১) রাজনৈতিক দল ছাড়া সাধারণ জনগণ কি কোথাও জ্বালানীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ করেছে?
২) না করে থাকলে কেন করেনি বলে আপনি মনে করেন?
এই দেশে একটা চাকরি আর লাইফ স্টাইলের জন্য সবাই বেচে আছে?। এই দেশে কেউ এখন আর ন্যায়ের পক্ষে কথা বলে না? তার চাকরী বা ব্যবসায় সমস্যা হবে? তার আরামের জীবনে সমস্যা হবে? আথবা সবাই ভালো আছে তাই কিছু বলে না এরকম কি?
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অন্তত ৩৭টি কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন অথবা পুলিশ বাধা দিয়েছে। ভোলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেখানে গুলিতে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুজন নেতা-কর্মী মারা যান। লক্ষ্মীপুরে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরীর বাড়িতে এবং বরিশালের গৌরনদীতে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত হন যুবদলের কর্মী শাওন প্রধান।
এসব হামলা কী প্রমাণ করে? মহা প্রতাপশালী আওয়ামী লীগ কি ভয় পেয়ে গেছে? আওয়ামী লীগ নেতারা প্রায়ই বলেন, খেলা হবে। কার কত জনপ্রিয়তা আছে, সেটি প্রমাণ করতে রাজনৈতিক দলগুলো সভা–সমাবেশ ডেকে জনগণের সামনে নিজেদের সাফল্যের সঙ্গে ভবিষ্যৎ কর্মসূচি তুলে ধরে। এটাই রাজনীতির খেলা। কিন্তু এখন তো আওয়ামী লীগের নেতারাই খেলার নিয়ম মানছেন না।
একদিকে বিএনপির মিছিল-সমাবেশে পুলিশের বাধা, আরেক দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অফিসে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের চড়াও হওয়ার ঘটনা কী প্রমাণ করে? আওয়ামী লীগ কি বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে চায়; না বিএনপি নির্বাচনে না এলে তাদের সুবিধা—সেই বার্তাই এভাবে দেশবাসীকে জানিয়ে দিচ্ছে?
১ সেপ্টেম্বর ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপি সারা দেশে যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল, সরকারের পক্ষ থেকে তার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। রাজধানী ঢাকাসহ বহু জায়গায় বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মিছিল করেছে। রাজধানীতে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাদের বাধা দেয়নি। এটাকে আমরা সরকারের গণতান্ত্রিক সহিষ্ণুতা বলে মেনে নিতে পারি। প্রশ্ন হলো, সরকার ঢাকায় যে সহিষ্ণুতা দেখাল, নারায়ণগঞ্জে সেটা হলো না কেন?
প্রথমআলো
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫১