আওয়ামী লীগ ৭১-এর স্বাধীনতা থেকে সোজা ৭৫-এর ১৫ আগস্টে চলে যায়। মধ্যখানের ৪ বছর নিয়ে কোনো আলাপ করতে কখনো দেখবেন না তাদের। প্রশ্ন হলো, স্বাধীতার পরের ৪ বছরের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে আড়াল করার কারণ কী?
সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার! ১৯৭১ সালে মুজিনগর সরকার কর্তৃক ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে এ ৩টি বিষয় ছিল। প্রশ্ন হলো, যে ৩টি জিনিস প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতাযুদ্ধ হলো, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সাম্য, ন্যায়বিচার এবং মানবিক মর্যাদা কতটুুকু প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন?
১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু লাহোরে ৬ দফা পেশ করেছিলেন। প্রথম দফা ছিল, 'লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে একটি ফেডারেশনে পরিণত করতে হবে, যেখানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার থাকবে এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত আইন পরিষদ সার্বভৌম হবে।'
প্রশ্ন হলো, যে বঙ্গবন্ধু মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলন করলেন, তিনি কেন স্বাধীনতার পরই বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে গেলেন? কাদের প্ররোচনায় তিনি এমনটি করলেন? এগুলো প্রজন্মের চোখের আড়ালে রাখা হয়েছে যুগ যুগ থেকে।
রাজনৈতিকভাবে সফল নেতা বঙ্গবন্ধু শাসক হিসেবে কেন ব্যর্থ হলেন? আওয়ামী লীগের উচিত ছিল সেটা খতিয়ে দেখা। ভুল সংশোধন করে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু তারা শিক্ষা না নিয়ে নতুন বাকশালের পথে এগিয়েছিল। নেতা থেকে বঙ্গবন্ধুকে প্রভুর আসনে বসাতে চেয়েছিল!
ক্ষমতা আর অস্ত্র দিয়ে আপনি মানুষের সাময়িক আনুগত্য পেতে পারেন; কিন্তু হৃদয়ে জায়গা পাবেন না! আশা করি বাংলাদেশের ক্ষমতায় যারা যাবেন, আওয়ামী লীগ থেকে শিক্ষা নেবেন! ইতিহাস আপন গতিপথে চলে। ইতিহাস মুছে ফেলা সম্ভব না!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



