায়িকার নাম তিনি উল্লেখ করেননি। ভুপেনের স্ত্রী লতাকে কলকাতা এয়ারপোর্টে বিদায় দিয়ে মনমরা হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন এই কথাও ভুপেন তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন। ভুপেন তার স্ত্রীকে তার মন খারাপের কারণ জিজ্ঞেস করেন। তার স্ত্রী জবাবে বলেন যে লতার কথা আমার ভালো লাগে নি। ভুপেন জানতে চান লতা কি বলেছে। তার স্ত্রী প্রিয়ংবদা বলেন, লতা বলেছে যে ভুপেনের প্রতি তার ভালবাসা প্রিয়ংবদার ভুপেনের স্ত্রী হিসাবে ভালোবাসার চেয়ে কোন অংশে কম না।
যদিও লতা মঙ্গেশকার ভুপেনের প্রাক্তন স্ত্রীর এই কথাগুলি শুনে খুব চটে গিয়েছিলেন এবং আইনগত ব্যবস্থার হুমকি দিয়েছিলেন।
আসলে এই ধরনের বড় মাপের সেলিব্রেটিদের জীবনে অনেক সময়ই প্রেম ভালোবাসা আসে আবার চলে যায়। কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যা এটা নির্ণয় করা দুঃসাধ্য ব্যাপার।
সুত্র – হিন্দুস্তান টাইমস
ছবি- টাইমস অব ইন্ডিয়া
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪২