ফরিদপুরে একটা গার্লস স্কুলের ১৫ থেকে ২০ জন মেয়েকে দিনে দুপুরে এক বা একাধিক ভুত এসে ভয় দেখিয়ে গেছে। আমার মতে ভুতেরা এই কাজটা ঠিক করে নাই। ক্লাস সিক্স থেকে ক্লাস টেনে পড়া বাচ্চা মেয়েদেরকে ভুত কর্তৃক এই ধরণের ভয় দেখানো মেনে নেয়া যায় না। গত ১৯ মে, ২০২৪ তারিখে ফরিদপুরের নগরকান্দার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আকরামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ বলেছে লম্বা কালো সাদা কাপড় পড়া কোন চুল খোলা মহিলা ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েছে, কেউ বলেছে লাল ভয়ানক, কেউ বলছে আমি দেখি নাই তবে আমাকে ধাক্কা দিয়েছে, কেউ বলেছে আমাকে হাত ধরে টান মেরেছে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন। এছাড়া স্থানীয় লোকজন স্কুলে ভিড় জমান।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব আলী মিঞা অবশ্য বলেন যে, প্রচণ্ড গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা হয়তো চোখে ঝাপসা দেখেছে। এতে আতঙ্কে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমার মনে হয় এগুলি বাচ্চাদের বুঝ দেয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু না। ওরা কেউই তো অন্ধ না।
নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জয়দেব কুমার সরকার বলেন, এরকম ঘটনার খবর শুনে একটি মেডিকেল টিম বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সবাই এখন সুস্থ আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, প্রচণ্ড গরমে শিক্ষার্থীদের হয়তো চোখ ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। পরে তারা কিছু দেখে হয়তো ভয় পেয়েছে। এরপরও বিষয়টি আরও গভীরভাবে তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
তবে প্রশাসন বা স্কুল কর্তৃপক্ষ যা-ই বলুক না কেন ওনাদের কথা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় নাই। আমার ধারণা স্কুলের ছাত্রীরাই সত্যি কথা বলছে। ওরা তো অন্ধ না নিশ্চয়ই ভীতিকর কিছু একটা তারা দেখেছে। আর তদন্ত কমিটিতে ৩ জন শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে একজন পরহেজগার হুজুর রাখা উচিত ছিল। ভুত/ জিন যে নামেই ডাকা হোক না কেন এগুলি সামলানোর জন্য জীন ছাড়ানোর হুজুর খুব দরকার ছিল। নইলে ভুত/ জিন ছাত্রীদের আবারও ভয় দেখাতে পারে।
সূত্র - দৈনিক সমকাল এবং ইউটিউব