হাদিস পরিত্যাগকারীদেরকে কুরানিস্ট (আরবীতে কুরানিউন) বলে। এই মতবাদের নাম কুরানিজম। এরা হোল ইসলামের একটা বিপথগামী দল। সৌদি আরব সহ পৃথিবীর অনেক ইসলাম প্রধান রাষ্ট্রে এদেরকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেয়া হয় এদের বিপথগামী প্রচারের কারণে। এদের একটা একটা বিখ্যাত সাইট হোল https://www.quran-islam.org/home_(P1).html
এই সাইটের আলোকে এদের কিছু বিপথগামীতা নীচে উপস্থাপন করছি;
কুরানিসটদের শাহাদাত হোল;
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই; তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। (সুরা আল ইমরান, আয়াত ১৮- শেষাংশ)
সাধারণ মুসলমানদের শাহাদাত;
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে এক আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো মাবুদ নাই, তিনি এক ও একক, তাঁর কোনো শরিক বা অংশীদার নাই; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয়ই হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তায়ালার বান্দা ও তাঁর প্রেরিত রাসুল।’
কুরানিসটরা শাহাদার সময় রসুলের নাম বলাকে বেদাত মনে করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই বললেই মুসলমান হয়ে যায় না। ইসলামের নিয়ম নীতির প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে। সেটার জন্য মানতে হবে যে হজরত মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর রসূল। কারণ ওনার মাধ্যমেই কোরআন আমরা পেয়েছি। আল্লাহ ওনার নির্দেশ মানার জন্য আমাদেরকে বলেছেন। কেউ যদি আল্লাহ মানে কিন্তু রসুলকে না মানে তাহলে সে মুসলমান না।
কোরআনের কোন আয়াত অপ্রাসঙ্গিকভাবে ব্যবহার করে সেটাকে শাহাদাত বানানো যায় না। মুসলমান হতে হলে আপনাকে মুহাম্মাদকে (সা) নবী হিসাবে মানতে হবে। এটা একটা জরুরী শর্ত।
নামাজের ক্ষেত্রে কুরানিসটদের বিপথগামী তরিকাঃ
১। এদের অনেকেই মনে করে কোরআনে ৩ ওয়াক্ত (ফজর, জোহর এবং এশা) নামাজের কথা বলা আছে। তাই ৫ ওয়াক্ত নামাজ এদের অনেকেই মানে না।
২। বিভিন্ন ওয়াক্তে নামাজের রাকাত নির্দিষ্ট করা এরা মানে না। কোরআনে রাকাতের কথা বলা নাই। তাই কুরানিসটদের ভাষ্য হোল বান্দা কয় রাকাত নামাজ পড়বে এটা বান্দার ইচ্ছা।
৩। নামাজে আত্তাহিয়াতু এবং দরুদ পড়াকে এরা শিরক মনে করে। কারণ হিসাবে তারা বলে যে এগুলির মধ্যে হজরত মুহাম্মাদ (সা) এবং হজরত ইব্রাহিমের (সা) এবং তাদের পরিবারকে স্মরণ করা হয়েছে।
৪। নামাজে সুরা ফাতেহা পড়া এরা জরুরী মনে করে না।
৫। হজ্জের সময় আরাফার দিনে জোহর এবং আসর একসাথে পড়তে হয় এবং মুজদালিফায় মাগরিব এবং এশা একসাথে পড়তে হয়। কিন্তু কুরানিসটরা এটা মানে না।
৬। সুন্নত নামাজ, তারাবির নামাজ, তাহাজ্জুদ নামাজ এরা পড়ে না। কারণ এগুলির কথা কোরআনে নেই।
৭। এরা মনে করে মাসিক চলাকালীন সময়েও মেয়েরা নামাজ পড়তে পারে, কোরআন ধরতে পারে, কাবা তাওয়াফ করতে পারে।
৮। এরা নামাজ শেষে সালাম না দিয়ে বলে আল হামদুলিল্লাহ হি রব্বিল আল আমিন।
৯। জুম্মার খুৎবাকে এরা বিদাত মনে করে।
১০। আজান দেয়াকে এরা বেদাত মনে করে। আজানের মধ্যে রসুলের নাম বলাকে এরা আরও বড় অপরাধ মনে করে।
ব্লগে এদের অনুসারী লোকজন আছে। এরা মনে করে কুকুরের মাংস খাওয়া হালাল। ঈদের নামাজ পড়ার দরকার নাই। ঈদে ফিতরা দেয়ার দরকার নাই। জাকাত দেবে নিজের খুশি মত। কারণ কোরআনে কোন পরিমান বলা নাই। আরও অনেক উদ্ভট নিয়ম এরা বানিয়েছে এবং বানাচ্ছে।
কুরানিস্টদের আরও অনেক উদ্ভট ও আপত্তিকর নিয়ম আছে। এক পোস্টে সেগুলি বলা সম্ভব না।
আল্লাহ আমাদের ইসলামের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




