আলেপ উদ্দীন নামের এই কুখ্যাত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০ এর বেশি গুম এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার অভিযোগে মামলা দয়ের করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। তারই একটি- ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানায় ১৫(০৮)২৪ নং হত্যা মামলায় অতিরিক্ত এসপি আলেপ উদ্দীনকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল থেকে ঢাকায় নিয়ে এসেছে ডিবি পুলিশ, গতকাল পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই পুরো সময় আলেপ তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নিজের স্ত্রীর সাথে আলাপ করেছে, তাকে ঢাকা আনা হয়েছে সেটা জানিয়েছে, মোট কথা তার আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি তার পরিবার জানে। আজ সকালে ঐ একই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আর এর মধ্যেই এই খুনীকে রক্ষা করার জন্য প্রথম আলোর দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে! অবশ্য একটি ভিনদেশী ফান্ডে চলা প্রথম আলো আর ডেইলি স্টার যে ঐ দেশের 'এ্যাসেট' আলেপ উদ্দীন কে রক্ষার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবে সেটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।
যারা ঢাকা শহরে থাকেন তাদের নিশ্চই চোখে পড়েছে- গুলশান, বনানী, ধানমণ্ডি এবং বেইলী রোড এলাকা অনেকগুলো আরব/টার্কিশ/ভারতীয় রেস্টুরেন্ট আচমকা বন্ধ হয়ে গেছে। এগুলোর মালিক, স্টাফ কারো কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আপনাদের অবগতির জন্য বলছি- এগুলো ছিলো ঐ বিশেষ দেশের ক্যামোফ্লেজ আউটলেট। প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারও তাই।
একটি দেশ অন্য দেশে তার আনুষ্ঠানিক দূতাবাসের বাইরেও এক বা একাধিক সাংষ্কৃতিক কেন্ত্র, বাণিজ্য কেন্দ্র, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা সহায়তা কেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি অনেক কিছুই চালাতে পারে (রাষ্ট্রেীয় অনুমতি সাপেক্ষে)। কিন্তু যখন তারা তাদের হেজিমনি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম আলো বা ডেইলি স্টারের মত প্রতিষ্ঠান চালায় তখন সেগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেয়া রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যই প্রয়োজন।
এবার একটা প্রশ্ন করি?
পলাতক হাসিনা ভারতে বসে একের পর এক ভিডিও বার্তায় কখনো ২৭৭জনকে হত্যা করা নির্দেশ দিচ্ছে, কখনো চট করে ঢুকে পড়ার হুমকি দিচ্ছে, কখনো ট্রাম্পের ছবি নিয়ে মিছিল করে পুলিশের সাথে মারামারি করার পরামর্শ দিচ্ছে। এমন দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র বক্তব্য যদি হাসিনার বদলে অন্য কোন রাজনৈতিক নেতা বিদেশে বসে দিতেন, তাহলে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার কতগুলো নিউজ করতো? মতিউর রহমান এবং মাহফুজ আনাম কতগুলো কলাম লিখতেন?
আমি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এর প্রসিকিউটরদের প্রতি আহবান জানাবো- এখনি প্রথম আলোর এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শক্ত আইনী ব্যবস্থা নিতে। ৩ হাজারের বেশি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং ৭শ'র বেশি গুমের ঘটনায় ভিক্টিমদের পরিবারদের বিচার পাবার অধিকার এই প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার গং যেন কোন ভাবেই বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, সেটা এখনি নিশ্চিত করতে হবে।
A K M Wahiduzzaman
মিথ্যাচারের নিউজ লিংক.


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



