মহাসড়কগুলিতে সতর্কবাণী লেখা থাকে চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালাবেন না। এই ধরণের পরিস্থিতি আগে হয় নাই আমার তাই ব্যাপারটার গুরুত্ব বুঝতাম না। গতকাল আমি বাধ্য হয়েছিলাম ঢুলু ঢুলু চোখে গাড়ি চালাতে। কারণটা আমার নিজের সৃষ্টি কিন্তু আমার স্ত্রীকে কারণটা বলার মত সাহস আমার ছিল না। আমার মাঝে মাঝে এলারজি সমস্যা দেখা দেয়। তখন হাত এবং মুখ আক্রান্ত হয়। আমার বউ আমার সামান্য কোন রোগের আলামত পেলেই ধরে বেঁধে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে। চোদ্দ রকমের টেস্ট করাবে। আমাকে বকা ঝকা করবে শরীরের যত্ন না নেয়ার জন্য। তবে সে একটু বাড়াবাড়ি করে এই সব ব্যাপারে। যেটা আমার পক্ষে হজম করা কষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে সব কিছু তাকে বলি না।
এই কারণে গত পরশু এলারজির আলামত বুঝতে পেরে রাতে আমি এলারজির ওষুধ খাই। বউয়ের কাছে ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য একটার জায়গায় দুইটা ওষুধ খাই। এই ওষুধ খেলে খুব ঘুম আসে। গতকাল কাপ্তাই গিয়েছিলাম বেড়াতে গাড়ি চালিয়ে। সারা রাত ঘুমানোর পরেও আমার ঘুমের ঘোর কাটে না সারাদিন। যার কারণে বেড়ানোটাও মজা হল না আমার। ওরা ঘুরছিল আমি এক জায়গায় বসে ঝিমাচ্ছিলাম। বিকালে ফেরার সময় গাড়ি চালাতে কষ্ট হচ্ছিল ঘুম ঘুম ভাবের কারণে। এক জায়গায় ট্রাফিক জ্যামের কারণে গাড়ি অনেক ক্ষণ থেমে ছিল। সেই সময়ে কিছুক্ষণের জন্য চোখে তন্দ্রা চলে এসেছিল। আমার বিশ্বাস ছিল ঘুমিয়ে পড়বো না।
কিন্তু নিজের অজান্তে ঘুমের জগতে চলে গিয়েছিলাম কিচুক্ষনের জন্য। সামনের গাড়িগুলি এগিয়ে গেছে আর আমি ঘুমিয়েই ছিলাম। পাশে থেকে আমার বউ হাত দিয়ে ধাক্কা দেয়ার পরে উঠলাম আর গাড়ি চালালাম।
তখন আমার খেয়াল হল আসলে চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানো কতটা বিপদজনক। আমি ভাবলাম আমি যদি গাড়ি চলন্ত অবস্থায় ঘুমিয়ে যেতাম তাহলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। তাই কারও উচিত না ঘুম আসলে গাড়ি চালানো। নিজের অজান্তে মানুষ হঠাৎ ঘুমের কোলে ঢোলে পড়তে পারে। বহু বছর গাড়ি চালাই কিন্তু এই ধরণের পরিস্থিতি কখনও হয় নাই। তাই ঘুম চোখে গাড়ি চালানোর বিপদ সম্পর্কে নিজের কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। তাই সকলের প্রতি আহবান চোখে বেশী ঘুম থাকলে গাড়ি চালানো উচিত না। একান্ত চালাতে হলে মিস্টার বিনের মত চোখের সামনের অংশ টুথপিক দিয়ে খুলে রাখা উচিত নিচের ছবির মত।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৪