somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওমিক্রণ শুনলে আপনার কিসের কথা মনে পড়ে?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



করণা গত ২ বছর ধরে দুনিয়া কাঁপাচ্ছে। করণার বিভিন্ন ভেরিয়েন্টের পর এসেছে "ওমিক্রণ"। এখন দুনিয়া ব্যস্ত ওমিক্রণ নিয়ে। অনেকেই বলছেন ওমিক্রণেই খুব সম্ভবত শেষ।

আমার কাছে ওমিক্রণ শোনার সাথে সাথে অন্য জিনিষের কথা মাথায় এসেছে। ওমিক্রণল্যাব.কম।

মেহদী ভাইকে নিয়ে প্রচুর লেখা লেখি হয়েছে। তার ওমিক্রণল্যাব নিয়েও প্রচুর লেখা লেখি হয়েছে। আর মেহদী এর ওমিক্রণ ল্যাবের তৈরী অভ্র "নিয়ে" লেখা লেখি তো আছেই, বরং তার থেকে বেশী অভ্র "দিয়ে" লেখা লেখি হয় প্রচুর।

বহু আগের কথা। কম্পিউটারে বাংলা লেখার জন্য প্রবর্তন এবং বিজয় নামের দুইটা সফটওয়্যারের প্রচলন ছিলো। সেই সময়ে ইন্টারনেটে বাংলা লেখা যেতো না। টুকটাক দু-একটা ওয়েব সাইটে বাংলা লেখা থাকলে হয় লেখা গুলি ছবি আকারে থাকতো, না হয় নির্দিষ্ট ফন্ট ডাউনলোড করতে হতো।

কম্পিউটার জগত ও কম্পিউটার টুমরো, এই দুইটি পত্রিকার সাথে তখন পরিচয় ছিলো। হঠাৎই একদিন এই কম্পিউটার টুমরোতে একটা ফিচার পড়লাম; অভ্র নামে একটা সফটওয়্যার তৈরী হয়েছে। মেহদী নামে কেউ একজন তৈরী করেছে।

ইন্টারনেট তখন এত প্রচলিত নয়। বাসায় ইন্টারনেট ছিলো। ডাউনলোড করে ফেললাম। শুরু হলো আমার ইন্টারনেটে বাংলা লেখা। ইয়াহুর চ্যাট রুমে যখন বাংলায় লিখলাম, শত শত লোক অবাক হয়ে যায়। বলে কিভাবে করলেন?

বহু কিছু হয়েছে এই অভ্র নিয়ে। বহু কথা, বহু লেখা এমনকি আন্দোলনও। একজন মানুষ যখন পুরা জাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেতে চাচ্ছিলো, মেহদী তখন সবার হাতে সরিষার তেল মাখিয়ে দিলো। সবাই আনন্দ সহকারে এখন এক সাথে কাঁঠাল ভেঙ্গে খায়। কারও মাথায় আর কাঁঠাল ভাঙ্গা লাগে না।

প্রতি বছরই রব উঠে, মেহদীকে একটা একুশে পদক দেওয়া হোক। খুব সম্ভবত এখনও সেটা হয়নি। আমি পদকের খোঁজ রাখি না। তবে মনে করি মেহদীকে আমরা যদি কাঁধে তুলে নিয়ে আনন্দ করতে পারতাম, আমাদের নিজেদেরই সম্মান বাড়তো।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৩
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরিবি

লিখেছেন মৌন পাঠক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২১


চিত্রঃ অন্তর্জাল

গরিবি বা ফকিন্নি ও সেল করা যায়,
উহারে এনক্যাশ করা যায়।

সেই এনক্যাশমেন্টটা গরিব নিজেও সেল করতে পারে, আবার তার গরিবানারে অন্য কেউও এনক্যাশ করতে পারে।

দেশের সিংহভাগ এতিমখানা মাদ্রাসা এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

হেলুসিনেশন। চ্যাপ্টার ৮

লিখেছেন স্প্যানকড, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪

ছবি নেট ।

এ তুমি কি সেই তুমি?
যাকে খুঁজি দিবানিশি
এ তুমি কি সেই তুমি?
যার জন্য নিজেকে
খতম করতে রাজি।

এ তুমি কি সেই তুমি?
যার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কবিতা

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪২

"শেষ অধ্যায়"

তুমি আমায় দেবতাদের দেয়া
অভিশপ্ত সিসিফাস ভেবোনা,
আসলে আমি হই, জলন্ত কোনো অগ্নিকুণ্ড,
অথবা ভালোবাসার দুরন্ত কোনো
এক দুর্বাঘাস।

যেখানে তুমি নিশ্চেন্তে মুখ ডুবিয়ে
শ্বাস নিতে পার। অথবা তুমি
জানই না,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ প্লিজ বলে না, ধন্যবাদ বলে না, সরিও বলে না। ***************************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫

আমাদের দেশের মানুষের খুব কমন একটি বিষয় একটু খেয়াল করলেই যে কারো চোখে পরে। আমাদের দেশের মানুষ পারতপক্ষে প্লিজ, সরি, ধন্যবাদ এই জাতীয় শিষ্টাচার বা এটিকেট (Etiquette) সমৃদ্ধ শব্দগুলোর ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

হ্যালোকাহিনী :) The HELLO Story

লিখেছেন আফলাতুন হায়দার চৌধুরী, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৬

আমরা ফোন বাজলে প্রথমে বলি হ্যালো। প্রশ্ন হল হ্যালো আসলে কি?

কিছু মানুষ বিশ্বাস করতো হ্যালো হলেন টেলিফোনের আবিষ্কারক বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল এর প্রেমিকা। এই নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×