somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সম্পর্কে টানাপোড়ন এবং একটি সুইসাইড নোট

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমি জানি হয়ত কিছু দিনের মধ্যে চলে যাবো। এই চলে যাওয়ার পর সবচেয়ে ব্যথিত কে হবেন? আর সবচেয়ে খুশিই বা কে হতে পারেন?

যারা ব্যথিত হবেন তাদের তালিকায় বাবা-মা, ছেলে সন্তান বা পরিবারের অন্য সদস্যরা থাকবেন এটা নিশ্চিত। কিন্তু খুশির তালিকায় কারা থাকতে পারেন? এই তালিকায় উপরের দিকে থাকবে আমার একমাত্র নিকাহ করা বউ সেলিনা!
কিন্তু কেন?

আমার সাথে বিয়েতে তার মত ছিলোনা। তার মা-বাবা তাকে এক প্রকার জোর করে আমার সাথে বিয়ে দিয়েছন। বিয়ের আগে সেলিনা অন্য আরেকটি ছেলের সাথে প্রেমাসক্ত ছিল। কিন্তু ছেলেদের আর্থিক অবস্হা সেলিনাদের তুলনায় তত একটা ভালো ছিল না। ছেলেটি শিক্ষিত বেকার হওয়ার কারণে সেলিনাদের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারিনি। অধিকাংশ বাবা-মা চায় মেয়েকে ফাইনান্সি সুখি দেখতে, সেলিনাকেও দেখতে চেয়েছেন, তাই আমার সাথে বিয়ে দিয়ে কিছুটা দায়মুক্তি পেয়েছেন। আমি তাকে সাধ্যের মধ্যে রাণীর হালে রেখেছি। কিন্তু সে কি আমাকে দু'দন্ড মানুষিক সুখ দিতে পেরেছে? অবশ্যি না। সে আমার সাথে যন্ত্রের মত আচরণ করে। স্বামী স্ত্রীর দৈহিক মিলনের তৃপ্তি ক্ষণিকের। এই তৃপ্তি ত' হোটেলের পতিতারাও দিতে পারে! এই জন্য আমি তাকে বহু বার স্ব- প্রণোদিত হয়ে মুক্ত করে দিতে চেয়েছি, কিন্তু সে কি জন্যে আমার কাছে পরে আছে কে জানে! হয়ত তার বাবা-মায়ের ইজ্জতের দিকে তাকিয়ে, নয়ত আমার মৃত্যু নিশ্চিত হলে শেষ হাসি হাসার জন্য।


আমার মৃত্যু হলে খুশির তালিকায় আরেকজন থাকবে।
আমার সাবেক প্রেমিকা। আমি যখন শিক্ষিত বেকার ছিলাম, তখন এক সাথে ঘর সংসার করব বলে দিনের পর দিন তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছি। কাম বাসনা পূ্র্ণ করেছি, যখন রিপুর ইচ্ছে হয়েছে।

আমার যখন ভালো চাকুরী হলো তখন আমি তাকে জীবন সঙ্গিনীরর মর্যাদা দিতে পারিনি শুধু পরিবারিক কারণে! কারণ আমার প্রেমিকার পারিবারিক স্টাটাস খুবই নিচু মানের ছিল। এই পরিবারে আত্মীয় করতে বাবা-মা একে বারেই নাখোশ ছিলেন। আবার আমিও কি এক আশ্চর্য কারণে খুব সহজে তাকে ভুলে যেতে পেরিছি। হয়ত টাকা এবং পরিবার আমার ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু রেশমার মনের অবস্হা বুঝার মত মন সে সময় আমার ছিলনা। আমি নিষ্ঠুর পাষাণ হয়ে গিয়েছি । আমার বিয়ের আগে সর্বশেষ যেদিন তার সাথে দেখা হয়েছে সেদিন আমার গলায় ধরে কিযে কান্না। এই কান্না কেঁদে ছিল আমার বিয়ে অন্য মেয়েদের সাথে হবে বলে।
মেয়েদের কে এরকম অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে আমি কখনো দেখিনি।

হয়ত রেশমা আমাকে অভিশাপ দিয়েছে, সে অভিশাপের ফল এখন হারে হারে ভোগ করছি।
আমার মৃত্যুর সংবাদ তার কাছে পৌছালে সেকি স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলবে?


আরেকজন খুশির তালিকায় থাকতে পারেন, আমার পাশের বাড়ির আক্কাস ভাই। তার ঘরের বৌ দিনের পর দিন পাশের গ্রামের হানিফের সাথে দীর্ঘ পরকিয়া করেছ। বিষয়টি আমি জানার পরেও আক্কাস ভাই কে কোন দিন বলিনি। বল্লে আক্কাস ভাই হয়ত বিশ্বাস করতেন না! আক্কাস ভাই প্রবাসে থাকতেন। ভালো টাকাও কামিয়েছেন। সে টাকা দিয়ে ঢাকাতে ফ্লাট, গ্রামে জায়গা জমি কিনে বউয়ের নামে রেজিষ্ট্রি করেছেন। আদরের বউ সময় বুঝে গয়নাগাটি এবং নগদ টাকা সহ পরকিয়াসক্ত হানিফের সাথে ভেগে গেছে। খবর শুনে আক্কাস ভাই দেশে ফিরে এখন পাগল প্রায়। সে যখন জানতে পারল, আমি পররকিয়ার বিষয়টি জেনেও তাকে বলিনি, তখম সে আমার প্রতি কি যে কষ্ট পেয়েছিলেন তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা।

এই আমি, আমার জন্য কতগুলো সংসার অসুখী! আচ্ছা আমি কি নিজে সুখে আছি?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৬
২৬টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×