ভিন্ন দেশ থেকে যোদ্ধারা দলে দলে ইউক্রেনে যাচ্ছে, রাশিয়া সাথে যুদ্ধ করতে। রাশিয়ার ট্যাংকবহরের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে কীভাবে সেনারা ব্রিজ উড়িয়ে দিচ্ছে, হাতের কাছে যা কিছু পাচ্ছে, তা-ই দিয়ে কীভাবে বেসামরিক নাগরিকেরা সশস্ত্র যানবাহনে হামলা চালাচ্ছে, সাধারণ মানুষ কীভাবে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এবং পরিখা খুঁড়ছে, কিভাবে বেসামরিক নাগরিকেরা প্রশিক্ষন নিয়ে বোমা তৈরী করছে এসব বীরত্বপূর্ণ কাহিনি পশ্চিমা মিডিয়া কিভাবে ফলাও করে প্রচার করছে।
পশ্চিমা নেতা, সংবাদমাধ্যম ও বিশ্লেষকেরা ইউক্রেনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে অত্যন্ত আবেগপূর্ণ কথাবার্তা বলতে শুরু করেছেন। দখলদারি কতটা অবৈধ, এর শিকার মানুষের সশস্ত্র সংগ্রামের কতটা অধিকার, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বায়ত্তশাসন কতটা গুরুত্বপূর্ণ, এসব যুক্তি তাঁরা অবতারণা করছেন।
এই একই কাজ গুলো যদি ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, ফিলিস্তিন, আফগানিস্থান, ইয়েমেনের লোকগুলো করে তখন পশ্চিমের লোকগুলো আর তাদের ভন্ড সংবাদ মাধ্যম মুসলিমদের সন্ত্রাসী হিসেবে ফলাও করে প্রচার করে।
আরেকটা মজার বেপার হচ্ছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিডও। এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনে রাশিয়ার এই হামলাকে তিনি ‘আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেন। একেই বলে অন্যের বউয়ের কোলে বসে পরকিয়া বিরোধী আন্দোলন করা।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:০৮