অনেকে বলে যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে দেশ থেকে পলানোর সময় নাকি পদত্যাগ পত্র জমা দেন নাই। যার কারণে শেখ হাসিনা এখনও নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবেন। তাই এখনও মাঝে মাঝে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ওয়াজ নসিহত করে থাকেন। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদও নাকি পদত্যাগ করে পালিয়ে গেছেন। উনি ওনার পদত্যাগ পত্র ঠিক মত জমা দিয়েছেন তো? আমি এই ব্যাপারে জানি না।
শেখ হাসিনার পদত্যাগ সংক্রান্ত আরেকটা থিউরি হল, আমাদের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন সাহেব সম্ভবত শেখ হাসিনার দেয়া পদত্যাগপত্র হারিয়ে ফেলেছেন। কারণ উনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে উনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পেয়েছেন। পরে আবার তিনি মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান সাহেবের কাছে বলেছেন যে উনি পদত্যাগ পত্র পাননি। পদত্যাগপত্র হারিয়ে গিয়ে থাকলে থানায় ডাইরি করা উচিত ছিল।
শেখ হাসিনা যাওয়ার সময় জামাকাপড় বেশী নিতে পারেননি বলে শোনা যায়। বাসার আল আসাদ জামাকাপড় নিয়েছেন কি না সেটা এখনও জানা যায়নি। শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে গিয়েছেন এটা মানুষ প্রথম দিনই জানতে পারে। কিন্তু বাশার আল আসাদ পালিয়ে কোথায় গিয়েছেন এটা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। অনেকে ধারণা করছেন যে ওনাকে বহন করা বিমানটা বিধ্বস্ত হয়েছে। যদিও নিশ্চিত কিছু জানা যাচ্ছে না। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে সামরিক বাহিনীর প্রধানদের গাল মন্দ করেছেন। বাশার আল আসাদ এই ধরণের কাজ করেছেন কি না এটা এখনও আমরা জানি না। বাশার আল আসাদের পক্ষে ছিল রাশিয়া আর শেখ হাসিনার পক্ষে ছিল ভারত। উভয়েই বহু বছর দেশ শাসন করেছেন, পরে পালিয়ে গেছেন। কার পালানোটা বেশী এডভেঞ্চারাস ছিল এটা হয়তো কয়েকদিন পরে জানা যাবে। পালানোর পরে উভয়ের বাসভবনে জনতা লুটপাট চালিয়েছে। শেখ হাসিনার জন্য এখনও অনেক ভক্ত 'আপা' 'আপা' বলে ফোনে কান্নাকাটি করে। আসাদের জন্য কান্না করার লোক আছে কি না জানি না। শেখ হাসিনা কিংবা বাশার আল আসাদ পুনরায় কি ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবে? এটা মনে হয় বিলিয়ন ডলার মূল্যের একটা প্রশ্ন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২৫