পশ্চিমা গণমাধ্যম আর যারা পশ্চিমাদের দালাল তারা এমনভাবে তথ্য দিচ্ছে যা দেখে আপনার মনে হতে পারে। হঠাৎ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মনে হয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘দিনটা সুন্দর, রোদ ঝলমলে আকাশ, কোন কাম-কাজ নেই, তাই চলুন ইউক্রেনে হামলা চালানো যাক।’ যুদ্ধে জড়ানো কি এতই সহজ? রাশিয়া কি ক্ষতির সম্মুখে পরছে না এই যুদ্ধের জন্য?। পুতিন কি এইগুলো জানতো না?
প্রায় এক দশকজুড়ে ন্যাটো-পশ্চিমাদের সম্প্রসারণ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে মস্কো। ২০০৭ সালে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা বিশ্বের নেতাদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশের সীমান্তে সামরিক অবকাঠামো বাড়ানো কেন প্রয়োজন? কেউ কি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন?’ পরে আরেক বক্তব্যে পুতিন বলেন, রুশ সীমান্ত পর্যন্ত সামরিক অবকাঠামো সম্প্রসারণের বিষয়টি কোনো রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক পছন্দের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো ইউক্রেনকে উন্নত অস্ত্র সরবরাহ করেছে। ন্যাটো জোটের সদস্য হতে আহ্বান জানিয়েছে। আপনি আমার চার-পাশে আপনার অত্যাধিক অস্ত্র নিয়ে আমাকে মারার জন্য বসে থাকবেন আর আমি বসে বসে আঙ্গুল চুসবো তাই না?
যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো এরা যে কতটা কুখ্যাত সন্ত্রাসী আর মানবতার জন্য হুমকি তার বাস্তব উদাহারণ হচ্ছে। ইরাক। ২০০৩ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে গণ–বিধ্বংসী অস্ত্রের মজুত করার অভিযোগ তোলে। জাতিসংঘের অস্ত্র পরিদর্শকেরা এই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইরাকে কাজ করছিলেন। তাঁদের সহযোগিতা করার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড যৌথভাবে ২০০৩ সালের ১৯ মার্চ ইরাকে বোমা হামলা চালায়। আন্তর্জাতিক আইনের এমন লঙ্ঘন ও যুদ্ধের ফলে ইরাকে ১০ লাখ মানুষ হতাহত হয় অথবা আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। এতগুলো মানুষ কে হত্যা আর একটা দেশ কে বিনা কারণে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার জন্য কি যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো বিরোদ্ধে কেউ কোন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে? লিবিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান, একই কায়দায় ধ্বংস করা হল, কই কেইতো যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর এইসব সন্ত্রাসী কার্মকান্ডের জন্য নিন্দা জানায় নি। বরং তাদের এই সন্ত্রাসী কাজের পক্ষে সাফাই গেয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৫৮